‘পানি না থাকায় বরোয়া ক্ষেত হইতো নায়’
রুহুল ইসলাম হৃদয়, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) | ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
‘এবার পানি না থাকায় বরোয়া (বোরো) ক্ষেত হইতো নায় (হবে না)। আমার আলির (বীজতলার) চারা নষ্ট হই যার। আর কোনদিন ক্ষেত করতাম। এখন কিতা করমু বুঝতাম পাররাম না। অনেক ক্ষতি অই যাইবো এবার।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাঘাটা নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আক্ষেপ করে এমনভাবেই বলছিলেন পতনঊষার ইউনিয়নের ধুপাটিলা গ্রামের কৃষক তাহিদ আলী। তার মতোই শমসেরনগর ইউনিয়নের কেছুলুটি গ্রামের ছুফি মিয়া, সতিঝির গ্রামের মানিক মিয়া, আক্তার মিয়াসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, ‘অন্যান্য বছরের এ সময়ে আমরা জমিতে চারা রোপণ করে ফেলতাম। এ বছর এখনো পানি না থাকায় জমি তৈরি করা যাচ্ছে না। রোপণের সময় অতিবাহিত হচ্ছে। ধানের চারাও নষ্ট হচ্ছে। আর কবে পানি পাওয়া যাবে এবং ক্ষেত হবে তা নিয়ে চিন্তায় আমাদের দিন কাটছে।’
জানা যায়, ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করার পরও কমলগঞ্জের লাঘাটা নদীতে এখন পর্যাপ্ত পানি নেই। তাই কৃষকরা সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে প্রায় পাঁচশো একর জমিতে এ বছর বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
মৌসুম চলে যাওয়ার সময় হলেও কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারাও এসব বিষয় নিয়ে কেউ মাথা ঘামাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনি খান বলেন, ‘কৃষকদের সেচের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব মূলত বিএডিসির। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল নয়। লাঘাটা নদীতে পানি পাওয়া যাচ্ছে না কেন, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
শেয়ার করুন
রুহুল ইসলাম হৃদয়, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) | ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

‘এবার পানি না থাকায় বরোয়া (বোরো) ক্ষেত হইতো নায় (হবে না)। আমার আলির (বীজতলার) চারা নষ্ট হই যার। আর কোনদিন ক্ষেত করতাম। এখন কিতা করমু বুঝতাম পাররাম না। অনেক ক্ষতি অই যাইবো এবার।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাঘাটা নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আক্ষেপ করে এমনভাবেই বলছিলেন পতনঊষার ইউনিয়নের ধুপাটিলা গ্রামের কৃষক তাহিদ আলী। তার মতোই শমসেরনগর ইউনিয়নের কেছুলুটি গ্রামের ছুফি মিয়া, সতিঝির গ্রামের মানিক মিয়া, আক্তার মিয়াসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, ‘অন্যান্য বছরের এ সময়ে আমরা জমিতে চারা রোপণ করে ফেলতাম। এ বছর এখনো পানি না থাকায় জমি তৈরি করা যাচ্ছে না। রোপণের সময় অতিবাহিত হচ্ছে। ধানের চারাও নষ্ট হচ্ছে। আর কবে পানি পাওয়া যাবে এবং ক্ষেত হবে তা নিয়ে চিন্তায় আমাদের দিন কাটছে।’
জানা যায়, ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করার পরও কমলগঞ্জের লাঘাটা নদীতে এখন পর্যাপ্ত পানি নেই। তাই কৃষকরা সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে প্রায় পাঁচশো একর জমিতে এ বছর বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
মৌসুম চলে যাওয়ার সময় হলেও কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারাও এসব বিষয় নিয়ে কেউ মাথা ঘামাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনি খান বলেন, ‘কৃষকদের সেচের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব মূলত বিএডিসির। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল নয়। লাঘাটা নদীতে পানি পাওয়া যাচ্ছে না কেন, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’