
বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পরও পদ না ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া এআরপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরনবী আজাদের বিরুদ্ধে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ৬০ বছর পূর্ণ হয় অভিযুক্ত এ প্রধান শিক্ষকের। কিন্তু তিনি অবসরে না গিয়ে এবং দায়িত্ব হস্তান্তর না করে বেআইনিভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন, যা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালার পরিপন্থী। নিয়ম অনুযায়ী, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে চাকরিতে বহাল থাকার কোনো সুযোগ নাই।
জানা গেছে, গত বছরের শেষের দিকে প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ তার ভোটার আইডি কার্ড ও সব পরীক্ষার সনদের জন্ম তারিখ সংশোধন করেন। তার পূর্বের জন্ম তারিখ হলো ১ জানুয়ারি ১৯৬৩। তার ছাত্রজীবনে স্কুলে ভর্তির রেজিস্ট্রেশনের জন্ম তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৬৪ অনুযায়ী তিনি নতুন জন্ম তারিখ সংশোধন করেন। অবৈধভাবে চাকরিতে থাকার জন্য অবসরের আগে কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় তিনি এ সংশোধন করেন বলে অভিযোগ।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব হস্তান্তর করে তিনি অবসরে যাবেন এটাই সত্যি। কিন্তু তিনি কোন ক্ষমতা ও নিয়মে বলে এখনো দায়িত্ব পালন করছেন তা আমার বোধগম্য নয়। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তার ভাই ও স্থানীয় চেয়ারম্যান তার ভাতিজা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারেন না। তিনি স্কুলটিতে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছেন। তিনি প্রধান শিক্ষকের পদ আঁকড়ে রাখায় আমি নিজেও পদবঞ্চিত হচ্ছি।’
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নূরনবী আজাদ বলেন, ‘আমি গেজেট অনুসারেই কাজ করেছি। যেহেতু গ্যাজেট অনুযায়ী বয়স সংশোধনের সুযোগ আছে তাই আমি বয়স সংশোধন করেছি। এখন আমি এমপিও এর সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করব। যদি সময় বৃদ্ধি হয় তাহলে দায়িত্বে থাকব না হয় ছেড়ে দেব।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান বলেন, ‘এমপিও কপি অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও তিনি তার দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে নিয়মের বাইরে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তার ভোটার আইডি কার্ড ও শিক্ষাগত সনদের সঙ্গে এমপিও কপির গরমিল থাকায় বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। যদি বোর্ড গ্রহণ করে তবে তিনি দায়িত্বে নতুন করে আসবেন। এখন দায়িত্বে থাকার সুযোগ নেই। তাকে দ্রুত দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে লিখিত চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
৫৫ বছর পর গোপালগঞ্জে মধুমতী নদীর সঙ্গে কংশুর খালের সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। পাকিস্তান আমলে মধুমতী বিলবুট চ্যানেলে (কাটা মধুমতী নদী) ভাঙন দেখা দেওয়ায় এই খালের মুখটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া, দুর্গাপুর, কাজুলিয়া ও কাঠি ইউনিয়নের অন্তত ৩৫টি গ্রামের কৃষক চাষাবাদে ক্ষতির সম্মুখীন হন। এসব গ্রামের কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন খালটি নদীর সঙ্গে সংযোগের উদ্যোগ গ্রহণ করে। পরে ২০০ মিটার দীর্ঘ খালটি খনন করা হয় এবং গতকাল শুক্রবার দুপুরে সংযোগ স্থাপনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম। পরে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
করপাড়া ইউনিয়নের কৃষক ফুল মিয়া খান (৪৫) বলেন, পানির অভাবে আমাদের চাষাবাদ করতে কষ্ট হতো। অনেক জমি অনাবাদি থাকত। এখান নদীর সঙ্গে খালে সংযোগ হওয়ায় আমাদের অনেক উপকার হবে।
