শ্রীবরদীতে টাকায় নৌকার মনোনয়নের অভিযোগ
শেরপুর সংবাদদাতা | ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০
গ্রুপিংয়ে জর্জরিত শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ আরও বেড়েছে। গত সোমবার উপজেলার আট ইউনিয়নে দলের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশের দাবি, মনোনয়নকে কেন্দ্র করে প্রায় আড়াই কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। তারা বলছেন, মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে হত্যা মামলার আসামি, রাজাকারের সন্তান, অনুপ্রবেশকারী ও বিএনপির সমর্থক। পরীক্ষিতদের বাদ দিয়ে নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে জনবিচ্ছিন্নদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। শুধু টাকার ওপর ভর করে কয়েকজন প্রার্থী নৌকা পেয়েছেন। যাদের শ্রম-ঘাম দিয়ে দল চলে, তারা এখন বঞ্চিত। মনোনয়ন তালিকা প্রকাশের পর দলের ভেতর ছাড়াও সাধারণ মানুষের সমালোচনায়ও প্রশ্নবিদ্ধ মনোনীতরা।
সিঙ্গাবরুণা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা রহুল আমিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে রাজাকারপুত্র, বিএনপি নেতা, ফ্রিডম পার্টির লোকজন এখন নৌকার মালিক। আদর্শ নয়, টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। দু-এক দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দিয়ে বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নেব।’
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। প্রতি ইউনিয়নেই নৌকা মনোনীত ও দলের ‘বিদ্রোহী’ মিলে গড়ে অন্তত ছয়জন করে প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে টাকার লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম লিটন জানিয়েছেন, মনোনয়নে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোনো হাত নেই। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নিরেট আওয়ামী লীগ বাছাই করে নিজ নিজ ইউনিয়ন কমিটি একাধিক নাম পাঠিয়েছে। উপজেলা কমিটি সব নাম জেলা কমিটির মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। কেন্দ্র মনোনয়ন দিয়েছে। সুতরাং মনোনয়ন-বাণিজ্য এখানে অসম্ভব। বিএনপি-জামায়াত এসব গুজব ছড়াচ্ছে।’
শেয়ার করুন
শেরপুর সংবাদদাতা | ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০

গ্রুপিংয়ে জর্জরিত শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ আরও বেড়েছে। গত সোমবার উপজেলার আট ইউনিয়নে দলের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশের দাবি, মনোনয়নকে কেন্দ্র করে প্রায় আড়াই কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। তারা বলছেন, মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে হত্যা মামলার আসামি, রাজাকারের সন্তান, অনুপ্রবেশকারী ও বিএনপির সমর্থক। পরীক্ষিতদের বাদ দিয়ে নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে জনবিচ্ছিন্নদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। শুধু টাকার ওপর ভর করে কয়েকজন প্রার্থী নৌকা পেয়েছেন। যাদের শ্রম-ঘাম দিয়ে দল চলে, তারা এখন বঞ্চিত। মনোনয়ন তালিকা প্রকাশের পর দলের ভেতর ছাড়াও সাধারণ মানুষের সমালোচনায়ও প্রশ্নবিদ্ধ মনোনীতরা।
সিঙ্গাবরুণা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা রহুল আমিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে রাজাকারপুত্র, বিএনপি নেতা, ফ্রিডম পার্টির লোকজন এখন নৌকার মালিক। আদর্শ নয়, টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। দু-এক দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দিয়ে বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নেব।’
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। প্রতি ইউনিয়নেই নৌকা মনোনীত ও দলের ‘বিদ্রোহী’ মিলে গড়ে অন্তত ছয়জন করে প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে টাকার লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম লিটন জানিয়েছেন, মনোনয়নে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোনো হাত নেই। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নিরেট আওয়ামী লীগ বাছাই করে নিজ নিজ ইউনিয়ন কমিটি একাধিক নাম পাঠিয়েছে। উপজেলা কমিটি সব নাম জেলা কমিটির মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। কেন্দ্র মনোনয়ন দিয়েছে। সুতরাং মনোনয়ন-বাণিজ্য এখানে অসম্ভব। বিএনপি-জামায়াত এসব গুজব ছড়াচ্ছে।’