বিতর্কিতদের বহিষ্কার করায় খুশি যুবদল নেতারা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
কমিটি গঠনে আর্থিক অনিয়ম, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা নেতাদের পদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা যুবদলের নেতারা। তারা বলেন, এ বিষয়ে তারা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে অভিযোগ করছেন। লন্ডনে বসে তারেক রহমানও কমিটি গঠনের বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাগরপুর উপজেলার আহ্বায়ক কমিটিতে বিতর্কিত সাহাবুল আলম দুলালকে পদ দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে কেন্দ্রে অভিযোগ করা হলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফনির হোসেন ভূঁইয়া গতকাল শনিবার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাহাবুল আলম দুলাল বিতর্কিত ব্যক্তি। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে তাকে সবাই চেনে। বিভিন্ন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। তারানা হালিম মন্ত্রী থাকাবস্থায় তার ডিও লেটার দিয়ে এলাকায় ঠিকাদারি কাজ করেছেন। এলাকায় নানারকম প্রতারণামূলক কাজ করেন। তাকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হলে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে চিঠি দেন তাকে বাদ দেওয়ার জন্য। পরে গত বৃহষ্পতিবার তাকে বহিষ্কার করা হয়। সে চিঠি আমার কাছে পৌঁছালে সে চিঠি তাকে দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিতর্কিত এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে নানা সুযোগ-সুবিধা নেওয়া ব্যক্তিদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করায় তৃণমূলে প্রচ- রকম হতাশা, ক্ষোভ ও অস্থিরতা দেখা দেয়। এরপর বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিতর্কিত ব্যক্তিদের অব্যাহতি ও বহিষ্কারের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। সম্প্রতি নাগরপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিতর্কিত সাহাবুল আলম দুলালকে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেছেন, এমন বিতর্কিত ব্যক্তিকে নানা সুবিধার বিনিময়ে পদ-পদাব পাইয়ে দেওয়া নেতারা তাকে পদে বহাল রাখতে যথেষ্ট দৌড়ঝাঁপ ও তদবির চালিয়েছেন। কিন্তু দলীয় হাইকমান্ডের সঠিক সিদ্ধান্তে তাদের অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তারা আরও বলেন, এ ধরনের ব্যক্তির পদায়নে তৃণমূলের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা পদবঞ্চিত হচ্ছে, ফলে দলের জন্য যারা নিবেদিত এবং বিভিন্ন সময় মামলা-হামলা ও নির্যাতিত কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাচ্ছিল। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তৃণমলের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে দলীয় হাইকমান্ডকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি দলের প্রতি তাদের আস্থা, বিশ্বাস এবং দায়িত্ববোধ বহুগুণে বেড়ে গেছে। দল এখন দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন নীতিতে এগোবে ইনশাল্লাহ্। আওয়ামী লীগের দালালদের আর এই দলে জায়গা নেই। এদিকে যুবদলের ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর যুবদলের পুনর্গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন নান্নু গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাহাবুল আলম দুলালের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠলে এ বিষয়ে তদন্ত করা হয়। তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি চিঠি পেয়ে গেছেন।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

কমিটি গঠনে আর্থিক অনিয়ম, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা নেতাদের পদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা যুবদলের নেতারা। তারা বলেন, এ বিষয়ে তারা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে অভিযোগ করছেন। লন্ডনে বসে তারেক রহমানও কমিটি গঠনের বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাগরপুর উপজেলার আহ্বায়ক কমিটিতে বিতর্কিত সাহাবুল আলম দুলালকে পদ দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে কেন্দ্রে অভিযোগ করা হলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফনির হোসেন ভূঁইয়া গতকাল শনিবার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাহাবুল আলম দুলাল বিতর্কিত ব্যক্তি। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে তাকে সবাই চেনে। বিভিন্ন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। তারানা হালিম মন্ত্রী থাকাবস্থায় তার ডিও লেটার দিয়ে এলাকায় ঠিকাদারি কাজ করেছেন। এলাকায় নানারকম প্রতারণামূলক কাজ করেন। তাকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হলে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে চিঠি দেন তাকে বাদ দেওয়ার জন্য। পরে গত বৃহষ্পতিবার তাকে বহিষ্কার করা হয়। সে চিঠি আমার কাছে পৌঁছালে সে চিঠি তাকে দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিতর্কিত এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে নানা সুযোগ-সুবিধা নেওয়া ব্যক্তিদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করায় তৃণমূলে প্রচ- রকম হতাশা, ক্ষোভ ও অস্থিরতা দেখা দেয়। এরপর বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিতর্কিত ব্যক্তিদের অব্যাহতি ও বহিষ্কারের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। সম্প্রতি নাগরপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিতর্কিত সাহাবুল আলম দুলালকে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেছেন, এমন বিতর্কিত ব্যক্তিকে নানা সুবিধার বিনিময়ে পদ-পদাব পাইয়ে দেওয়া নেতারা তাকে পদে বহাল রাখতে যথেষ্ট দৌড়ঝাঁপ ও তদবির চালিয়েছেন। কিন্তু দলীয় হাইকমান্ডের সঠিক সিদ্ধান্তে তাদের অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তারা আরও বলেন, এ ধরনের ব্যক্তির পদায়নে তৃণমূলের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা পদবঞ্চিত হচ্ছে, ফলে দলের জন্য যারা নিবেদিত এবং বিভিন্ন সময় মামলা-হামলা ও নির্যাতিত কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাচ্ছিল। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তৃণমলের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে দলীয় হাইকমান্ডকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি দলের প্রতি তাদের আস্থা, বিশ্বাস এবং দায়িত্ববোধ বহুগুণে বেড়ে গেছে। দল এখন দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন নীতিতে এগোবে ইনশাল্লাহ্। আওয়ামী লীগের দালালদের আর এই দলে জায়গা নেই। এদিকে যুবদলের ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর যুবদলের পুনর্গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন নান্নু গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাহাবুল আলম দুলালের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠলে এ বিষয়ে তদন্ত করা হয়। তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি চিঠি পেয়ে গেছেন।’