
নাটোরের লালপুরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে রাস্তার মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দক্ষিণ লালপুর পদ্মারচরের একমাত্র রাস্তা কেটে গর্ত খনন করায় চরাঞ্চলের লোকজনের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরাঞ্চলের লোকজনের পণ্যবাহী যানবাহনসহ যাতায়াতের জন্য বিকল্প রাস্তা তৈরি করে ফসলি জমি নষ্ট করে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে।
দেখা গেছে, ভেকো মেশিন দিয়ে রাস্তার অন্তত ১৫ ফিট প্রস্থ ও ৪০ ফিট দৈর্ঘ্য পরিমাণ মাটি কাটা হয়ে গেছে। পরে বাধার মুখে সেই গর্তে নামমাত্র অল্প কিছু ভরাট বালু ফেলা হয়েছে। এতে ওই পথে চলাচলকারী মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি গভীর রাতে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত শাহাবাজ মণ্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫০) ও দক্ষিণ লালপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মানিক (৩২) চলাচলের রাস্তা খনন করে মাটি কেটে নিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা জানালে পুলিশ গিয়ে রাস্তার মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা শমসের আলী বলেন, মাটি খেকোরা রাস্তার মাটি ইটভাটায় বিক্রি করে দিয়েছে। ইটভাটার লোকজন এসে রাস্তার মাটি কেটে নিয়ে গেছে।
মানিক সরকারি রাস্তার মাটি কাটার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই মাটিগুলো নদীর পলি। আমরা ওই মাটি কেটে নিচের ইটের রাস্তা বের করে জনচলাচল সহজ করতে চেয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, ৫০ গাড়ি মাটি কাটার ইচ্ছা থাকলেও ১৫ গাড়ির বেশি কাটা হয়নি।
লালপুর থানার ওসি মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ফোর্স পাঠিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করেছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রায়জনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লালপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক বলেন, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেতুয়া জামেয়ায়ে হযরত আবু বক্কর ছিদ্দিক (রা.) দাখিল মাদ্রাসায় গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেখিয়ে দুই মাসের বেতন তুলে তা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসাটির সুপার মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে। মাদ্রাসার এমপিওবঞ্চিত শিক্ষক ও অভিভাবকরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ, এলাকাবাসী, মাদ্রাসার অভিভাবক ও কর্মরত শিক্ষকদের ভাষ্যমতে, বেতুয়া জামেয়ায়ে হযরত আবু বক্কর ছিদ্দিক (রা.) দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন এমপিওভুক্ত না হলেও শিক্ষকরা আন্তরিকতার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানের মাধ্যমে ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এক আদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্তকরণের (বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরকার প্রদত্ত বেতন-ভাতা প্রদানের স্বীকৃতি) ঘোষণা দেয়। ঘোষণার পরপরই মাদ্রাসার বর্তমান সুপার তার অনুগত একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করেন। পরে ওই কমিটির সভাপতির সঙ্গে আঁতাত করে মাদ্রাসাটিতে কর্মরত অভিজ্ঞ ও ত্যাগী শিক্ষকদের বাদ দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নতুন করে কয়েকজন শিক্ষক নিয়োগ করে এমপিওভুক্ত করে নেন এবং নিয়োগকৃত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাদ্রাসায় পাঠদান কিংবা যোগদান না করলেও সুপার ও সভাপতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বেতনশিটে ভুয়া স্বাক্ষর করে সরকার থেকে দুই মাসের ৩ লাখ ২৭ হাজার ৭০০ টাকা তুলে তা আত্মসাৎ করেন।
মাদ্রাসার অভিভাবক ও এমপিওবঞ্চিত শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর নামমাত্র বেতনে চাকরি করে মাদ্রাসাটিকে ভালো অবস্থানে নিয়ে এলেও বর্তমান সুপার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের শিক্ষক-কর্মচারী পদে নিয়োগ দিয়ে ভুয়া স্বাক্ষরে দুই মাসের বেতন-ভাতা তুলে নিয়েছেন।
মাদ্রাসাটির অফিস সহকারী পদে দীর্ঘদিন কমর্রত গিয়াস উদ্দিন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘দীর্ঘদিন কমর্রত থেকেও কী কারণে এমপিও থেকে বঞ্চিত হলাম জানি না।’
মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আবুল কালাম বলেন, ‘২০১৭ সাল পর্যন্ত আমি এ মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ছিলাম। এ ছাড়া দীর্ঘদিন এ মাদ্রাসায় সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা করে আসছি। মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্তকরণের ঘোষণা দেওয়ার পর আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। আমি দাবি করা টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এমপিওভুক্ত তালিকায় আমার নাম নেই। আমাকে বাদ দিয়ে যাকে নিয়োগ দেখিয়েছেন তার নিয়োগপত্র, হাজিরা স্বাক্ষর ও মাদ্রাসার উপস্থিতি কখনো ছিল না, বর্তমানেও নেই। আমি বঞ্চিত হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।’
মাদ্রাসার কয়েকজন অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রী জানায়, মাদ্রাসার সভাপতি মিজানুর রহমান এমপিওভুক্ত ঘোষণার পর তার মেয়েকে আয়া পদে নিয়োগ দেখিয়ে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছে। কিন্তু মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তাকে দিয়ে পাঠদান করাচ্ছেন।
মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানকে এ বিষয়ে কয়েকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
তবে, সুপার মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ বলেন, ‘এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এখন অভিযোগটি তদন্তাধীন, তাই কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ তিনি বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে আইসিটি আইনে মামলার হুমকি দেন এ প্রতিবেদককে।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে শুনানির জন্য সোমবার (আজ) নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রমাণ হলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের রামপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণ করছে স্কুলমাঠের গাছতলায় বসে। ৯ বছর আগে স্কুলটির একমাত্র ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণার পর এতদিন বিকল্প বিভিন্ন উপায়ে ক্লাস চালানো সম্ভব হলেও এখন দুই মাস ধরে গাছতলাতেই চলছে শ্রেণি কার্যক্রম।
সরেজমিন জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের রামপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি ৫০ বছর আগে নির্মিত হয়। সময়ের পরিক্রমায় ভবনটি জরাজীর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। তাই ২০১৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। এতে গত ৯ বছর ধরে পাশের একটি ভাড়া করা ঘরে পাঠদান করা হলেও স্থান সংকুলানের কারণে দুই মাস ধরে পরিত্যক্ত ভবনের সামনের গাছতলাতেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এতে শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, বিদ্যালয়টি ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠাকালে একচালা টিনের ঘরে চলত পাঠদান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে একটি একতলা ভবন বরাদ্দ পায় স্কুলটি। এরপর গত ৫০ বছর ধরে চলে ওই ভবনেই পাঠদান কার্যক্রম। গত ৫০ বছরে এ বিদ্যালয়ে মেলেনি নতুন কোনো ভবন। এদিকে ২০১০ সালে প্রাচীন এ বিদ্যালয়ের জন্য একটি ভবন বরাদ্দ হলেও মাঠ ভরাটের অভাবে ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। পুরনো একমাত্র ভবনটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ২০১৩ সালে এ ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর পাশের চন্দন ডাক্তারের বাড়িতে চলত পাঠদান। স্থান সংকটে বর্তমানে বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনের সামনের গাছতলার তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে দেখা যায়।
