
ফ্রান্সে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারকে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে পিনাকী ভট্টাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে বগুড়া জেলা যুবলীগ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বগুড়া শহরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে পিনাকীর কুশপুত্তলিকা পোড়ায় যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এদিন দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
এ-সময় বক্তারা বলেন, সারা দেশে বিএনপি-জামায়াত চক্র, আগুন সন্ত্রাসীরা, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করার ঘৃণ্য পাঁয়তারা করছে। তাদের প্রতিহত করতে বগুড়া জেলা যুবলীগ রাজপথে আছে।
বক্তারা বলেন, ‘এই পিনাকী ভট্টাচার্যকে কেউ চিনত না। সে রাতারাতি পরিচিতি পাওয়ার জন্য সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের মিথ্যা কথা ও কটূক্তি করছে। জেলা যুবলীগ এই পিনাকী ভট্টাচার্যকে বগুড়ার মাটিতে পা রাখতে দেবে না।’
বিএনপির চলমান আন্দোলনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় পুলিশের অভিযান বেড়েছে। গত কয়েকদিনের মধ্যে অন্তত ২৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফসহ বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তারের পর সবার মধ্যেই এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যে কাউকে আটক করা হতে পারে এমন শঙ্কা কাজ করছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। গ্রেপ্তার এড়াতে অধিকাংশ নেতাই আত্মগোপনে চলে গেছেন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ প্রকাশ্যে আসছেন না। বিএনপি নেতাদের দাবি, আন্দোলন বানচাল করতে জেলার সক্রিয় নেতাদের টার্গেট করে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হচ্ছে।
জানা যায়, পুলিশের ধরপাকড়ে গেল কয়েকদিনে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের সবাইকে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে দলের কয়েকশ নেতাকর্মীকে। এসব আসামিকে গ্রেপ্তারে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
জেলা বিএনপির এক শীর্ষ নেতার অভিযোগ, সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় মধ্যম সারির নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে পারেন এমন নেতাদের বেছে বেছে গ্রেপ্তারের টার্গেট করা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে মামলা। ইতিমধ্যে থানা ও এলাকাভিত্তিক এসব নেতাকর্মীর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেটা ধরেই চলছে অভিযান।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় তিন সপ্তাহে বিএনপির ২৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির সদস্য সচিবসহ ৮ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর রাতে গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপি ও ছাত্রদলের দুই নেতাকে। গত ৮ ডিসেম্বর দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয় বিএনপির ৮ নেতাকর্মী। তাদের বিরুদ্ধে করা নাশকতার মামলায় আসামি করা হয় ২৭ নেতাকর্মীকে। অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে। গত ৭ ডিসেম্বর জেলার জীবননগর থানা পুলিশের অভিযানে ৭ বিএনপি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়। তাদের বিরুদ্ধে করা মামলায় আসামি করা হয় দলটির ৩০ থেকে ৪০ নেতাকর্মীকে। গত ৩ ডিসেম্বর রাতে জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে করা নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় দলের ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করা হয় ১০০ থেকে ১১০ জনকে।
আত্মগোপনে থাকা দলের কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, রাতের বেলায় বাড়িতে বাড়িতে অতর্কিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। কোনো কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে নেতাকর্মীদের। গ্রেপ্তার এড়াতে রাতে তারা বাড়িতে অবস্থান করছেন না। অনেকে জেলা ছেড়েও চলে গেছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘এ পর্যন্ত যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট ছিল না। অনেকের নামে একটা মামলাও নেই। কিন্তু পুলিশ হঠকারী সিদ্ধান্তে অন্যায়ভাবে তাদের বাড়ি থেকে তুলে আনছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি সবসময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে। সেই কর্মসূচিকে বানচাল করতেই পুলিশ এমন আচরণ করছে।’
