চা বিক্রেতা মাজেদা এখন ইউপি সদস্য
পাবনা প্রতিনিধি | ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
পাবনার চাটমোহর উপজেলার চা বিক্রেতা মাজেদা খাতুন এখন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। চা বিক্রেতা থেকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। মাজেদা খাতুন বলেন, ‘আমি দরিদ্র মানুষ। গ্রামবাসী ভালোবেসে আমাকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছেন। বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন। মানুষের এই ভালোবাসার প্রতিদান আমি দিতে চাই।’
মাজেদা খাতুন মূলগ্রাম ইউনিয়নের মাঝগ্রামের বাসিন্দা এবং চাটমোহর রেলস্টেশনের পাশে একটি দোকানে তিনি চা বিক্রি করেন। নিজের জীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরে মাজেদা বলেন, ‘স্বামী সোবহান শেখ ছয় বছর আগে মারা গেলে প্রচ- অভাবে পড়ি। স্থানীয়দের পরামর্শে গ্রামের রেলের জমিতে চায়ের দোকান দিই। চায়ের দোকান থেকেই এখন আমি নিজের খরচ চালাই। একা সংসারে নিজের খরচ চালিয়ে আমি সব সময়ই মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছি। গ্রামবাসী আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন, আমি তার প্রতিদান জীবনের বিনিময়ে হলেও দিতে চাই।’ ইউপি সদস্য নির্বাচিত হলেও চা বিক্রি বন্ধ করবেন না বলে জানান মাজেদা। জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন শেষ করে সময় পেলেই চা বিক্রি করবেন। কারণ দোকান থেকে মানুষের খোঁজখবর জানা সহজ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম বলেন, ‘এমন সংগ্রামী নারী নিয়ে গ্রামবাসী গর্ব করতেই পারে।’
শেয়ার করুন
পাবনা প্রতিনিধি | ২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

পাবনার চাটমোহর উপজেলার চা বিক্রেতা মাজেদা খাতুন এখন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। চা বিক্রেতা থেকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। মাজেদা খাতুন বলেন, ‘আমি দরিদ্র মানুষ। গ্রামবাসী ভালোবেসে আমাকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছেন। বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন। মানুষের এই ভালোবাসার প্রতিদান আমি দিতে চাই।’
মাজেদা খাতুন মূলগ্রাম ইউনিয়নের মাঝগ্রামের বাসিন্দা এবং চাটমোহর রেলস্টেশনের পাশে একটি দোকানে তিনি চা বিক্রি করেন। নিজের জীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরে মাজেদা বলেন, ‘স্বামী সোবহান শেখ ছয় বছর আগে মারা গেলে প্রচ- অভাবে পড়ি। স্থানীয়দের পরামর্শে গ্রামের রেলের জমিতে চায়ের দোকান দিই। চায়ের দোকান থেকেই এখন আমি নিজের খরচ চালাই। একা সংসারে নিজের খরচ চালিয়ে আমি সব সময়ই মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছি। গ্রামবাসী আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন, আমি তার প্রতিদান জীবনের বিনিময়ে হলেও দিতে চাই।’ ইউপি সদস্য নির্বাচিত হলেও চা বিক্রি বন্ধ করবেন না বলে জানান মাজেদা। জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন শেষ করে সময় পেলেই চা বিক্রি করবেন। কারণ দোকান থেকে মানুষের খোঁজখবর জানা সহজ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম বলেন, ‘এমন সংগ্রামী নারী নিয়ে গ্রামবাসী গর্ব করতেই পারে।’