এক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
ফতুল্লার জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটন
নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি | ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশীপুরের চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আমান ভূঁইয়া নামে একজন গত সোমবার নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০১৭ সালে আলোচিত এ হত্যাটি সম্পর্কে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ে গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানিয়েছেন পিবিআইয়ের নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম।
জবানবন্দিতে আসামি আমান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, কিলিং মিশনে মামলার এজাহারনামীয় ২২ আসামিসহ আরও ১০-১২ জন ছিল। কিলিং মিশনে থাকা বাকি আসামিদেরও নামও প্রকাশ করেছেন তিনি। অতি দ্রুত চাঞ্চল্যকর এ মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পিবিআই।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর রাতে মাদক কারবার ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কাশীপুরের হোসাইনি নগর এলাকার একটি রিকশার গ্যারেজে তুহিন হাওলাদার মিল্টন (৪০) ও পারভেজ আহমেদ (৩৫) নামে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে আলামত নষ্ট করতে গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলার ২ নম্বর আসামি বাপ্পি সিকদারকে গত ১২ জানুয়ারি বন্দর থানা এলাকা থেকে এবং তার দেওয়া তথ্যমতে গত ১৬ জানুয়ারি ৫ নম্বর আসামি আমান ভূঁইয়াকে ঘারমোড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুর্ধর্ষ আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির সিসিটিভি ক্যামেরার পাসওয়ার্ড চুরি করে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তারা বাসার ছাদে মই রেখে গ্রেপ্তার অভিযানের সংবাদ পাওয়া মাত্র পালিয়ে যেত। মামলার আসামিরা সবাই বিএনপি নেতা মজিদ বাহিনীর লোক হিসেবে পরিচিত।
এদিকে, ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের পরিবার কাশীপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় মহনগর বিএনপির উপদেষ্টা এমএ মজিদ ও তার ভাই বিলুপ্ত শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমেদকে ঠান্ডা মাথার খুনি বলে উল্লেখ করেন।
নিহত মিলটনের খালাতো ভাই সাইফুল তারেক বলেন, এম এ মজিদ ও হাসান আহম্মেদের নির্দেশে মিল্টন ও পারভেজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মজিদ ও হাসানের মোবাইল ফোনের কথোপকথন ট্র্যাকিং করলেই সব দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
শেয়ার করুন
নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি | ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশীপুরের চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আমান ভূঁইয়া নামে একজন গত সোমবার নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০১৭ সালে আলোচিত এ হত্যাটি সম্পর্কে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ে গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানিয়েছেন পিবিআইয়ের নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম।
জবানবন্দিতে আসামি আমান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, কিলিং মিশনে মামলার এজাহারনামীয় ২২ আসামিসহ আরও ১০-১২ জন ছিল। কিলিং মিশনে থাকা বাকি আসামিদেরও নামও প্রকাশ করেছেন তিনি। অতি দ্রুত চাঞ্চল্যকর এ মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পিবিআই।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর রাতে মাদক কারবার ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কাশীপুরের হোসাইনি নগর এলাকার একটি রিকশার গ্যারেজে তুহিন হাওলাদার মিল্টন (৪০) ও পারভেজ আহমেদ (৩৫) নামে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে আলামত নষ্ট করতে গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলার ২ নম্বর আসামি বাপ্পি সিকদারকে গত ১২ জানুয়ারি বন্দর থানা এলাকা থেকে এবং তার দেওয়া তথ্যমতে গত ১৬ জানুয়ারি ৫ নম্বর আসামি আমান ভূঁইয়াকে ঘারমোড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুর্ধর্ষ আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির সিসিটিভি ক্যামেরার পাসওয়ার্ড চুরি করে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তারা বাসার ছাদে মই রেখে গ্রেপ্তার অভিযানের সংবাদ পাওয়া মাত্র পালিয়ে যেত। মামলার আসামিরা সবাই বিএনপি নেতা মজিদ বাহিনীর লোক হিসেবে পরিচিত।
এদিকে, ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের পরিবার কাশীপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় মহনগর বিএনপির উপদেষ্টা এমএ মজিদ ও তার ভাই বিলুপ্ত শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমেদকে ঠান্ডা মাথার খুনি বলে উল্লেখ করেন।
নিহত মিলটনের খালাতো ভাই সাইফুল তারেক বলেন, এম এ মজিদ ও হাসান আহম্মেদের নির্দেশে মিল্টন ও পারভেজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মজিদ ও হাসানের মোবাইল ফোনের কথোপকথন ট্র্যাকিং করলেই সব দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।