আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২৫
বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
শহীদ মিনারে আগে-পরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুপক্ষের বিরোধ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। গত শনিবার রাত থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল, সংঘর্ষ, সড়ক অবরোধ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিশুপার্ক ও বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একপক্ষ মামলা করলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ।
দলীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে গত শনিবার রাতে উপজেলা সদরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্থানীয় সাংসদ আ স ম ফিরোজ ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক সমর্থিত দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি ও ফুলের তোড়া ভাঙার ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন রবিবার সন্ধ্যার পর উপজেলা ছাত্রলীগের (মেয়র পক্ষের) সভাপতি সাইদুর রহমান হাসানের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হলে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে গতকাল সোমবার পর্যন্ত আহত হয়েছেন এক সাংবাদিকসহ দুপক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন। এসব ঘটনায় সাংসদ পক্ষের হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে গত রবিবার রাতে মেয়র পক্ষের ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
এদিকে গতকাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের নেতৃত্বে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন এবং বাউফল থানার সামনের সড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ¦ালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। ওই প্রতিবাদ মিছিল থেকে হামলা চালিয়ে ১০টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে দুপুর ২টার দিকে একটি শিশুপার্কে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর এবং নাজিরপুর গ্রামে একটি বাড়িতে হামলা চালানো হয়। তাতে বাধা দিলে একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ভাঙচুরের ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হন সাংবাদিক মো. জাহিদ।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (সাংসদ পক্ষের) আবদুল মোতালেব হাওলাদার জানান, শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি করেছেন তারা। তাদের কোনো লোক হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত নয়।
অন্যদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (মেয়র পক্ষের) মাহমুদ রাহাত জামসেদ বলেন, ‘তারা গায়েপড়ে ঝগড়া বাধিয়েছে। আমাদের ফুলের তোড়া ভেঙে দিয়েছে।’
বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শেয়ার করুন
বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

শহীদ মিনারে আগে-পরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুপক্ষের বিরোধ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। গত শনিবার রাত থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল, সংঘর্ষ, সড়ক অবরোধ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিশুপার্ক ও বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একপক্ষ মামলা করলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ।
দলীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে গত শনিবার রাতে উপজেলা সদরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্থানীয় সাংসদ আ স ম ফিরোজ ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক সমর্থিত দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি ও ফুলের তোড়া ভাঙার ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন রবিবার সন্ধ্যার পর উপজেলা ছাত্রলীগের (মেয়র পক্ষের) সভাপতি সাইদুর রহমান হাসানের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হলে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে গতকাল সোমবার পর্যন্ত আহত হয়েছেন এক সাংবাদিকসহ দুপক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন। এসব ঘটনায় সাংসদ পক্ষের হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে গত রবিবার রাতে মেয়র পক্ষের ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
এদিকে গতকাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের নেতৃত্বে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন এবং বাউফল থানার সামনের সড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ¦ালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। ওই প্রতিবাদ মিছিল থেকে হামলা চালিয়ে ১০টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে দুপুর ২টার দিকে একটি শিশুপার্কে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর এবং নাজিরপুর গ্রামে একটি বাড়িতে হামলা চালানো হয়। তাতে বাধা দিলে একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ভাঙচুরের ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হন সাংবাদিক মো. জাহিদ।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (সাংসদ পক্ষের) আবদুল মোতালেব হাওলাদার জানান, শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি করেছেন তারা। তাদের কোনো লোক হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত নয়।
অন্যদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক (মেয়র পক্ষের) মাহমুদ রাহাত জামসেদ বলেন, ‘তারা গায়েপড়ে ঝগড়া বাধিয়েছে। আমাদের ফুলের তোড়া ভেঙে দিয়েছে।’
বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।