মির্জাপুর উপজেলা
পাহারা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না গরু চুরি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি | ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের কাজিহগারা ও গল্লি গ্রামের কৃষকরা গরুচোরের উপদ্রবে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। রাত জেগে পাহারা দিয়েও ঠেকাতে পারছেন না গরু চুরি। গত তিন মাসে গ্রাম দুটির কৃষকদের অন্তত ২৮টি গরু চুরি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত নভেম্বর থেকে এই গ্রাম দুটিতে গরু চুরি শুরু হয়। ট্রাক বা পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে চোরের দল গোয়ালঘরের তালা ভেঙে গরু নিয়ে যাচ্ছে। গরু চুরির ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটতে থাকায় গ্রাম দুটির কৃষকরা রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তারপরও এই গরু চুরি ঠেকাতে পারছেন না তারা। কারণ চোরের দল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দল বেঁধে আসায় কৃষকরা ভয়ে তা ঠেকাতে পারছেন না বলে গরু চুরিতে সর্বস্বান্ত হওয়া গল্লি গ্রামের দৌলত আলী খান এবং কাজিহারা গ্রামের খালেক মিয়া জানিয়েছেন।
এ পর্যন্ত ওই গ্রাম দুটি থেকে মনির মিয়ার দুটি, সবুর মিয়ার তিনটি, খালেক মিয়ার চারটি, দৌলত আলী খানের পাঁচটি, হোসেন আলী খানের দুটি, কুদ্দুছ আলীর তিনটি, রঞ্জু মিয়ার পাঁচটি, সোলায়মানের তিনটি, আল্লেছ তালুকদারের একটিসহ মোট ২৮টি গরু একইভাবে চুরি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
এই গরু চুরির হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ১৮ জানুয়ারি মির্জাপুর থানায় লিখিতভাবে আবেদন জানানো হয়েছে বলে গল্লি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা দাউদ খান জানিয়েছেন। মির্জাপুর থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অচিরেই এই চোরের দলকে ধরা হবে।
শেয়ার করুন
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি | ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের কাজিহগারা ও গল্লি গ্রামের কৃষকরা গরুচোরের উপদ্রবে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। রাত জেগে পাহারা দিয়েও ঠেকাতে পারছেন না গরু চুরি। গত তিন মাসে গ্রাম দুটির কৃষকদের অন্তত ২৮টি গরু চুরি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত নভেম্বর থেকে এই গ্রাম দুটিতে গরু চুরি শুরু হয়। ট্রাক বা পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে চোরের দল গোয়ালঘরের তালা ভেঙে গরু নিয়ে যাচ্ছে। গরু চুরির ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটতে থাকায় গ্রাম দুটির কৃষকরা রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তারপরও এই গরু চুরি ঠেকাতে পারছেন না তারা। কারণ চোরের দল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দল বেঁধে আসায় কৃষকরা ভয়ে তা ঠেকাতে পারছেন না বলে গরু চুরিতে সর্বস্বান্ত হওয়া গল্লি গ্রামের দৌলত আলী খান এবং কাজিহারা গ্রামের খালেক মিয়া জানিয়েছেন।
এ পর্যন্ত ওই গ্রাম দুটি থেকে মনির মিয়ার দুটি, সবুর মিয়ার তিনটি, খালেক মিয়ার চারটি, দৌলত আলী খানের পাঁচটি, হোসেন আলী খানের দুটি, কুদ্দুছ আলীর তিনটি, রঞ্জু মিয়ার পাঁচটি, সোলায়মানের তিনটি, আল্লেছ তালুকদারের একটিসহ মোট ২৮টি গরু একইভাবে চুরি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
এই গরু চুরির হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ১৮ জানুয়ারি মির্জাপুর থানায় লিখিতভাবে আবেদন জানানো হয়েছে বলে গল্লি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা দাউদ খান জানিয়েছেন। মির্জাপুর থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অচিরেই এই চোরের দলকে ধরা হবে।