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান বলেন, ‘কাউকে হয়রানিমূলক গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শুধু তাদেরই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। পুলিশের কাছে তথ্য ছিল গ্রেপ্তারকৃত সবাই নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। শান্ত পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা ছিল তাদের।’
ছাদের টবে সারি সারি গাছ আর সবুজের সমারোহ। গাছে ঝুলছে ফল ও ফুল। এসব গাছ দেখতে যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি গাছের পাতা নাড়িয়ে বয়ে যাওয়া বাতাসেও অন্যরকম অনুভূতি। এ দৃশ্য নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। সরকারি হাসপাতালটির দেড় হাজার বর্গফুট ছাদে এভাবে সবুজায়ন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়মা আফরোজ ইভা। বাগানের নাম দিয়েছেন ‘বিজয় কানন।’
হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ মাহমুদুল হাসান জানান, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে সায়মা আফরোজ ইভা এ হাসপাতালে যোগদানের পর চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি হাসপাতালকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। অল্প সময়ের মধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ভেষজ বাগান তৈরিসহ হাসপাতালের চারপাশ হয়ে ওঠে সবুজের সমারোহ। এবার হাসপাতালের ছাদে মাল্টা, কমলা ও আমের চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে তিনি ৭০ জাতের ১২০টি গাছের চারা লাগিয়েছেন। যার মধ্যে থানকুনি, অ্যারোমেটিক জুঁই, ডালিম, সফেদা, লেবু, জলপাই, পেয়ারা, বরই, আমড়া, পেঁপে, আমড়া অন্যতম।
সম্প্রতি এ ছাদবাগান পরিদর্শন করে প্রশংসা করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরিদর্শনকালে সাংসদ বলেন, জমিতেও যেসব সবজি মানুষ চাষ করার কথা চিন্তা করতে পারে না, সেসব প্রজাতির সবজি ফুল-ফলের দেখা মিলছে এই ছাদে, যেটি খুবই মনোমুগ্ধকর।
জানতে চাইলে ডা. সায়মা আফরোজ ইভা বলেন, ‘বাগানের তত্ত্বাবধান আমি নিজেই করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাসপাতালের ছাদে বাগান করার নির্দেশনা বাস্তবায়নে অংশীদার হয়েছি। এ বাগান রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে সহায়ক হবে। এছাড়া এই ছাদ বাগান দেখতে রোগীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আসেন। এ ছাদ পরিদর্শনে আগতদের স্কুল, কলেজ ও বাসার ছাদে এমন বাগান গড়ে তোলার পরামর্শ দেই।’
বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীরা মেতে উঠে নতুন বইয়ের উৎসবে। এ দিনে বই হাতে উল্লাসে মেতে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু খুলনায় চাহিদার বিপরীতে আশানুরূপ নতুন বই এখনো পৌঁছায়নি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ শতাংশ বই এসে পৌঁছেছে।
খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নতুন বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে। আগামী রবিবার সকাল ১০টায় খুলনা সিঅ্যান্ডবি কলোনির মডেল স্কুলে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বই উৎসবকে কেন্দ্র করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করেছে।
তিনি জানান, খুলনায় ১ হাজার ৫৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ বছর খুলনায় বইয়ের চাহিদা রয়েছে ১০ লাখ ৬৫ হাজার ২৩১টি। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪১টি বই এসেছে। বাকি বইও চলে আসবে। চাহিদার বিপরীতে প্রায় ৩০ শতাংশ বই এসেছে।
খুলনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, খুলনায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪২০টি ও মাদ্রাসা ১৩৬টি। ২৯ লাখ বইয়ের চাহিদা ছিল, প্রায় অর্ধেক বই পেয়েছি।
অপরদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় চাহিদার প্রায় অর্ধেক বই এখনো আসেনি। গতকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরের কেবল শিশু শ্রেণির শতভাগ বই এসেছে। অন্যান্য শ্রেণির কোনো বই এসে পৌঁছেনি। মাধ্যমিক স্তরে গড়ে ৬০ শতাংশ বই এসেছে। ইবতেদায়ি মাদ্রাসার ১ম ও ২য় শ্রেণির কোনো বই এখনো আসেনি। তবে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শতভাগ বই এসেছে। ফলে নতুন শিক্ষাবছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থীর সব বই হাতে পাওয়া সম্ভব হবে না।
উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়ায় ১৩১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কিন্ডারগার্টেন স্কুলের জন্য প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার বই প্রয়োজন।
আখাউড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান বলেন, আখাউড়ায় শুধু শিশু শ্রেণির সাড়ে ৩ হাজার বই এসেছে। শুক্রবার (গতকাল) কিছু বই আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
বই সংকটে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে বই উৎসব হবে কি না জানতে চাইলে আখাউড়া মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আকবর খান বলেন, চাহিদার ৫৬ শতাংশ বই পেয়েছি আমরা। আশা করি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আরও বই পাব। আখাউড়ায়ও বই উৎসব হবে। হয়তো প্রথম দিন সবাইকে সব বই দেওয়া যাবে না। পরে বই এলে দেওয়া হবে।
বগুড়ার নন্দীগ্রামে তিন ফসলিসহ আবাদি বিভিন্ন প্রকার জমি-ভিটা খনন ও পুকুর সংস্কারের নামে এস্কেভেটর যন্ত্র দিয়ে মাটি তুলে তা বেচাকেনা করার দায়ে ছয়জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে এস্কেভেটর সিন্ডিকেটকে উপজেলা ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত অব্দি এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের দোহার চক ও ভদ্রদীঘি এলাকায় যৌথ অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিফা নুসরাত ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাসুদ রানা নামের এক যুবক নিজেকে এস্কেভেটর সমিতির সভাপতি পরিচয় দিয়ে এ উপজেলায় আবাদি জমিতে পুকুর খননের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। উপজেলা প্রশাসন ও সাংবাদিকদের ‘ম্যানেজ’ করার কথা রটিয়ে রাতের আঁধারে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করছিলেন তিনি।
সূত্র জানায়, অপরিকল্পিতভাবে খনন করে প্রত্যেক ট্রাক্টর মাটি ৫শ থেকে ৭শ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। জমিতে পুকুর খননের পাশাপাশি পুকুর সংস্কারের নামেও গভীর গর্ত করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছিল। সেইসব মাটি দিয়ে আবাদি জমি ভরাটও করা হচ্ছে। এতে কমছে ফসলি জমি। মাটি ভর্তি ট্রাক্টর চলাচল করায় কোটি টাকায় নির্মাণকৃত সড়ক ও রাস্তাগুলোর অবস্থা হয়ে পড়ে বেহাল।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, আবাদি জমি-ভিটা ও পুকুর সংস্কারের নামে খনন করা যাবে না। পুকুর সংস্কার করতে হলেও অনুমতি লাগবে।
গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী-ভাওয়াল মির্জাপুর সড়কে লবণদহ নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করে চালু করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল শুক্রবার সকালে গাজীপুরে ওই সেতুসংলগ্ন পাইনশীইল এলাকায় এ মানববন্ধন করা হয়।
পিরুজালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ সরকার মঞ্জুর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, অধ্যাপক মোশাররফ হোসাইন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বেপারি, আলী আকবর হোসেন, যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
এ ব্যাপারে জানতে গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার মো. শরীফুল আলমের ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দলের রক্ষণভাগের অন্যতম সেরা আঁখি খাতুন। সেই ছোট থেকেই গড়ন, উচ্চতা ও লড়াকু ফুটবল দিয়ে আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন। মেয়েদের ফুটবলে বাংলাদেশের প্রায় সব সাফল্যেই ছিলেন অগ্রনায়ক হয়ে। সম্প্রতি তিনিও জাতীয় দলের ক্যাম্প ছেড়েছেন। তবে সতীর্থ সিরাত জাহান স্বপ্নার মতো অবসরের সিদ্ধান্ত নেননি। বরং নিজেকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাফুফের বন্দী জীবনকে বিদায় জানিয়েছেন।
সম্প্রতি চীনের বন্দরনগরী হাইকোউ শহরের একটি ফুটবল অ্যাকাডেমিতে খেলার পাশাপাশি পড়ালেখার প্রস্তাব পেয়েছেন আঁখি। এখন চলছে চীনের ভিসা নেওয়ার প্রক্রিয়া। সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে ঈদের পর দেশ ছাড়বেন তিনি। বিষয়টি দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন আঁখি।
