অতিষ্ঠ হকারদের ধাওয়ায় পালাল চাঁদাবাজরা
গাজীপুর প্রতিনিধি | ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০
গাজীপুরে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপের পরও চাঁদাবাজদের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না গাজীপুর মহানগরীর বোর্ড বাজার এলাকার হকাররা। সিটি করপোরেশনের নামে কথিত ‘টোল আদায়ের রশিদ’ ছাপিয়ে বোর্ডবাজারসহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয় পাশের ফুটপাতের চার শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ফুটপাতের হকাররা।
ফুটপাতের কয়েকশ হকার এবং পাশের মার্কেট মালিকরা গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বোর্ডবাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চাঁদাবাজদের প্রতিরোধের জন্য জড়ো হন। এসময় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয় এবং ব্যবসায়ীদের ধাওয়ার মুখে চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়। এদিকে কোনো ব্যবসায়ীকে চাঁদা না দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করা হয়। মার্কেট মালিক আলী আকবর বুলু জানান, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোকজন সিটি করপোরেশনের নামে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ব্যবসায়ের ধরন অনুযায়ী দোকানপ্রতি ৫০ থেকে দুইশ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। কেউ চাঁদা না দিলে চলে শারীরিক নির্যাতন। দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দুর্দশা দেখে পাশের মার্কেট মালিকরা যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রতিমন্ত্রী অবিলম্বে চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে নির্দেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদাবাজরা সংঘবদ্ধ হয়ে চাঁদা তোলা শুরু করলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। মুহূর্তে কয়েকশ হকার ও স্থানীয় মার্কেট মালিকরা জড়ো হয়ে ধাওয়া দিলে চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়।
এদিকে সিটি করপোরেশনের নামে ফুটপাথের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল বলেন, মহাসড়কের পাশে কেন দোকান বসে আগে তা সবার দেখা উচিত। তবে তার কোনো লোক কোনো ধরনের চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নেই।
এ ব্যাপারে গাছা থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, নিষেধ করার পরও চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ী ও মার্কেট মালিকরা অভিযোগ করেছেন। কোনো ব্যবসায়ীকে চাঁদা না দেওয়ার জন্য বৃস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়।
শেয়ার করুন
গাজীপুর প্রতিনিধি | ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০

গাজীপুরে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপের পরও চাঁদাবাজদের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না গাজীপুর মহানগরীর বোর্ড বাজার এলাকার হকাররা। সিটি করপোরেশনের নামে কথিত ‘টোল আদায়ের রশিদ’ ছাপিয়ে বোর্ডবাজারসহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয় পাশের ফুটপাতের চার শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ফুটপাতের হকাররা।
ফুটপাতের কয়েকশ হকার এবং পাশের মার্কেট মালিকরা গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বোর্ডবাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চাঁদাবাজদের প্রতিরোধের জন্য জড়ো হন। এসময় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয় এবং ব্যবসায়ীদের ধাওয়ার মুখে চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়। এদিকে কোনো ব্যবসায়ীকে চাঁদা না দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করা হয়। মার্কেট মালিক আলী আকবর বুলু জানান, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোকজন সিটি করপোরেশনের নামে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ব্যবসায়ের ধরন অনুযায়ী দোকানপ্রতি ৫০ থেকে দুইশ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। কেউ চাঁদা না দিলে চলে শারীরিক নির্যাতন। দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দুর্দশা দেখে পাশের মার্কেট মালিকরা যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রতিমন্ত্রী অবিলম্বে চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে নির্দেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদাবাজরা সংঘবদ্ধ হয়ে চাঁদা তোলা শুরু করলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। মুহূর্তে কয়েকশ হকার ও স্থানীয় মার্কেট মালিকরা জড়ো হয়ে ধাওয়া দিলে চাঁদাবাজরা পালিয়ে যায়।
এদিকে সিটি করপোরেশনের নামে ফুটপাথের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল বলেন, মহাসড়কের পাশে কেন দোকান বসে আগে তা সবার দেখা উচিত। তবে তার কোনো লোক কোনো ধরনের চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নেই।
এ ব্যাপারে গাছা থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, নিষেধ করার পরও চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে ব্যবসায়ী ও মার্কেট মালিকরা অভিযোগ করেছেন। কোনো ব্যবসায়ীকে চাঁদা না দেওয়ার জন্য বৃস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়।