কাপাসিয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে হত্যা
শার্শায় নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি ও কাপাসিয়া (গাজীপুর) সংবাদদাতা | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
প্রেম করে বিয়ের এগারো মাসের মাথায় গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় স্বামীর হাতে মারুফা আক্তার (১৪) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। মারুফা উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের বড়বেড় গ্রামের মাসুদ রানার মেয়ে এবং পার্শ্ববর্তী শ্রীপুর উপজেলার বরমী উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। স্বামী ইমন হোসাইন (২০) বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে।
নিহতের বাবা মাসুদ রানা জানান, তার মেয়ে মারুফা ছোট সময় থেকে শ্রীপুরের বরকুল গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করত। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার এক পর্যায়ে প্রায় এগার মাস আগে ইমনের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। কিন্তু ইমনের পরিবার এ বিয়ে মেনে নেয়নি। তখন থেকেই তার মেয়েকে ইমনের বাড়িতে নানা ধরনের নির্যাতন সইতে হতো। প্রায় দেড় মাস আগে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলে মারুফা বাবার বাড়ি চলে আসে। পরে ইমন তাকে ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করলেও মারুফা তাতে সাড়া দেয়নি। গত শুক্রবার দুপুরে ইমন তার বাড়ি আসে এবং দুজন এক সঙ্গে রাতে ঘুমাতে যায়। কিন্তু সকালে ঘরে পাওয়া যায় মারুফার নিথর দেহ।
তিনি আরও জানান, শনিবার (গতকাল) বেলা ১১টার দিকে ইমন তাকে ফোন করে বলে, আমি আপনার মেয়েকে মেরে ফেলেছি।
কাপাসিয়া থানার ওসি এ.এফ.এম নাসিম জানান, ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, যশোরের শার্শায় নিখোঁজের এক দিন পর নদীর কচুরিপানার নিচ থেকে নাসির মোল্লা (৪৬) নামে এক চাল ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার নারায়ণপুর গ্রাম সংলগ্ন বেতনা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে নাসিরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
শেয়ার করুন
শার্শায় নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি ও কাপাসিয়া (গাজীপুর) সংবাদদাতা | ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

প্রেম করে বিয়ের এগারো মাসের মাথায় গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় স্বামীর হাতে মারুফা আক্তার (১৪) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। মারুফা উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের বড়বেড় গ্রামের মাসুদ রানার মেয়ে এবং পার্শ্ববর্তী শ্রীপুর উপজেলার বরমী উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। স্বামী ইমন হোসাইন (২০) বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে।
নিহতের বাবা মাসুদ রানা জানান, তার মেয়ে মারুফা ছোট সময় থেকে শ্রীপুরের বরকুল গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করত। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার এক পর্যায়ে প্রায় এগার মাস আগে ইমনের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। কিন্তু ইমনের পরিবার এ বিয়ে মেনে নেয়নি। তখন থেকেই তার মেয়েকে ইমনের বাড়িতে নানা ধরনের নির্যাতন সইতে হতো। প্রায় দেড় মাস আগে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলে মারুফা বাবার বাড়ি চলে আসে। পরে ইমন তাকে ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করলেও মারুফা তাতে সাড়া দেয়নি। গত শুক্রবার দুপুরে ইমন তার বাড়ি আসে এবং দুজন এক সঙ্গে রাতে ঘুমাতে যায়। কিন্তু সকালে ঘরে পাওয়া যায় মারুফার নিথর দেহ।
তিনি আরও জানান, শনিবার (গতকাল) বেলা ১১টার দিকে ইমন তাকে ফোন করে বলে, আমি আপনার মেয়েকে মেরে ফেলেছি।
কাপাসিয়া থানার ওসি এ.এফ.এম নাসিম জানান, ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, যশোরের শার্শায় নিখোঁজের এক দিন পর নদীর কচুরিপানার নিচ থেকে নাসির মোল্লা (৪৬) নামে এক চাল ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার নারায়ণপুর গ্রাম সংলগ্ন বেতনা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে নাসিরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।