মহম্মদপুরে সার্ভার জটিলতা
সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর স্কুলে ভর্তি নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা
মাগুরা প্রতিনিধি | ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় সার্ভার জটিলতার কারণে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর স্কুলে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকরা। সার্ভারের কারিগরি জটিলতায় জন্মসনদ পেতে দুর্ভোগে পড়ছেন মহম্মদপুরের আটটি ইউনিয়নের নাগরিকরা। গত এক মাস ধরে এ সংকট চলছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও উপবৃত্তি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জন্মসনদ জমা দিতে না পারায় উপজেলার ১৩৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ৭৩ শিক্ষার্থীর অভিভাবক ফিরে গেছেন। এতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে উপজেলার শিশু শিক্ষার্থীদের ভর্তি-উপবৃত্তি।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে ভর্তি-উপবৃত্তির ক্ষেত্রে জন্মসনদ বাধ্যতামূলক। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির কার্যক্রম রূপালী ব্যাংকের ‘শিওর ক্যাশ’ থেকে ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন ‘নগদ’-এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। শিওর ক্যাশে জন্মসনদ বাধ্যতামূলক না থাকলেও ‘নগদ পোর্টালে’ জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু সার্ভার জটিলতার কারণে উপবৃত্তির তথ্য সঠিক সময়ে জমা দেওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এর আগে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তথ্য জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে কেউ তথ্য জমা দিতে না পারায় আবার ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সার্ভারের কারিগরি জটিলতার সমাধান হয়নি।
উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদে জন্মসনদ নিতে আসা অভিভাবক হাবিবুর রহমান বলেন, ১০ দিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদে ঘুরছি। কিন্তু জন্মসনদ পাইনি। তারা বলে সার্ভার ডাউন। এদিকে স্কুল থেকে শিক্ষকরা চাপ দিচ্ছেন।
উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা কৃষ্ণ চক্রবর্তী বলেন, পরিষদে কয়েকশ জন্মনিবন্ধন আবেদন জমা পড়েছে। সাত-আট দিন ঘুরেও অনেকে জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে পারেননি। গভীর রাতে ও ভোরে সার্ভারে ঢুকে দুয়েকটা জন্মনিবন্ধন করতে পারি।
কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, স্কুলে ভর্তি হতে জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক। জন্মনিবন্ধন না দিতে পেরে অনেকেই বাচ্চাকে ভর্তি করাতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সার্ভার ডাউন থাকায় জন্মনিবন্ধন পেতে সমস্যা হচ্ছে। সার্ভার আপডেটের কাজ শেষ হলে বিষয়টির সমাধান হবে।
শেয়ার করুন
মাগুরা প্রতিনিধি | ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় সার্ভার জটিলতার কারণে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর স্কুলে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকরা। সার্ভারের কারিগরি জটিলতায় জন্মসনদ পেতে দুর্ভোগে পড়ছেন মহম্মদপুরের আটটি ইউনিয়নের নাগরিকরা। গত এক মাস ধরে এ সংকট চলছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও উপবৃত্তি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জন্মসনদ জমা দিতে না পারায় উপজেলার ১৩৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ৭৩ শিক্ষার্থীর অভিভাবক ফিরে গেছেন। এতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে উপজেলার শিশু শিক্ষার্থীদের ভর্তি-উপবৃত্তি।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে ভর্তি-উপবৃত্তির ক্ষেত্রে জন্মসনদ বাধ্যতামূলক। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির কার্যক্রম রূপালী ব্যাংকের ‘শিওর ক্যাশ’ থেকে ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন ‘নগদ’-এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। শিওর ক্যাশে জন্মসনদ বাধ্যতামূলক না থাকলেও ‘নগদ পোর্টালে’ জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু সার্ভার জটিলতার কারণে উপবৃত্তির তথ্য সঠিক সময়ে জমা দেওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এর আগে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তথ্য জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে কেউ তথ্য জমা দিতে না পারায় আবার ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সার্ভারের কারিগরি জটিলতার সমাধান হয়নি।
উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদে জন্মসনদ নিতে আসা অভিভাবক হাবিবুর রহমান বলেন, ১০ দিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদে ঘুরছি। কিন্তু জন্মসনদ পাইনি। তারা বলে সার্ভার ডাউন। এদিকে স্কুল থেকে শিক্ষকরা চাপ দিচ্ছেন।
উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা কৃষ্ণ চক্রবর্তী বলেন, পরিষদে কয়েকশ জন্মনিবন্ধন আবেদন জমা পড়েছে। সাত-আট দিন ঘুরেও অনেকে জন্মনিবন্ধন সনদ নিতে পারেননি। গভীর রাতে ও ভোরে সার্ভারে ঢুকে দুয়েকটা জন্মনিবন্ধন করতে পারি।
কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানান, স্কুলে ভর্তি হতে জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক। জন্মনিবন্ধন না দিতে পেরে অনেকেই বাচ্চাকে ভর্তি করাতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সার্ভার ডাউন থাকায় জন্মনিবন্ধন পেতে সমস্যা হচ্ছে। সার্ভার আপডেটের কাজ শেষ হলে বিষয়টির সমাধান হবে।