একই এলাকার কৃষক হাফিজুর মোল্লা (৫৫) বলেন, জমির পানি নদীতে নামার ব্যবস্থা না থাকায় এসব এলাকার কৃষিজমিতে স্থায়ী জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ খালটির সঙ্গে ১২টি খালের সংযোগ রয়েছে। নদীর সঙ্গে খালটির পুনঃসংযোগ স্থাপন হওয়ায় এসব ইউনিয়নে কৃষি উৎপাদন বাড়বে। এখন আর ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করতে হবে না। তাই কৃষি উৎপাদনে খরচ কমবে।
একই এলাকার একরাম আলী খান (৬৫) বলেন, এখন থেকে খালপাড়ের বাসিন্দারা খালের পানি দিয়ে দৈনন্দিন কাজ সারতে পারবেন। চাষাবাদে ব্যবহার করতে পারবেন কংশুর খালসহ এ খালের সঙ্গে সংযুক্ত অন্যান্য খালের পানি। এতে মানুষ উপকৃত হবেন।
করপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নোয়াব আলী ফকির বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এ খালটির বন্ধমুখ নদীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন। দীর্ঘ বছর পর এলাকাবাসীর দাবি পূরণ হলো। এতে এলাকাবাসী খুবই খুশি। এলাকার কৃষকদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
করপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, এ খালটির বন্ধমুখ নদীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন হওয়ায় করপাড়া, দুর্গাপুর, কাজুলিয়া ও কাঠি ইউনিয়নের অন্তত ৩৫টি গ্রামের কয়েক হাজার কৃষকের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে। খালটির মুখ বন্ধ থাকায় এসব ইউনিয়নের অনেক জমিতে স্থায়ী জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আর শুষ্ক মৌসুমে বোরো আবাদে সেচ দিতে পানির সংকটে পড়তে হতো এলাকার কৃষকদের। এখন আর পানির সংকট হবে না। এখন সব জমি চাষের আওতায় আসবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান বলেন, এ খালটির মুখ ৫৫ বছর বন্ধ ছিল। আজ (গতকাল) খালটি নদীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হলো। এতে খালটিতে জোয়ার-ভাটা সৃষ্টি হবে। শুষ্ক মৌসুমে সেচ কাজে এ খালে পানি ব্যবহৃত হবে। আগে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমবে। হাজার হাজার টন অতিরিক্ত ফসল উৎপাদিত হবে।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, নদীর সঙ্গে খালটির পুনঃসংযোগ স্থাপন হওয়ায় এলাকায় চাষাবাদের উন্নয়ন ঘটবে। অনাবাদি জমিতে আবাদ হবে। এতে বাড়তি ফসল উৎপাদিত হবে। দেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে চলে গেছে সিলেট-ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ। পর্যটকদের সেই রেলপথ পার হয়েই বনের ভেতর ঢুকতে হয়। কিন্তু রেলক্রসিংয়ে কোনো ব্যারিকেড না দেওয়ায় ট্রেন চলাচলের সময় পর্যটকদের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। বিশেষ করে সপ্তাহের ছুটির দুদিন শুক্র ও শনিবার লাউয়াছড়ায় পর্যটকের ব্যাপক ভিড় থাকে। এসময় বেশি ঝুঁকি তৈরি হয়।
সরেজমিনে গতকাল শুক্রবার সকালে লাউয়াছড়ায় দেখা যায়, দুর্ঘটনায় হতাহতের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বেপরোয়া হয়ে কিছু পর্যটক রেললাইনের ওপর দিয়ে দ্রুত হেঁটে ও দৌড়ে পার হচ্ছেন। বনের ভেতরে রেলক্রসিংয়ে ব্যারিকেডের ব্যবস্থা থাকলেও তা ব্যবহার করা হয়নি। সেখানে কোনো গেটম্যানকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি, তার রুমে তালা দেওয়া। ঢাকা থেকে সিলেটগামী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন আসামাত্র পর্যটকরা উন্মুক্ত ক্রসিংয়ে রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেক শিশুকেও সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ক্রসিং পারাপার হওয়া অনেকে দ্রুত রেললাইন থেকে সরে দাঁড়ান।
পর্যটক সাদিকুর রহমান বলেন, ‘লাউয়াছড়ায় প্রতিবছরই আসা হয়। কিন্তু রেললাইনের ক্রসিংয়ের ব্যারিকেড দেওয়া হয় না কখনো। এটা আমাদের বাচ্চাদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।’
আরেক পর্যটক নাজমিন আক্তার বলেন, ‘শিশুদের জন্য রেলক্রসিংটা খুবই ঝুঁকির। হঠাৎ ট্রেনের হুইসেল শুনলে কোনোদিকে না তাকিয়েই শিশুরা দৌড় দেয়।’
মৌলভীবাজারের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিনই রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান থাকে। কেউ কখনো অভিযোগ করেনি। তবে ছুটির দিনে যেন ব্যারিকেড দেওয়া হয় এবং বাড়তি সতর্কতা থাকে এ বিষয়ে তাদের বলা হবে।’
