বই ৬৫ হাজার, পাঠক ১০৭ জন
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা | ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০
তাকের মধ্যে সারিবদ্ধ সাজানো হাজার হাজার বই, সাজানো গোছানো পড়ার টেবিল, ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, সবই আছে। শুধু নেই পাঠক। এমনই চিত্র চুয়াডাঙ্গার দুটি গণগ্রন্থাগারের। একটি জেলা শহরের শহীদ রবিউল ইসলাম সড়কের টিঅ্যান্ডটি মোড়ে অবস্থিত চুয়াডাঙ্গা সরকারি গণগ্রন্থাগার এবং অন্যটি শহীদ আবুল হোসেন সড়কে অবস্থিত আবুল হোসেন স্মৃতি পাঠাগার। গ্রন্থাগার দুটিতে ৬৫ হাজার বই সংগ্রহ থাকলেও সর্বসাকল্যে পাঠক সংখ্যা মাত্র ১০৭ জন।
গ্রন্থাগার দুটির কয়েকজন সক্রিয় সদস্য জানান, জেলাবাসীর অনেকেই জানেন না এখানে গণগ্রন্থাগার আছে। পরিচিতি বাড়াতে নেই কোনো প্রচার-প্রচারণা। ফলে গ্রন্থাগারে পর্যাপ্ত পরিমাণে বই থাকলেও নতুন পাঠক আসছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবুল হোসেন স্মৃতি পাঠাগারটি ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর সংস্কারকাজ চলছে। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পাঠকের জন্য খোলা থাকে শতবর্ষী এ পাঠাগার। সাধারণ সদস্যদের মাসিক চাঁদা ২০ টাকা এবং শিক্ষার্থীদের চাঁদা ১০ টাকা হলেও এখানে একজন শিক্ষার্থীও সদস্য হয়নি। পাঠাগারটিতে ২৮ হাজার বই সংগৃহীত আছে। পাঠাগারে বর্তমানে পাঠকসংখ্যা ১২ জন। চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী পাঠাগার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন।
অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি গণগ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দেখা মিললেও তা অনিয়মিত। বেশিরভাগ সময় পড়ার কক্ষ থাকে পাঠকশূন্য। গ্রন্থাগারটিতে বর্তমান সদস্যসংখ্যা মাত্র ৯৫ জন। চলতি বছরে জেলার সরকারি এ গ্রন্থাগারে নতুন সদস্য হয়েছেন মাত্র ১৪ জন।
গণগ্রন্থাগারটির জুনিয়র গ্রন্থাগারিক জুলফিকার মতিন জানান, গ্রন্থাগারে স্থানীয় লেখকদের বইসহ বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য, আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, শিশুসাহিত্য, দর্শন, খেলাধুলা, বাণিজ্য, ধর্মীয়, ভ্রমণ কাহিনী, আত্মজীবনী, বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ের ৩৭ হাজার বই রয়েছে।
গ্রন্থাগারের পাঠক মজিবুর রহমান বলেন, ‘বইপ্রেমীদের চাহিদা পূরণ করতে গণগ্রন্থাগারের বিকল্প নেই। লাইব্রেরিতে অনেক বই কিন্তু পাঠক আসে না। কারণ অনেকেই জানেন না এখানে লাইব্রেরি আছে।’
চুয়াডাঙ্গা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরি অ্যাসিস্ট্যান্ট আবু সাঈদ মামুন বলেন, ‘গ্রন্থাগারে বই ছাড়াও পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয়, সাপ্তাহিক, মাসিক, চাকরির পত্রিকাসহ নিয়মিত ১৪টি পত্রিকা রাখা হয়। বর্তমানে আমরা পাঠক বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
শেয়ার করুন
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা | ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০

তাকের মধ্যে সারিবদ্ধ সাজানো হাজার হাজার বই, সাজানো গোছানো পড়ার টেবিল, ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, সবই আছে। শুধু নেই পাঠক। এমনই চিত্র চুয়াডাঙ্গার দুটি গণগ্রন্থাগারের। একটি জেলা শহরের শহীদ রবিউল ইসলাম সড়কের টিঅ্যান্ডটি মোড়ে অবস্থিত চুয়াডাঙ্গা সরকারি গণগ্রন্থাগার এবং অন্যটি শহীদ আবুল হোসেন সড়কে অবস্থিত আবুল হোসেন স্মৃতি পাঠাগার। গ্রন্থাগার দুটিতে ৬৫ হাজার বই সংগ্রহ থাকলেও সর্বসাকল্যে পাঠক সংখ্যা মাত্র ১০৭ জন।
গ্রন্থাগার দুটির কয়েকজন সক্রিয় সদস্য জানান, জেলাবাসীর অনেকেই জানেন না এখানে গণগ্রন্থাগার আছে। পরিচিতি বাড়াতে নেই কোনো প্রচার-প্রচারণা। ফলে গ্রন্থাগারে পর্যাপ্ত পরিমাণে বই থাকলেও নতুন পাঠক আসছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবুল হোসেন স্মৃতি পাঠাগারটি ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর সংস্কারকাজ চলছে। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পাঠকের জন্য খোলা থাকে শতবর্ষী এ পাঠাগার। সাধারণ সদস্যদের মাসিক চাঁদা ২০ টাকা এবং শিক্ষার্থীদের চাঁদা ১০ টাকা হলেও এখানে একজন শিক্ষার্থীও সদস্য হয়নি। পাঠাগারটিতে ২৮ হাজার বই সংগৃহীত আছে। পাঠাগারে বর্তমানে পাঠকসংখ্যা ১২ জন। চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী পাঠাগার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন।
অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি গণগ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দেখা মিললেও তা অনিয়মিত। বেশিরভাগ সময় পড়ার কক্ষ থাকে পাঠকশূন্য। গ্রন্থাগারটিতে বর্তমান সদস্যসংখ্যা মাত্র ৯৫ জন। চলতি বছরে জেলার সরকারি এ গ্রন্থাগারে নতুন সদস্য হয়েছেন মাত্র ১৪ জন।
গণগ্রন্থাগারটির জুনিয়র গ্রন্থাগারিক জুলফিকার মতিন জানান, গ্রন্থাগারে স্থানীয় লেখকদের বইসহ বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য, আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, শিশুসাহিত্য, দর্শন, খেলাধুলা, বাণিজ্য, ধর্মীয়, ভ্রমণ কাহিনী, আত্মজীবনী, বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ের ৩৭ হাজার বই রয়েছে।
গ্রন্থাগারের পাঠক মজিবুর রহমান বলেন, ‘বইপ্রেমীদের চাহিদা পূরণ করতে গণগ্রন্থাগারের বিকল্প নেই। লাইব্রেরিতে অনেক বই কিন্তু পাঠক আসে না। কারণ অনেকেই জানেন না এখানে লাইব্রেরি আছে।’
চুয়াডাঙ্গা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরি অ্যাসিস্ট্যান্ট আবু সাঈদ মামুন বলেন, ‘গ্রন্থাগারে বই ছাড়াও পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয়, সাপ্তাহিক, মাসিক, চাকরির পত্রিকাসহ নিয়মিত ১৪টি পত্রিকা রাখা হয়। বর্তমানে আমরা পাঠক বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’