গরু চুরি সালিশি বৈঠকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
নড়াইল প্রতিনিধি | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
নড়াইলে গরু চুরির অভিযোগে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে চার যুবককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের ৩৩ নম্বর হান্দলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সালিশ হয়। তবে পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে উপেক্ষা করে এ ধরনের সালিশের বৈধতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
জানা গেছে, হান্দলা গ্রামের মশিউর রহমানের একটি গরু চুরি হয় চার-পাঁচ দিন আগে। এ ঘটনায় হান্দলা গ্রামের পলাশ (২৪), সাজ্জাদ (২১), আশিক ও দেবী গ্রামের মশিয়ারকে অভিযুক্ত করা হয়। সালিশে পলাশকে ১ লাখ, সাজ্জাদ ও আশিককে ৩৫ হাজার করে এবং মশিয়ারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পলাশের পিতা খবির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে অন্যায় করলে অবশ্যই আমি বিচার চাই। কিন্তু সালিশে আমার ছেলের ওপর অবিচার করা হয়েছে।’
সালিশে উপস্থিত নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুন্সী জোসেফ হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মীমাংসা করা হয়েছে।’
লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, ‘গরু চুরির বিষয়ে কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। তবে স্থানীয়ভাবে সালিশ-মীমাংসার ক্ষেত্রে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এবং এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেয়ার করুন
নড়াইল প্রতিনিধি | ২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

নড়াইলে গরু চুরির অভিযোগে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে চার যুবককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের ৩৩ নম্বর হান্দলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সালিশ হয়। তবে পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে উপেক্ষা করে এ ধরনের সালিশের বৈধতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
জানা গেছে, হান্দলা গ্রামের মশিউর রহমানের একটি গরু চুরি হয় চার-পাঁচ দিন আগে। এ ঘটনায় হান্দলা গ্রামের পলাশ (২৪), সাজ্জাদ (২১), আশিক ও দেবী গ্রামের মশিয়ারকে অভিযুক্ত করা হয়। সালিশে পলাশকে ১ লাখ, সাজ্জাদ ও আশিককে ৩৫ হাজার করে এবং মশিয়ারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পলাশের পিতা খবির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে অন্যায় করলে অবশ্যই আমি বিচার চাই। কিন্তু সালিশে আমার ছেলের ওপর অবিচার করা হয়েছে।’
সালিশে উপস্থিত নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুন্সী জোসেফ হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মীমাংসা করা হয়েছে।’
লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, ‘গরু চুরির বিষয়ে কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। তবে স্থানীয়ভাবে সালিশ-মীমাংসার ক্ষেত্রে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এবং এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’