খাল খননের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
তালহা জুবায়ের, চাঁদপুর | ১১ মে, ২০২১ ০০:০০
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, প্রকল্প কমিটির চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম ও প্রকল্পের সেক্রেটারির বিরুদ্ধে খাল খননের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। খাল খনন না করে ঘাস, লতা-পাতা পরিষ্কার করে প্রকল্পের টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাল খনন না করে টাকা লুটপাটের ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় কৃষকরা।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বিজয়পুর গ্রামের মৃত জাকির মাস্টারের ছেলে মজিবুর রহমান গত ২৭ এপ্রিল শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইউজিপিপি) আওতায় রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়পুর দাইদিঘীর পাড় থেকে কেরানী সাহেবের বাড়ি হয়ে মিজি বাড়ি পর্যন্ত খাল পুনঃখননের জন্য ৮০ হাজার ৪০০ ঘনফুট মাটি কেটে ৬৭ জন শ্রমিকের ২০০ টাকা হারে ৪০ দিনের মজুরি বাবদ ৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। গত বছরের ৩১ অক্টোবর শুরু হয়ে ২৩ ডিসেম্বর কাজ শেষ হয়। কিন্তু বাইরে থেকে নামমাত্র শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে এলাকার ৬৭ শ্রমিকের নাম জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া জব কার্ড তৈরি করে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ ওঠে ইউপি চেয়ারম্যান, প্রকল্প চেয়ারম্যানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খালের এক ফুট মাটিও কাটা হয়নি। ৫-৬ জন শ্রমিক ২-৩ দিন ঘাস, লতা-পাতা ও পরিষ্কার করেছেন।
খাল খনন প্রকল্প কমিটির চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমি কাগজপত্রেই প্রকল্প কমিটির চেয়ারম্যান। এই প্রকল্পের ভালো-মন্দ কোনো কিছুই আমার জানা নেই। চেয়ারম্যান নিজে সব তদারক করেছেন। তবে বিলের কাগজে স্বাক্ষর দিয়েছি।’
এ ব্যাপারে রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ বলেন, পরপর ২ বছর খাল খননকাজ করেছি। প্রকল্প চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম নিজে কাজ করিয়ে বিল উত্তোলন করেছেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। কাজ নিয়মমতো করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সবুজ মিয়া বলেন, খাল খননের কাজ নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়েছে। কাজে কোথাও কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। আমি নিজে খাল পরিদর্শন করেছিলাম।
শেয়ার করুন
তালহা জুবায়ের, চাঁদপুর | ১১ মে, ২০২১ ০০:০০

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, প্রকল্প কমিটির চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম ও প্রকল্পের সেক্রেটারির বিরুদ্ধে খাল খননের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। খাল খনন না করে ঘাস, লতা-পাতা পরিষ্কার করে প্রকল্পের টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাল খনন না করে টাকা লুটপাটের ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় কৃষকরা।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বিজয়পুর গ্রামের মৃত জাকির মাস্টারের ছেলে মজিবুর রহমান গত ২৭ এপ্রিল শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইউজিপিপি) আওতায় রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়পুর দাইদিঘীর পাড় থেকে কেরানী সাহেবের বাড়ি হয়ে মিজি বাড়ি পর্যন্ত খাল পুনঃখননের জন্য ৮০ হাজার ৪০০ ঘনফুট মাটি কেটে ৬৭ জন শ্রমিকের ২০০ টাকা হারে ৪০ দিনের মজুরি বাবদ ৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। গত বছরের ৩১ অক্টোবর শুরু হয়ে ২৩ ডিসেম্বর কাজ শেষ হয়। কিন্তু বাইরে থেকে নামমাত্র শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে এলাকার ৬৭ শ্রমিকের নাম জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া জব কার্ড তৈরি করে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ ওঠে ইউপি চেয়ারম্যান, প্রকল্প চেয়ারম্যানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খালের এক ফুট মাটিও কাটা হয়নি। ৫-৬ জন শ্রমিক ২-৩ দিন ঘাস, লতা-পাতা ও পরিষ্কার করেছেন।
খাল খনন প্রকল্প কমিটির চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমি কাগজপত্রেই প্রকল্প কমিটির চেয়ারম্যান। এই প্রকল্পের ভালো-মন্দ কোনো কিছুই আমার জানা নেই। চেয়ারম্যান নিজে সব তদারক করেছেন। তবে বিলের কাগজে স্বাক্ষর দিয়েছি।’
এ ব্যাপারে রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ বলেন, পরপর ২ বছর খাল খননকাজ করেছি। প্রকল্প চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম নিজে কাজ করিয়ে বিল উত্তোলন করেছেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। কাজ নিয়মমতো করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সবুজ মিয়া বলেন, খাল খননের কাজ নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়েছে। কাজে কোথাও কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। আমি নিজে খাল পরিদর্শন করেছিলাম।