চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন
বিএনপির কারচুপির অভিযোগ ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর ভোট বর্জন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
বড় ধরনের কোনো সহিংসতা ছাড়াই গতকাল মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাংসদ হারুনুর রশিদ হারুন। একই অভিযোগ তুলে বিকেলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী সামিউল হক লিটন।
পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের ৭২টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকালে শহরের কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।
এদিকে ভোটগ্রহণ চলার মাঝে বেলা ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদ হারুন তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, বহিরাগতদের নিয়ে পৌরসভার কেন্দ্রগুলো দখলে নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী নারিকেলগাছ প্রতীকেরসহ অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করা হচ্ছে। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বন্ধ করার জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে নারিকেলগাছ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তসিকুল ইসলাম তসিসহ বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মোবাইল ফোন প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন বেলা ৩টার দিকে তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রচারের মাঝে আমার ২২টি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। আমার সাত কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। এমনকি আমাকেও মারধর করবে এমন একটি অবস্থা। এ অবস্থায় আমি নির্বাচন থেকে আমাকে প্রত্যাহার করে নিলাম।
এ ব্যাপারে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রে জোর করে ভোটগ্রহণের ঘটনা ঘটলে ওই কেন্দ্রের নির্বাচন আমরা বন্ধ করে থাকি। এখানে জোর করে ভোটগ্রহণের সুযোগ নেই। ইভিএমে ফিঙ্গার মেলানোর পর ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। কাজেই যার ভোট সেই দিচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘ভোটগ্রহণে অনিয়মের কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে এলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন গত ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আইনি জটিলতায় নির্বাচন কমিশন থেকে তা স্থগিত করা হয়। পরে ৩০ নভেম্বর ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের মোখলেসুর রহমানসহ চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
শেয়ার করুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি | ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

বড় ধরনের কোনো সহিংসতা ছাড়াই গতকাল মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাংসদ হারুনুর রশিদ হারুন। একই অভিযোগ তুলে বিকেলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী সামিউল হক লিটন।
পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের ৭২টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকালে শহরের কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।
এদিকে ভোটগ্রহণ চলার মাঝে বেলা ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদ হারুন তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, বহিরাগতদের নিয়ে পৌরসভার কেন্দ্রগুলো দখলে নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী নারিকেলগাছ প্রতীকেরসহ অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করা হচ্ছে। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বন্ধ করার জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে নারিকেলগাছ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তসিকুল ইসলাম তসিসহ বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মোবাইল ফোন প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন বেলা ৩টার দিকে তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রচারের মাঝে আমার ২২টি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। আমার সাত কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। এমনকি আমাকেও মারধর করবে এমন একটি অবস্থা। এ অবস্থায় আমি নির্বাচন থেকে আমাকে প্রত্যাহার করে নিলাম।
এ ব্যাপারে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রে জোর করে ভোটগ্রহণের ঘটনা ঘটলে ওই কেন্দ্রের নির্বাচন আমরা বন্ধ করে থাকি। এখানে জোর করে ভোটগ্রহণের সুযোগ নেই। ইভিএমে ফিঙ্গার মেলানোর পর ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। কাজেই যার ভোট সেই দিচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘ভোটগ্রহণে অনিয়মের কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে এলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন গত ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আইনি জটিলতায় নির্বাচন কমিশন থেকে তা স্থগিত করা হয়। পরে ৩০ নভেম্বর ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের মোখলেসুর রহমানসহ চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।