যাত্রীছাউনিতে ফলের দোকান
ফেনী প্রতিনিধি | ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০
ফেনী শহরের মহিপাল থেকে নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর যাতায়াতকারীদের যাত্রী ও পথচারীদের জন্য সড়কের পাশে নির্মাণ করা হয় যাত্রীছাউনি। কিন্তু সেই ছাউনিতে বসানো হয়েছে ফলের দোকান।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগেও এখানে গণশৌচাগার ছিল। তার পাশেই ফেলা হতো ময়লা-আবর্জনা। সম্প্রতি সেখানে পরিবর্তন সোসাইটি নামে একটি সংস্থা আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে। ওই ঘরের উপরে যাত্রীছাউনি নামে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়। কিছুদিন পর ছাউনির সামনেই বসানো হয় ফলের দোকান। জনৈক শাহাদাত মাসিক ভাড়ার ভিত্তিতে এখানে দোকান চালু রেখেছেন। প্রতি মাসে তার কাছ থেকে আদায় করা হয় ৬ হাজার টাকা।
কয়েকজন পথচারী বলেন, মহিপাল একটি ব্যস্ত এলাকা। নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর যাতায়াত করতে গিয়ে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। সেজন্য বসার কোনো নির্ধারিত স্থান নেই। কিছুদিন আগে যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি ছাউনি নির্মাণ করা হলেও তার সামনে দোকান ভাড়া দেওয়া হয়। সেজন্য ছাউনিতে কারও বসার পরিবেশ নেই।
ফলের দোকানি শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমি দোকানটি বসানোর পর থেকে স্থানীয় আলাউদ্দিন নামে একজনকে মাসে ৬ হাজার টাকা ভাড়া দিই।’
পরিবর্তন সোসাইটির চেয়ারম্যান ও বালিগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০টি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে দুটি নির্মিত হয়েছে। তবে ছাউনির সামনে ফলের দোকান বসিয়ে ভাড়া আদায়ের সাথে পরিবর্তন সোসাইটির কেউ জড়িত নয়।
জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু দাউদ বলেন, যাত্রীছাউনির সামনে দোকান বসানোর কোনো বিধান নেই। এ ব্যাপারে আমরা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। তিনি আরও বলেন, যাত্রীছাউনির পাশে একটি দোকান আছে, যিনি বিনা ভাড়ায় থেকে যাত্রীছাউনির দেখভাল করেন।
শেয়ার করুন
ফেনী প্রতিনিধি | ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০

ফেনী শহরের মহিপাল থেকে নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর যাতায়াতকারীদের যাত্রী ও পথচারীদের জন্য সড়কের পাশে নির্মাণ করা হয় যাত্রীছাউনি। কিন্তু সেই ছাউনিতে বসানো হয়েছে ফলের দোকান।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগেও এখানে গণশৌচাগার ছিল। তার পাশেই ফেলা হতো ময়লা-আবর্জনা। সম্প্রতি সেখানে পরিবর্তন সোসাইটি নামে একটি সংস্থা আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে। ওই ঘরের উপরে যাত্রীছাউনি নামে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়। কিছুদিন পর ছাউনির সামনেই বসানো হয় ফলের দোকান। জনৈক শাহাদাত মাসিক ভাড়ার ভিত্তিতে এখানে দোকান চালু রেখেছেন। প্রতি মাসে তার কাছ থেকে আদায় করা হয় ৬ হাজার টাকা।
কয়েকজন পথচারী বলেন, মহিপাল একটি ব্যস্ত এলাকা। নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর যাতায়াত করতে গিয়ে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। সেজন্য বসার কোনো নির্ধারিত স্থান নেই। কিছুদিন আগে যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি ছাউনি নির্মাণ করা হলেও তার সামনে দোকান ভাড়া দেওয়া হয়। সেজন্য ছাউনিতে কারও বসার পরিবেশ নেই।
ফলের দোকানি শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমি দোকানটি বসানোর পর থেকে স্থানীয় আলাউদ্দিন নামে একজনকে মাসে ৬ হাজার টাকা ভাড়া দিই।’
পরিবর্তন সোসাইটির চেয়ারম্যান ও বালিগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০টি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে দুটি নির্মিত হয়েছে। তবে ছাউনির সামনে ফলের দোকান বসিয়ে ভাড়া আদায়ের সাথে পরিবর্তন সোসাইটির কেউ জড়িত নয়।
জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু দাউদ বলেন, যাত্রীছাউনির সামনে দোকান বসানোর কোনো বিধান নেই। এ ব্যাপারে আমরা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। তিনি আরও বলেন, যাত্রীছাউনির পাশে একটি দোকান আছে, যিনি বিনা ভাড়ায় থেকে যাত্রীছাউনির দেখভাল করেন।