তিনি যে আর দশজন ফুটবলারের মতো নন, তা আগেই বুঝিয়েছেন আঁখি। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের পর বিশ্ব ফুটবলের নজর কাড়েন দীর্ঘদেহী এই ডিফেন্ডার। তার নির্ভীক ফুটবল বড্ড মনে ধরে সুইডেনের শীর্ষ লিগের একটি ক্লাবের। সাফে বাংলাদেশ মাত্র একটি গোল হজম করেছিল।
এই কৃতিত্বের বড় দাবীদার সেন্টারব্যাক আঁখি। তাই সুইডিশ ক্লাবটি তাকে দলে নেওয়ার প্রস্তাবও দেয়। প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে ইউরোপের কোন দেশের শীর্ষ লিগে খেলার প্রস্তাবে আঁখি দেখতে শুরু করেছিলেন বড় মঞ্চে নিজেকে প্রমাণের স্বপ্ন। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের হঠকারি সিদ্ধান্তে সুইডেনে খেলতে যাওয়া হয়নি। জাতীয় দলের খেলা থাকবে বলে সুইডেনের দরজা বন্ধ করে দেয় বাফুফে। পরে অবশ্য অর্থ সঙ্কটসহ নানা অযুহাতে জাতীয় দলকে সিঙ্গাপুরে ফিফা ফ্রেন্ডলি ও মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইপর্ব খেলতে পাঠানো হয়নি।
বিষয়টা ভীষণ কষ্ট দিয়েছিল সদ্য এইচএসসি পাস করা আঁখিকে। অভিমানে কিছুদিন ক্যাম্প ছেড়েও চলে গিয়েছিলেন। পরে অবশ্য ক্যাম্পে যোগ দেন। তবে হতাশা একটুও কমেনি। দিনের পর দিন লক্ষ্যহীণ পথ চলতে কারই বা ভালো লাগে? দেশের ফুটবলের যে ভবিষ্যত নেই ঢের বুঝতে পেরেছিলেন। তাই চীনের প্রস্তাবটাকে লুফে নেন আঁখি।
দেশ রূপান্তরের কাছে ক্যাম্প ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'আমি ওখান থেকে চলে এসেছি ঠিক, তবে ফুটবলেই থাকবো। চীনে ভাল অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন ও লিগ খেলার সুযোগ পাচ্ছি। তাই ওইখানে যাবো। এখন ভিসা নিয়ে কাজ করছি। আমার জন্য দোয়া করবেন।'
গত ফেব্রুয়ারিতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন সিরাজগঞ্জের গর্ব আঁখি। দেশে সুযোগ ছিল বেসরকারী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার। তবে তিনি যে স্বপ্ন বুনেছেন চীনে লেখাপড়া করার, ‘মূলত আমি ওখানে পড়াশোনা ও খেলা এক সঙ্গে করবো। এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। তবে ভর্তি হইনি।’
তার এই সিদ্ধান্ত বাফুফেকে জানিয়েই নেওয়া। তবে জাতীয় দলের প্রয়োজনে যেখানেই থাকেন না কেন, চলে আসবেন, 'আমি পল স্যারকে (বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি) জানিয়েই ক্যাম্প ছেড়েছি। তাকে এটাও বলেছি আমি যেখানেই থাকি, জাতীয় দলের প্রয়োজন হলে চলে আসবো।'
সম্প্রতি মেয়েদের ক্যাম্পে লেগেছে দ্রোহের আগুন। তিনদিন আগে অভিমানে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের অন্যতম স্ট্রাইকার স্বপ্না। একই দিনে মেয়েদের ফুটবলের সকল সাফল্যের রূপকার অভিজ্ঞ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। মূলত বাফুফের গঞ্জনার শিকার হয়েই ছোটনের এই সিদ্ধান্ত। তাতেই হুলস্থুল লেগে গেছে ফুটবল অঙ্গনে। সালাউদ্দিন-কিরণের হাতে বন্দী নারী ফুটবল নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। প্রিয় কোচ ছোটনের জন্য ভীষণ মন খারাপ আঁখির, 'সত্যি খুব খারাপ লাগছে স্যারের সরে যাওয়ার কথা শুনে।'
তাকে সুইডেনে খেলতে যেতে দেওয়া হয়নি। স্বপ্নাকেও ভারতের লোভনীয় প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে হয়েছে। আঁখি অবশ্য এই অপ্রিয় বিষয়গুলো এড়িয়েই যেতে চাইলেন। শুধু বলেছেন, 'স্বপ্না আপুর ভারতে খেলার সুযোগ ছিল। তার সঙ্গে কী হয়েছে, সেটা সবার জানা। আমার সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে।'
শেষটায় আঁখি যা বলেছেন, তা দিয়েই নারী ফুটবলের ভেতরের চিত্রটা ফুটে উঠেছে। তারা দেশকে অসংখ্য সাফল্য এনে দিয়েছেন। গোটা দেশের কাছে তারা একেকজন খেলার মাঠের বীর সেনানী। তবে তাতে তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। বাফুফের চতুর্থ তলায় গাদাগাদি করে থাকতে হয়। মাস শেষে জুটে নামকোয়াস্তে পারিশ্রমিক। সেটা বাড়ানোর দাবী করলেই নাম কাটা যায় গুডবুক থেকে। আঁখির কথায়, 'ভাইয়া, আমরা তো মেয়ে। আর কত কষ্ট করবো যদি ঠিকভাবে পারিশ্রমিকই না পাই?'
দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দল হওয়ার পরও আঁখিদের আকাশ ঢেকে আছে নিকশ কালো অন্ধকারে। এর দায় কী এড়াতে পারবেন, বছরের পর বছর মসনদ আঁকড়ে রাখা ফুটবল কর্তারা?
