বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগের নামে ‘ঘুষবাণিজ্য’
কাপাসিয়া (গাজীপুর) সংবাদদাতা | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
গাজীপুরের কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নের ডুমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে চারজন কর্মচারী নিয়োগের নামে প্রার্থীদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। নিয়োগ প্রার্থীরা দীর্ঘদিন যাবৎ নিয়োগ না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে নানা অজুহাতে টালবাহানা করছেন ওই প্রধান শিক্ষক। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক নিয়োগ প্রার্থী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডুমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল ও সাধারণ শাখায় শূন্যপদে একজন করে কম্পিউটার অ্যাসিস্ট্যান্ট, জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস, নৈশপ্রহরী ও আয়া পদে লোক নিয়োগের জন্য গত জুন মাসের ৮ ও ৯ তারিখ জাতীয় পত্রিকায় দুটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ দেওয়ার আশ্বাসে স্থানীয় দুলাল মিয়ার ছেলে আবদুল আলীম মীরের কাছ থেকে প্রায় ছয় মাস আগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম ৩ লাখ টাকা ঘুষ নেন। একই পদে আরও কয়েকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন জানতে পেরে আবদুল আলীম টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক নানা টালবাহানা করছেন। এছাড়া আয়া পদে নিয়োগ প্রার্থী জাকিয়া সুলতানার পিতা ফজলুল করিম জানান, তার মেয়েকে আয়া পদে নিয়োগ দেবেন বলে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নাসিরউদ্দিন মাস্টার আড়াই লাখ টাকা ঘুষ নেন।
গত ২৩ নভেম্বর নিয়োগ বোর্ড গঠন হলে ঘুষবাণিজ্যের বিষয়টি প্রকাশ হয়। ফলে চারটি পদেই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। পরে আয়া পদের প্রার্থী অনেক দেন দরবার করে টাকা ফেরত পেলেও প্রধান শিক্ষক টাকা ফেরত দেননি।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী স্থানীয় শামীম অভিযোগ করেন, ‘চারটি পদে ৮-১০ জন প্রার্থীর কাছ থেকে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট প্রায় ২৭ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। বেশিরভাগই টাকা ফেরত পায়নি।’
টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্রমূলক।’
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নাসিরউদ্দিন মাস্টার বলেন, ‘একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিন তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
শেয়ার করুন
কাপাসিয়া (গাজীপুর) সংবাদদাতা | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

গাজীপুরের কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নের ডুমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে চারজন কর্মচারী নিয়োগের নামে প্রার্থীদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। নিয়োগ প্রার্থীরা দীর্ঘদিন যাবৎ নিয়োগ না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে নানা অজুহাতে টালবাহানা করছেন ওই প্রধান শিক্ষক। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক নিয়োগ প্রার্থী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডুমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল ও সাধারণ শাখায় শূন্যপদে একজন করে কম্পিউটার অ্যাসিস্ট্যান্ট, জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস, নৈশপ্রহরী ও আয়া পদে লোক নিয়োগের জন্য গত জুন মাসের ৮ ও ৯ তারিখ জাতীয় পত্রিকায় দুটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ দেওয়ার আশ্বাসে স্থানীয় দুলাল মিয়ার ছেলে আবদুল আলীম মীরের কাছ থেকে প্রায় ছয় মাস আগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম ৩ লাখ টাকা ঘুষ নেন। একই পদে আরও কয়েকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন জানতে পেরে আবদুল আলীম টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষক নানা টালবাহানা করছেন। এছাড়া আয়া পদে নিয়োগ প্রার্থী জাকিয়া সুলতানার পিতা ফজলুল করিম জানান, তার মেয়েকে আয়া পদে নিয়োগ দেবেন বলে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নাসিরউদ্দিন মাস্টার আড়াই লাখ টাকা ঘুষ নেন।
গত ২৩ নভেম্বর নিয়োগ বোর্ড গঠন হলে ঘুষবাণিজ্যের বিষয়টি প্রকাশ হয়। ফলে চারটি পদেই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। পরে আয়া পদের প্রার্থী অনেক দেন দরবার করে টাকা ফেরত পেলেও প্রধান শিক্ষক টাকা ফেরত দেননি।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী স্থানীয় শামীম অভিযোগ করেন, ‘চারটি পদে ৮-১০ জন প্রার্থীর কাছ থেকে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট প্রায় ২৭ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। বেশিরভাগই টাকা ফেরত পায়নি।’
টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্রমূলক।’
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নাসিরউদ্দিন মাস্টার বলেন, ‘একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিন তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’