রূপগঞ্জে ৫ দিন ধরে গ্যাসের তীব্র সংকট
আতাউর রহমান সানী, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) | ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানির গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে আবাসিক গ্রাহকদের ভোগান্তির পাশাপাশি ও শিল্প কারখানাগুলোর উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে আবাসিক গ্রাহকরা কেউ লাকড়ি দিয়ে মাটির চুলায় কিংবা গ্যাস সিলিন্ডার কিনে এনে রান্নাবান্নার কাজ চালাচ্ছেন। কেউবা খাবার কিনে আনছেন রেস্তোরাঁ থেকে। পাঁচ দিন ধরে উপজেলাজুড়ে গ্যাসের এ অবস্থা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলায় তিতাস গ্যাসের বৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ রয়েছে প্রায় ৭ হাজার। এছাড়া এ উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় এক হাজার শিল্পকারখানা রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় শতাধিক কারখানায় পণ্য উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার হয়ে থাকে। গত শুক্রবার ১৬ জুন থেকে উপজেলার রূপসী, বরপা, তারাব, ভুলতা, গোলাকান্দাইল, কাঞ্চন, শান্তিনগর, কাজীপাড়া, দক্ষিণ রূপসী, মৈকুলী, মুড়াপাড়া, আমলাবোসহ পুরো উপজেলার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। অধিকাংশ এলাকায় কখনো গ্যাসের চুলায় আগুন জ্বলছে, কখনো জ্বলছে না। এতে গৃহিণীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
এদিকে, গ্যাস না থাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৫ শতাধিক শিল্পকারখানার উৎপাদন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস সংকটে অনেক শিল্পকারখানার মালিক শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন। এতে কারখানা মালিকদের কোটি কোটি টাকা লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাঁচ দিন ধরে গ্যাস না থাকায় কেউ টিন কেটে চুলা বানিয়ে তাতে লাকড়ি দিয়ে, কেউবা আবার মাটির চুলায় এটা সেটা পুড়িয়ে কষ্ট করে রান্না-বান্নার কাজ করছেন। মাটির চুলায় রান্না করে অনেককে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা দেরি করে। গৃহিণীদের ভাষ্য, কিছু এলাকায় ভোরের দিকে নিভু-নিভু গ্যাস থাকলেও তাতে হাঁড়িটাই ভালোভাবে গরম হয় না। অনেককেই খাওয়া-দাওয়া করতে হচ্ছে হোটেলে। উপজেলার রেস্তোরাঁগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
উপজেলার শিল্পকারখানার মালিকরা বলেন, দ্রুত গ্যাস সংকট না কাটলে আমরা কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখোমুখি হব।
এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস সোনারগাঁও আঞ্চলিক শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মিজবাহ-উর রহমান মুঠোফোনে বলেন, গত শুক্রবার আদমজী ইপিজেডে একটি কারখানায় পাইলিং করার সময় গ্যাস পাইপ ফেটে যায়। যার মেরামত কাজ এখনো চলছে। সমস্যাটি মাটির ৪০ ফুট নিচে, তাই সময় বেশি লাগছে। আশা করি দুই দিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
শেয়ার করুন
আতাউর রহমান সানী, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) | ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন কোম্পানির গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে আবাসিক গ্রাহকদের ভোগান্তির পাশাপাশি ও শিল্প কারখানাগুলোর উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে আবাসিক গ্রাহকরা কেউ লাকড়ি দিয়ে মাটির চুলায় কিংবা গ্যাস সিলিন্ডার কিনে এনে রান্নাবান্নার কাজ চালাচ্ছেন। কেউবা খাবার কিনে আনছেন রেস্তোরাঁ থেকে। পাঁচ দিন ধরে উপজেলাজুড়ে গ্যাসের এ অবস্থা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলায় তিতাস গ্যাসের বৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ রয়েছে প্রায় ৭ হাজার। এছাড়া এ উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় এক হাজার শিল্পকারখানা রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় শতাধিক কারখানায় পণ্য উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার হয়ে থাকে। গত শুক্রবার ১৬ জুন থেকে উপজেলার রূপসী, বরপা, তারাব, ভুলতা, গোলাকান্দাইল, কাঞ্চন, শান্তিনগর, কাজীপাড়া, দক্ষিণ রূপসী, মৈকুলী, মুড়াপাড়া, আমলাবোসহ পুরো উপজেলার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। অধিকাংশ এলাকায় কখনো গ্যাসের চুলায় আগুন জ্বলছে, কখনো জ্বলছে না। এতে গৃহিণীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
এদিকে, গ্যাস না থাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৫ শতাধিক শিল্পকারখানার উৎপাদন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস সংকটে অনেক শিল্পকারখানার মালিক শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন। এতে কারখানা মালিকদের কোটি কোটি টাকা লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাঁচ দিন ধরে গ্যাস না থাকায় কেউ টিন কেটে চুলা বানিয়ে তাতে লাকড়ি দিয়ে, কেউবা আবার মাটির চুলায় এটা সেটা পুড়িয়ে কষ্ট করে রান্না-বান্নার কাজ করছেন। মাটির চুলায় রান্না করে অনেককে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা দেরি করে। গৃহিণীদের ভাষ্য, কিছু এলাকায় ভোরের দিকে নিভু-নিভু গ্যাস থাকলেও তাতে হাঁড়িটাই ভালোভাবে গরম হয় না। অনেককেই খাওয়া-দাওয়া করতে হচ্ছে হোটেলে। উপজেলার রেস্তোরাঁগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
উপজেলার শিল্পকারখানার মালিকরা বলেন, দ্রুত গ্যাস সংকট না কাটলে আমরা কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখোমুখি হব।
এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস সোনারগাঁও আঞ্চলিক শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মিজবাহ-উর রহমান মুঠোফোনে বলেন, গত শুক্রবার আদমজী ইপিজেডে একটি কারখানায় পাইলিং করার সময় গ্যাস পাইপ ফেটে যায়। যার মেরামত কাজ এখনো চলছে। সমস্যাটি মাটির ৪০ ফুট নিচে, তাই সময় বেশি লাগছে। আশা করি দুই দিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।