হার দিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শেষ করলো চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। অন্যদিকে ৫-০ গোলের দাপুটে জয়ে শেষ করেছে দ্বিতীয় স্থানের আর্সেনাল। জিতেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর ৪-৪ গোলে ড্র করেছে লিভারপুল। সাউদাম্পটনের অবনমন আগেই নিশ্চিত হয়েছিল। রবিবার তাদের সঙ্গে নেমে গেছে লিস্টার ও লিডস। লিডস ১-৪ গোলে হেরে গেছে টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে। আর ২-১ গোলে ওয়েস্টহ্যামকে হারিয়েও লাভ হয়নি লিস্টারের। বেন্টফোর্ডের মাঠে হালান্ড-গুনদোয়ানসহ প্রথমসারির কয়েকজনকে খেলানইনি পেপ গার্দিওলা। সামনে ছিলেন আলভারেজ, মাহরেজ, তাদের পেছেন ফোডেন। ৮৫ মিনিট পর্যন্ত অরক্ষিত রেখেছিল সিটি তাদের গোল। ঠিক ওই সময়ে ব্রেন্টফোর্ডের ইথান পিনোক। পঞ্চম হার দিয়ে লিগ শেষ করে সিটি।
নগর প্রতিদ্বন্দ্বি ম্যানইউ ঘরের মাঠে জেডন সানচো ও ব্রুনো ফার্নান্দেজের দ্বিতীয়ার্ধের দুগোলে ফুলহ্যামকে হারিয়ে তৃতীয় হয়েছে। চেলসির সঙ্গে নিউক্যাসলে ১-১ গোলে ড্র করায় চতুর্থ স্থান নিয়ে শেষ করলো সৌদি যুবরাজের মালিকানধীন নিউক্যাসল। সাউদাম্পটনের সঙ্গে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েও একপর্যায়ে ৪-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে হারের শঙ্কায় পড়েছিল লিভারপুল। ৭২ ও ৭৩ মিনিটে কোডি গাকপো ও ডিয়েগো জোতার গোল ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম হয়েছে লিভারপুল। ব্রাইটন হয়েছে ষষ্ঠ। ঘরে মাঠে জাকার দুই ও সাকার এক গোলে উলভসের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ৩-০তে এগিয়ে যায় গানার্সরা। দ্বিতীয়ার্ধে জেসুস ও কিইয়োর আরো দুই গোল করলে বড় জয়ের স্বস্তিতে মৌসুম শেষ করে একসময় শিরোপা লড়াইয়ে থাকা আর্সেনাল।
নতুন পে-স্কেল কিংবা মহার্ঘ ভাতা নয়, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়বে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট অনুযায়ী। তাদের বেতন প্রতি বছর যতটা বাড়ার কথা এবার তার চেয়ে বেশি বাড়বে। আর তা চলতি বছরের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বাড়ানো হবে। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশের বাইরে বাড়ানো হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর দেশ রূপান্তরকে বলেন, গত প্রায় এক বছর ধরে দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের বেশিরভাগের একমাত্র আয় বেতন-ভাতা। বৈশি^ক মন্দার কারণে সরকারও খানিকটা সংকটে আছে। এ পরিস্থিতিতে পে-স্কেল দেওয়ার মতো বড় ধরনের ব্যয় বাড়ানো সরকারের পক্ষে কঠিন হবে। ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হলে সরকারের ওপর চাপ বেশি হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে সরকারি কর্মরতদের খানিকটা স্বস্তি দিতে কোন খাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় এমন প্রস্তাব চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বাজেটবিষয়ক বিভিন্ন বৈঠকে সরকারি নীতিনির্ধারকরাও এ বিষয়ে আলোচনা করেন। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই-বাছাই করে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করে। চলতি মাসে গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী এ বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী ওই বৈঠকে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে কত বাড়তি ব্যয় হবে তা হিসাব করে পরের বৈঠকে উপস্থাপন করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বড় ধরনের ব্যয় না বাড়িয়ে একটা উপায় বের করতেও বলেন। শেষ পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে নিজেই জানিয়েছেন।
বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা ২০১৫ সালের বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এ বেতন কমিশন প্রণীত হয়েছিল। এ কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, আর নতুন বেতন কমিশন গঠন করা হবে না। প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট বা বেতন বাড়ানো হবে। এ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তা হয়ে আসছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি হিসাব অনুযায়ী, দেশে সরকারি কর্মচারী ১৪ লাখ। বিভিন্ন করপোরেশন এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে হিসাব করলে প্রায় ২২ লাখ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের বাজেটে নিয়মিত ইনক্রিমেন্টের বাইরে আরও কতটা বাড়ানো যায় তা হিসাব করে নির্ধারণ করা হবে। এ কাজ করতে বাজেট প্রস্তাব পেশ করার পর আলাদা কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে যাচাই-বাছাই শেষে ইনক্রিমেন্টের হার সুপারিশ করবে। এ ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির হার বিবেচনা করে বিদ্যমান ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে প্রতি মাসে বেতন বাড়ানো হবে, নাকি গড় মূল্যস্ফীতির হার বিবেচনা করে ইনক্রিমেন্টের হার বাড়ানো হবে, তা খতিয়ে দেখা হবে। ২০তম গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেড পর্যন্ত সবার জন্য একই হারে বেতন বাড়নো হবে কি না, তা আরও খতিয়ে দেখা হবে। চূড়ান্ত হিসাব অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে প্রকাশ করা হবে। যে তারিখেই প্রকাশ করা হোক না কেন, আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকরী ধরা হবে।
এখানে মহার্ঘ ভাতা ১০ শতাংশ দেওয়া হলে এ হিসাবে ৪ হাজার কোটি টাকা যোগ করতে হবে। ১৫ শতাংশ দেওয়া হলে ৬ হাজার কোটি এবং ২০ শতাংশ দেওয়া হলে ৮ হাজার কোটি টাকা যোগ করতে হবে। অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে আগামী অর্থবছরে সরকারের ব্যয় বাড়বে। আর এতে সরকার ব্যয় কমিয়েও সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তুষ্টিতে ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো পথে হেঁটেছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি কর্মরতদের বেতন-ভাতা বাবদ রাখা হয়েছে ছিল ৭৪ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। খরচ না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ১ হাজার ৯৩ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা বাজেট হওয়ার কথা আছে। এ বাজেট সরকারি কর্মরতদের বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ ৭৭ হাজার কোটি টাকা রাখা হতে পারে। সরকারি কর্মকর্তাদের অনেক পদ এখনো খালি আছে। এতে ইনক্রিমেন্ট বাড়ানো হলেও সরকারের ব্যয়ে বড় ধরনের চাপ বাড়বে না।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) নির্মিত হয়েছে বিশেষ কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠান ‘ও ভোরের পাখি’। ঈমাম হোসাইনের প্রযোজনায় এটি উপস্থাপনা করেছেন তামান্ন তিথি। অনুষ্ঠানটিতে আবৃত্তি করেছেন আশরাফুল আলম, মীর বরকত, রফিকুল ইসলাম, পলি পারভিন, শাকিলা মতিন মৃদুলা, মাসকুর-এ সাত্তার কল্লোল, আসলাম শিশির, সংগীতা চৌধুরী, আহসান উল্লাহ তমাল। প্রচারিত হয় ২৫ মে সকাল সাড়ে ৯টায়।
এছাড়াও নির্মিত হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘আমারে দেবো না ভুলিতে’। অনুষ্ঠানটিতে গান, কবিতা ও আলোচনার সমন্বয়ে কবিকে সামগ্রিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বাচিকশিল্পীদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। ইয়াসমিন মুসতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, শেলু বড়ুয়া, ছন্দা চক্রবর্ত্তী ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন প্রফেসর মুন্সী আবু সাইফ। মনিরুল হাসানের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হচ্ছে ২৫ মে দুপুর ১ টা ০৫ মিনিটে। আরও প্রচারিত হবে সংগীতানুষ্ঠান ‘দোলনচাঁপা’ ও ‘সন্ধ্যামালতী’। রাত ৯টায় প্রচারিত হবে নাটক ‘বনের পাপিয়া’ (পুনপ্রচার)।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এখন পর্যন্ত ৪৫০টি কেন্দ্রের প্রাথমিক ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৭৯ ভোট এবং টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৫ হাজার ৪১৩ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
গাজীপুর সিটিতে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের মধ্যে। দুজনই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। অপরদিকে ভোটের পরিবেশ ভালো বলে জানান আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনূর ইসলাম রনি।