পুরনো এ ভবনের ভাঙা দরজা-জানালায় উঁকি দিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি শ্রেণি কক্ষেরই ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে রড বেরিয়ে গেছে। কক্ষের দেয়াল ও পিলারগুলোতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ২০১৩ সালে এ বিদ্যালয়ে ৪২৩ শিক্ষার্থী ছিল। ভবন না থাকায় লেখাপড়া করতে কষ্ট হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়েছে। অনেকে আশপাশের অন্য বিদ্যালয়ে চলে গেছে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮০ জন। অবিলম্বে ওই বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন বরাদ্দের দাবি অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সুমিত্রা পাল বলেন, অনেক কষ্ট করেই আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। ভবন ও আসবাবপত্রের অভাব থাকলেও শিক্ষায় পিছিয়ে নেই শিক্ষার্থীরা। প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করেছে। পুরনো একমাত্র ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার ৯ বছর অতিবাহিত হলেও আমরা এখনো নতুন কোনো ভবন বরাদ্দ পাইনি।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফওজিয়া আক্তার বলেন, বিদ্যালয়টিতে ভবন সংকটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি অবগত আছি। সেখানে নতুন একটি ভবন বরাদ্দ দিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
তৃণমূলে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সবচেয়ে বড় আয়োজন ইউপি নির্বাচন। আসছে ২৯ ডিসেম্বর কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দৌলতপুর ও ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নে ভোট।
উপজেলার দুটি ইউনিয়নে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ ১২ চেয়ারম্যানপ্রার্থী এখন বিরামহীন ছুটে চলেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নিজেরা গিয়ে এবং কর্মী পাঠিয়ে বাড়ি বাড়ি লিফলেট বিতরণ করে ভোট চাচ্ছেন। প্রার্থীরা এখন ব্যস্ত প্রচার-প্রচারণায়।
প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী পিকাপ, অটোরিকশা কিংবা অটোভ্যানে মাইকে ভোট চেয়ে প্রচার চলছে বিরামহীন। প্রচারের ক্ষেত্রে নানান ধরনের জনপ্রিয় লোক ও বাউল গানের রেকর্ড ও বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে ভোট চাচ্ছেন প্রার্থীর পক্ষে।
নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সরব দেখা যাচ্ছে। প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা তাদের ফেইসবুকসহ অন্য সামাজিক প্লাটফর্মে নির্বাচনী প্রচারণার ছবি নিয়মিত আপলোড দিচ্ছেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছেন। শেষ মুহূর্তে এখন দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না প্রার্থীরা। ভোটারদের মধ্যেও চলছে নির্বাচনী আমেজ। দুটি ইউনিয়নের গ্রাম, হাটবাজার ও চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনী আড্ডা। বইছে নির্বাচনী হাওয়া। জমে উঠেছে ভোটের মাঠ।
কারণ দুটি ইউনিয়নেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শক্ত অবস্থানে থাকায় বিপাকে নৌকার প্রার্থীরা। যদিও নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে নিজেদের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাচ্ছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে উপজেলার দুটি ইউনিয়নে এখন বিরাজ করছে নির্বাচনী উৎসবের পূর্ণ আমেজ।
দৌলতপুর ইউনিয়নে পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন মাকসুদ জমাদার (নৌকা), মইন চৌধুরী (ঘোড়া), একরামুল কবির (চশমা), শরীফ হোসেন (আনারস) এবং হাফেজ মাওলানা ইসমাইল হোসেন মুন্সি (হাতপাখা)।
অপরদিকে, ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নে সাত চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ (নৌকা), আলী আহম্মেদ মিয়াজী (আনারস), মাহবুব আলম ভুইয়া (ঘোড়া), জহিরুল ইসলাম (হাতপাখা), মঈন উদ্দিন (টেলিফোন), রবিউল শিকদার (মোটরসাইকেল) ও সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন (চশমা)।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফুন নাহার জানিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ছিনতাইকারী সন্দেহে আসাদ (২৫) নামে এক যুবক গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের সেন্দী মাধবদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আসাদ একই এলাকার জজ মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় তিনজন আহত হন। তাদের বাড়ি আড়াইহাজারের উচিৎপুরা ইউনিয়নের গুরুবদী এলাকায়। তারা মেলায় বেলুন বিক্রি করেন। সোনারগাঁয়ের একটি মেলা থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সেন্দী মাধবদী কবরস্থানের সামনে এলে রাকিব, আজিজুল ও আরিফুলের গতিরোধ করে একদল ছিনতাইকারী। এ সময় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ও সঙ্গে থাকা সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ছিনতাইকারীরা। আক্রান্তরা বাধা দিলে তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। একপর্যায়ে তাদের চিৎকারে আশপাশের গ্রামের কয়েক শ মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হয়ে ছিনতাইকারীদের ধাওয়া দেয়। ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের একজনকে ধরে ফেলে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী। এতে ঘটনাস্থলেই আসাদ নামের ওই যুবক মারা যান। অপরদিকে, নরসিংদীর মাধবদীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশীদের হামলায় মনির হোসেন (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাধবদীর নুরালাপুর ইউনিয়নের নওয়াপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত মনির হোসেন নোয়াপাড়া এলাকার সিরাজ মোল্লার ছেলে।
ময়মনসিংহের ত্রিশালের বগারবাজারের নিরঞ্জন দেবনাথ নামের এক ব্যক্তির কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে না পেয়ে তার দোকানে হামলা, লুট ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে এবং এ ঘটনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বগারবাজার ব্যবসায়ী সমিতির লোকজন।
গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলার বগারবাজারে ওই মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন আমিরাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান সুরঞ্জন দেবনাথ বলাই, বগারবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ ফকির প্রমুখ। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বগারবাজার প্রদক্ষিণ করে।
ভুক্তভোগী নিরঞ্জন দেবনাথ অভিযোগ করেন, গুজিয়াম মৌজার বগারবাজারে ২৬ শতাংশ জমির মালিক তিনি। প্রতিপক্ষের লোকজন একই জমির ভুয়া পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ও পৃথক দলিল দেখিয়ে তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় ১৮ ডিসেম্বর রাতে তার দোকানে হামলা চালিয়ে মালামাল লুট এবং বুলডোজার দিয়ে দোকানঘর ভেঙে ফেলে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩ ধরনের জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর থেকে বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছে সরকার। অন্যদিকে উৎপাদন পর্যায়ে তরল করা পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল আমদানিতে প্রতি লিটারে ১৩ দশমিক ৭৫ টাকা করে শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ছাড়া অন্যান্য জ্বালানি জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েল, লুব বেইজ অয়েল, কেরোসিনের ক্ষেত্রে প্রতি টনে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এত দিন এসব জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল।
আমদানি করা পণ্যের যথাযথ মূল্য নির্ধারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্যের ট্যারিফ মূল্য ও ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাত দুটি হেডিংয়ের আওতায় ১২টি এইচএস কোডের বিপরীতে ট্যারিফ মূল্য এবং একটি হেডিংয়ের আওতায় একটি এইচএস কোডের বিপরীতে ন্যূনতম মূল্য বহাল আছে।
পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাতগুলোর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করার কারণে অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
এলপিজি সিলিন্ডারের বিষয়ে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার তৈরির কাঁচামাল ইস্পাতের পাত (স্টিল শিট) ও ওয়েল্ডিংয়ের তার আমদানির করছাড় সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে। এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনকারীরা কাঁচামালে শুল্ককর ছাড় ১২ বছর ধরে ভোগ করে আসছে। তাই রাজস্ব আহরণের স্বার্থে শুধু দুটি উপকরণে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য করছাড়ের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে।
পেট্রোলিয়াম তেল এবং বিটুমিনাস খনিজ থেকে প্রাপ্ত তেলের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশ। নতুন বাজেট অনুযায়ী এসবের প্রতি ব্যারেলের দাম ১ হাজার ১১৭ টাকা (লিটার প্রতি ৭.০২ টাকা) হতে পারে। প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের সুনির্দিষ্ট শুল্ক ৯ হাজার ১০৮ টাকা (লিটার প্রতি ৯.১০ টাকা) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।