বগুড়ার সারিয়াকান্দির আমতলীর সুখদহ নদীর তীরে তিন দিনব্যাপী গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ও মেলা শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে মেলার দ্বিতীয় দিনে ২৮টি ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। আজ শনিবার শেষদিন সকালের পর ৪০টি ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছে। মেলার শুরুর দিন বৃহস্পতিবার কোনো ঘোড়দৌড় হয়নি। এ মেলাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করছে। এ প্রতিযোগিতায় দেশের আলোচিত একমাত্র নারী ঘোড়সওয়ার তাসমিনা ও তার ছোট বোন সাত বছর বয়সী হালিমা অংশগ্রহণ করেছে।
জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে মেলার আয়োজন হয়ে আসছে। গ্রামীণ মেলার সঙ্গে বিকেলে যুক্ত হয়েছে ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা। ঘোড়ার দৌড় উপভোগ করতে এসেছে বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় ক্লাবসহ সামাজিক সংগঠনগুলো এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। পঞ্চগড় থেকে আসা পাওয়ার হর্স ঘোড়ার মালিক রাজ জানান, তিনি ঘোড়া নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এ পর্যন্ত অসংখ্য পুরস্কার জিতেছেন। এখানেও চ্যাম্পিয়ন হবেন বলে আশা করছেন।
কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলোর অবস্থা ভালো নয়। গ্রামগুলো ঘুরে সড়কগুলো দেখেশুনে মনে হয়েছে এগুলো দেখার যেন কেউ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, মালবাহী ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সব রাস্তার কার্পেটিং উঠে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। দ্রুত সময়ে নষ্ট হচ্ছে সড়কগুলো।
দেখা যায়, সামান্য বৃষ্টি হলে হাঁটু পানি হয়ে যায় এসব সড়কে। ১৫ ফুট রাস্তা দুপাশে ভেঙে দুই ফুটে পরিণত হয়েছে। রাস্তায় বড় বড় গর্ত হওয়ার কারণে ঘটছে বড়-ছোট দুর্ঘটনা।
উপজেলার বাসস্ট্যান্ড থেকে দিদার মেম্বারের মোড়, মুক্তিনগর বাজার থেকে আলিপুর লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড থেকে রামপুর বাজার, রাধানগর ইউনিয়নের লক্ষণখোলা থেকে পারারবন্দ পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তার এমন দশার কারণে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন ব্যাটারিচালিত ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনের যাত্রীরা। সড়কগুলো সংস্কার না করার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা সন্তানসম্ভবা নারী ও অন্য রোগীরা চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
অটোরিকশার আরোহী আবদুছ ছালাম বলেন, আমাদের জনপ্রতিনিধিরা যেন কিছুই দেখছেন না। বছরের পর বছর সড়কগুলো এমন অবস্থায় পড়ে থাকলেও তারা এগুলো সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা সন্তান সম্ভবা একজন নারী বলেন, আমার মতো নারীরা এমন রাস্তায় চলাচল করা মানে দুটি জীবনের ঝুঁকি নেওয়া।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক বাবু মিয়া বলেন, সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে। আর আমগো মেঘনার রাস্তাঘাটের কোনো উন্নতি নাই। পাশের থানা হোমনা, গজারিয়া কিংবা বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রাস্তাগুলো দেখলে বোঝা যায় আমরা কতটা পিছিয়ে আছি। মেঘনা উপজেলার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের চোখে এগুলো পড়েই না। আমাদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাগুলো সংস্কার করা হোক।
মেঘনা উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম শিকদারের সঙ্গে সড়কগুলোর ব্যাপারে কথা হলে তিনি বলেন, উপজেলার সবগুলো রাস্তাই বলতে গেলে খারাপ হয়ে গেছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করছি। ইতিমধ্যে কয়েকটি রাস্তার টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। খুব শিগগিরই বাকি রাস্তাগুলোর কাজও হয়ে যাবে।