কোটা পদ্ধতি তুলে দেওয়ার পরও বিসিএস পরীক্ষায় নারীদের চাকরি পাওয়ার হার প্রায় একই রয়েছে। ১০ শতাংশ কোটা থাকা অবস্থায় তারা যে পরিমাণ চাকরি পাচ্ছিলেন, কোটা তুলে দেওয়ার পরও প্রায় একই হারে চাকরি পাচ্ছেন। সাধারণ ক্যাডার বা কারিগরি ক্যাডারে পিছিয়ে পড়লেও শিক্ষার মতো পেশাগত ক্যাডারগুলোতে এগিয়ে গিয়ে বিসিএসে মোট চাকরি পাওয়ার হারে প্রায় একই অবস্থান ধরে রেখেছেন নারীরা।
অথচ কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় বলা হয়েছিল, কোটা তুলে দিলে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। প্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণের গ্রাফ নিম্নমুখী হবে। আসলে তা হয়নি। কোটা তুলে দেওয়ার পরও তারা প্রায় সমানতালে এগিয়ে চলছেন।
৪০তম বিসিএস দিয়ে চাকরিতে ঢুকে বর্তমানে ঢাকা বিভাগে কর্মরত একজন নারী কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, যে বয়সে ছেলেরা চাকরির জন্য প্রতিযোগিতা করে সেই বয়সে অধিকাংশ নারীকেই বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করতে হয়। সংসার করে, সন্তান লালনপালন করে নারীরা ভালো প্রস্তুতি নিতে পারে না। ফলে অনেক মেধাবী নারী প্রতিযোগিতায় উতরে যেতে পারেন না। অনেক নারী পারিবারিক কারণে বিয়ের পর চাকরির আবেদনই করেন না। বিয়ের পর পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধা আসে। এসব কাটিয়ে উঠে চাকরিতে প্রবেশ করা কঠিন। আর বিসিএসের চাকরি মানেই বদলিযোগ্য। সংসার-সন্তান রেখে বদলিকৃত পদে যোগ দেওয়া কঠিন বিষয়। সবকিছু মিলিয়ে নারীদের জন্য এ চাকরি সহজ নয়। একজন পুরুষ বেকার নারী বিয়ে করে, কিন্তু একজন নারী বেকার পুরুষ বিয়ে করে না। এ বিষয়টাও ছেলেদের প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। এ বাস্তবতা থেকেও পুরুষ প্রতিযোগী বেশি হয়। অন্যদিকে যোগ্য হলেও অনেক নারী প্রতিযোগিতাই করে না।
একজন নারী ইউএনও বলেন, পরীক্ষার হলে বা মৌখিক পরীক্ষার সময় অনেক নারীকে দুগ্ধপোষ্য সন্তানকে সঙ্গে আনতে হয়। এগুলোও অনেক সময় নারীকে চাকরির ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করে। ঘরে ঘরে বাধা পায় নারীর অগ্রযাত্রার নানা চেষ্টা। নগর-জীবনে নারীর অস্তিত্ব অনেকটা স্বচ্ছন্দের। কিন্তু নগরসভ্যতার বাইরে বিশাল বিস্তৃত গ্রামীণ জনজীবনে পুরুষতন্ত্রের নানা ধরনের অনাকাক্সিক্ষত বেষ্টনী এখনো নারীকে ধরাশায়ী করে রাখে। হাজার হাজার বছর ধরে পৃথিবীর পথ হাঁটছে নারী-পুরুষ। তবু তাদের মধ্যে ভারসাম্য নেই।
কোটা না থাকার পরও নারীরা তাদের অবস্থান কীভাবে ধরে রাখলেন জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নারী শিক্ষায় বাংলাদেশের অর্জন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। প্রাথমিকের পর মাধ্যমিকেও মেয়েরা অনেক এগিয়েছে। উচ্চশিক্ষায়ও মেয়েদের অংশগ্রহণের হার বেড়েছে। সবকিছু মিলে বিসিএসে এর প্রতিফল ঘটেছে। যে পরিমাণ মেয়ে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে, সেই তুলনায় চাকরিতে প্রবেশের হার বেশি। উচ্চশিক্ষায় যায় হয়তো ৮০ ভাগ ছেলে। আর মেয়েদের মধ্যে উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার হার ৩০ বা ৩৫ শতাংশ। তাদের মধ্যে ২৬ বা ২৭ শতাংশ মেয়ে বিসিএস দিয়ে চাকরি পাচ্ছে। এদিক দিয়ে চিন্তা করলে মেয়েরা অনেক ভালো করছে।’
এক প্রশ্নের জবাব ড. ইমতিয়াজ বলেন, ‘মেয়েদের কাছে শিক্ষা এখনো অপরচুনিটি (সুযোগ) আর ছেলেদের কাছে অধিকার। মেয়েরা যখন এ সুযোগটা পায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা কাজে লাগাতে চায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারের ছেলেসন্তানের জন্য যে বিনিয়োগ, মেয়েসন্তানের জন্য এখনো তার চেয়ে অনেক কম। এখনো মনে করা হয় মেয়ে তো অন্যের ঘরে চলে যাবে। অথচ মজার বিষয় হচ্ছে, পরিবারের দায়িত্ব উচ্চশিক্ষিত ছেলের তুলনায় উচ্চশিক্ষিত মেয়ে অনেক বেশি বহন করে। এসব প্রতিবন্ধকতা হাজার বছরে তৈরি হয়েছে। এগুলো দূর হতে আরও সময় লাগবে।’
অন্যান্য কোটার মতো প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা ছিল। নারীরা যোগ্যতা অনুযায়ী মেধা কোটায়ও নিয়োগ পেতেন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে মেধাভিত্তিক জেলা কোটার পাশাপাশি ১৫ শতাংশ নারী কোটা রয়েছে এখনো। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাভিত্তিক জেলা কোটার পাশাপাশি ৬০ শতাংশ নারী কোটা সংরক্ষিত রেখে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে নারীরা সরকারি চাকরিতে পুরুষ প্রার্থীর সঙ্গে মেধা কোটায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিয়োগ লাভের পাশাপাশি সংরক্ষিত কোটায়ও নিয়োগ লাভের সুবিধা পেয়ে থাকেন।
শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ছাত্রীর হার বাড়ছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে এক দশকের বেশি সময় ধরে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর হার বেশি। কলেজ পর্যায়ে ছাত্র ও ছাত্রীর হার প্রায় সমান। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর হার ৩৬ শতাংশের বেশি।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে সরকার। ৪০তম সাধারণ বিসিএস হচ্ছে কোটামুক্ত প্রথম বিসিএস। ধাপে ধাপে বাছাই করে গত বছর ৩০ মার্চ এই বিসিএসের চূড়ান্ত সুপারিশ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রায় ১৩ মাস পর গত মাসে সেই সুপারিশের বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে পিএসসি। সেখানে বলা হয়েছে, ৪০তম বিসিএসে মোট ২৬ দশমিক ০৩ শতাংশ নারী চূড়ান্তভাবে সুপারিশ পেয়েছেন। যা কোটাযুক্ত ৩৮তম বিসিএসে ২৬ দশমিক ৯১ ও ৩৭তমে ২৪ দশমিক ৬০ শতাংশ ছিল। গত ১ নভেম্বর এ বিসিএসের কর্মকর্তারা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন।
পিএসসির একজন সাবেক চেয়ারম্যান বলেছেন, কোটামুক্ত একটি সাধারণ বিসিএসে ২৬ দশমিক ০৩ শতাংশ নারী চূড়ান্তভাবে সুপারিশ পেয়েছেন এটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় নারীদের শক্ত সক্ষমতা প্রকাশ করে। কারণ এর আগে কোটাযুক্ত ৩৮তম বিসিএসের তুলনায় মাত্র দশমিক ৮৮ শতাংশ কম। অর্থাৎ কোটা তুলে দেওয়ার পরও নারীরা ১ শতাংশও পিছিয়ে পড়েননি। আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে, প্রত্যেক বিসিএসে নারীদের আবেদনের হার অর্থাৎ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের হার পুরুষের তুলনায় কম অর্থাৎ গড় হার কম। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতেও নারী প্রার্থীদের পুরুষের তুলনায় অনেক কম চোখে পড়ে। এমনকি কোনো কোনো কক্ষে নারী প্রার্থী থাকেই না। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ধাপগুলো অতিক্রম করার ক্ষেত্রে নারীদের অনুত্তীর্ণ হওয়ার পরিমাণ বেশি থাকে। ৪০তম বিসিএসে যোগ্য আবেদনকারী নারী ছিলেন ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। তাদের মধ্যে ১৯ দশমিক ১৯ শতাংশ নারী প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন। অথচ পুরুষদের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র। যোগ্য আবেদনকারী পুরুষ ছিলেন ৬১ দশমিক ৬২ শতাংশ। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ পুরুষের হার ৮০ দশমিক ৮১ শতাংশ।
৪০তম বিসিএসের সাধারণ ক্যাডারে ২১ দশমিক ০৮ শতাংশ নারী সুপারিশ পেয়েছেন। এই হার ৩৮ ও ৩৭তম বিসিএসে ছিল যথাক্রমে ২৪ দশমিক ১৪ ও ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
৪০তম বিসিএসের কারিগরি ক্যাডারে ২৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ নারী সুপারিশ পেয়েছেন। এই হার ৩৮ ও ৩৭তম বিসিএসে ছিল যথাক্রমে ২৯ দশমিক ৫৩ ও ২৫ দশমিক ২ শতাংশ।
সাধারণ এবং কারিগরি ক্যাডারে নারীরা পিছিয়ে পড়লেও শিক্ষার মতো পেশাগত ক্যাডারে এগিয়েছেন। ৪০তম বিসিএসে ২৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ নারী সুপারিশ পেয়েছেন। যা ৩৮তমে ২৬ দশমিক ৩০ এবং ৩৭তমে ২৫ দশমিক ২ শতাংশ ছিল।
পুরোপুরি মেধার ভিত্তিতে নেওয়া ৪০তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারেও নারীরা পিছিয়েছেন। জেলা কোটাও না থাকায় নাটোর, ভোলা, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি থেকে প্রশাসন ক্যাডারে কেউ সুপারিশ পাননি।
গত বছর প্রকাশিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি চাকরিজীবীদের তথ্যসংক্রান্ত ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস’ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, সিভিল প্রশাসনের ১৪ লাখ সরকারি কর্মচারীর মধ্যে ২৬ শতাংশ নারী। সরকারি দপ্তরের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কাজ করেন সবচেয়ে কমসংখ্যক নারী। মন্ত্রণালয়ের মোট জনবলের ১৯, অধিদপ্তরের ৩১, বিভাগীয় কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়ের ১২ এবং আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ১২ শতাংশ কর্মী নারী।