গোদাগাড়ীতে প্রাইভেট কারের এক চালককে সাত দিনের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বৃহস্পতিবার রাতে গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনের সামনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম উপজেলার মহিশালবাড়ি এলাকার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে এবং এক আইনজীবীর গাড়িচালক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনের সামনে জেলা পরিষদের পরিত্যক্ত জায়গায় গাড়ি পার্কিং করেন আইনজীবী সালাউদ্দিন বিশ্বাসের গাড়িচালক সাইফুল ইসলাম। এই নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানে আলম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসানের সঙ্গে। এর জের ধরে নিয়ম অমান্য করে গাড়ি পার্কিংয়ের দায়ে তাকে সাত দিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
আইনজীবী সালাউদ্দিন বিশ্বাসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, গোদাগাড়ী ইউএনও জানে আলম বিভিন্ন এলাকায় তার ক্ষমতার অতিরিক্ত জরিমানা করে আসছিলেন। কিন্তু জরিমানার রসিদ তিনি দিচ্ছিলেন না। এই নিয়ে আমি অভিযোগ করায় তিনি এসব রসিদ দিতে বাধ্য হন। এ ঘটনার জের ধরেই আমার ড্রাইভারকে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, কথা-কাটাকাটির জন্য জেল দেওয়া হয়নি। বহুদিন ধরে অবৈধভাবে তারা ওই রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করে আসছিল। এজন্য মানুষজনের চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল। এর আগেও তাদের সেখানে পার্কিং নিষেধ করা হয়।
রিয়াল মাদ্রিদের সংগে ১৪ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলছেন। ৪০ কোটি ইউরো চুক্তিতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আলো ইত্তিহাদে যোগ দিচ্ছেন।
ক'দিন ধরে এমন কথা শোনা যাচ্ছিল করিম বেনজেমাকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন -এমন কথাও চাউর হয় স্পেনের সংবাদ মাধ্যমে।
কিন্তু সব কিছুতে জল ঢাললেন ব্যালন ডি অর জয়ী। স্পেনের গণমাধ্যম মার্কার দেয়া মার্কা লিজেন্ড এওয়ার্ড নিতে গিয়ে বললেন, 'আমি যখন রিয়ালেই আছি তখন ভবিষ্যৎ নিয়ে কেনো বলবো। ইন্টারনেটে যা প্রচার হচ্ছে তা ঠিক না। আমি এখানে ভালো আছি। শনিবার রিয়ালের ম্যাচ আছে, সব ফোকাস আমার সেই ম্যাচকে নিয়ে।'
ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে তাকে রিয়ালে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বেনজেমা বলেন, '২১ বছরের আমি এই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম। এই ক্লাবে খেলার মতো আর কিছু হয় না, সান্তিয়াগো বার্নাবু দারুন এক জায়গা।'
রিয়ালের সংগে চুক্তির মেয়াদ এ মাসেই শেষ হচ্ছে বেনজেমার।
পাকিস্তানের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলে নয়, এশিয়া কাপ হবে একটি দেশে। আর সেটা শ্রীলংকা। পাকিস্তান তাতে অংশ না নিতে চাইলে তাদেরকে ছাড়াই হবে এশিয়া কাপ।
ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে কলকাতাভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দা টেলিগ্রাফ।
বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ যিনি এসিসিরও প্রেসিডেন্ট পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বলেছেন, শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ খেলতে রাজি আছে ভারতসহ চার পূর্ণ সদস্য। বিষয়টি নিয়ে এসিসির নির্বাহী সভায় আলোচনা করা হবে। পাকিস্তান রাজি না হলে ৫ দল নিয়েই হবে এশিয়া কাপ।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচ অন্য কোনো দেশে আয়োজনে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজমা শেঠির দাবিও নাকচ করে দিয়েছেন জয় শাহ। টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, পাকিস্তানকে ভারতেই খেলতে হবে, না হলে না খেলবে। এ বার্তা পিসিবি এবং আইসিসির দুই কর্মকর্তা যারা সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করেন তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।