
কুমিল্লায় মাদক সেবন দেখে ফেলায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে রাজিব নামে এক শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে নগরীর গোবিন্দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত রাজিব (২১) বিসিক শিল্প নগরীর একটি ফ্যাক্টরির শ্রমিক।
পুলিশ এবং স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় এলাকার রাব্বি গং মাদক বিক্রি এবং সেবন করছিল। একপর্যায়ে তাদের পাশ দিয়ে হেঁটে যান শ্রমিক রাজিব। এ সময় মাদক সেবন দেখে ফেলায় সোর্স ভেবে রাজিবের সঙ্গে রাব্বি গংয়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাজিব পুলিশকে তথ্য দিতে পারে ভেবে রাব্বি ও তার সহযোগীরা মিলে রাজিবকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গোবিন্দপুর এলাকার কাজী মনসুরের বাড়ির সামনে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সনজুর মোর্শেদ বলেন, মাদক সেবন দেখে ফেলায় ওই শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে প্রায় ৫ কোটি টাকা বরাদ্দে দুটি সেতুর নির্মাণকাজের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও শুধু পাইলিংয়েই সীমাবদ্ধ রয়েছে কাজ। এতে মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সেতু দুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সেতু দুটির একটি হচ্ছে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ভূমদক্ষিণ থেকে খাসেরচর রাস্তার নয়াপাড়া গ্রামে। ১২ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ১ কোটি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এই সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএসের মেসার্স মোমিনুল হক, আদর এন্টারপ্রাইজ এবং হাসিনা আলম অ্যান্ড সন্স। ঠিকাদার ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে নির্মাণকাজ শুরু করে শুধু পাইলিং করেই তা বন্ধ করে চলে যান। এ পর্যন্ত আর কোনো কাজ না হলেও কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে।
অপর সেতুটি সিংগাইর-মানিকনগর-সিরাজপুর সড়কের সায়েস্তা ইউনিয়নের ঝিকাতলায়। ৪৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ সেতুর নির্মাণ ব্যয় ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৪ হাজার টাকা। এই সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে মেসার্স মোমিনুল হক এবং আদর এন্টারপ্রাইজ। ঠিকাদার সেতুর কাজ ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে শুরু করে শুধু পাইলিং করেই কাজ বন্ধ রেখেছেন। এর নির্মাণ সময় শেষ হচ্ছে আগামী মাসে।
উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডি) অফিস সূত্রে জানা যায়, দুটি সেতুরই কাজের মাত্র ২০ শতাংশ শেষ হয়েছে।
সরেজমিনে গত ২৯ জানুয়ারি দেখা যায়, দুটি সেতুরই কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো লোক তো দূরের কথা, কোনো নির্মাণসামগ্রীও আশপাশে নেই। শুধু পাইলিংয়ের মরিচা পড়া রড বের হয়ে আছে। এলাকাবাসী জানান, সেতু দুটি নির্মাণ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
নয়াপাড়া সেতুর কাজ বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে নয়াপাড়া মডেল একাডেমির পরিচালক সারোয়ার হোসেন জানান, অনিরাপদ ডাইভারশন দিয়ে যাতায়াতে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ভূমদক্ষিণ-নয়াপাড়া হয়ে খাসেরচর এবং মেদুলিয়া-ধল্লা বাজার-ফোর্ডনগর হয়ে সাভার এবং ওই দুটি রাস্তা দিয়ে সিংগাইর উপজেলা সদরে যাতায়াতকারী লোকজন। এ ছাড়া যাত্রী এবং বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে।
অপরদিকে ঝিকাতলা এলাকার সেতুটির কাজ বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ী আওলাদ হোসেন বলেন, ‘সেতুটির কাজ বন্ধ থাকায় উপজেলার বিপুলসংখ্যক মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। সড়কটি দিয়ে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দ্রুত সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে মানুষের ভোগান্তি কমবে।’
নয়াপাড়া এলাকার সেতু প্রসঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাসিনা আলম অ্যান্ড সন্সের মালিক মো. রবিউল হোসেন বলেন, কাজ শুরুর পর হঠাৎ করেই নির্মাণসামগ্রীর উচ্চহারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। এখন কাজ সম্পাদনে নির্মাণসামগ্রীর মূল্য পুনর্নির্ধারণ এবং বর্ধিত সময়ের ব্যবস্থা করে না দিলে আমার পক্ষে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না। আমি লোকশন দিয়ে তো আর কাজ করব না।
এদিকে ঝিকাতলা এলাকার সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোমিনুল হক এবং আদর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি নির্মাণসামগ্রীর মূল্য পুনর্নির্ধারণসহ বর্ধিত সময়ের ব্যবস্থা করে দিতে। তবে যা-ই হোক আমি শিগগিরই কাজ শুরু করব।’
ওই এলাকার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, একদিকে রাস্তা বেহাল, অন্যদিকে সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ। এতে আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি।
এ ব্যাপারে এলজিইডির সিংগাইর উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘বন্ধ থাকা সেতু দুটির কাজ সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারদের একাধিকবার বলেছি। সর্বশেষ তারা ২৯ জানুয়ারি আমাকে এ বিষয়ে একটি আপডেট তথ্য জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা কোনো রকম সিদ্ধান্ত জানাননি। শিগগিরই যদি তারা কাজ শুরু করেন তাহলে ভালো। অন্যথায় আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
বাবা কনু মিয়া পেশায় রিকশাচালক, মা দিলারা বেগম শারীরিক প্রতিবন্ধী। নিজেদের ঘর বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় স্থান হয়েছে মামার ঘরে। সেখানে থেকেই অভাবের সংসারে নানা বাধাবিপত্তির মধ্যেও লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন দেলোয়ার। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে জিপিএ ৪ দশমিক ০৮ পেয়েছে। বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হওয়ার ইচ্ছা তার। কিন্তু টাকার অভাবে দেলোয়ারের উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেলোয়ারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, এইচএসসি পরীক্ষায় ছেলে উত্তীর্ণ হওয়ায় চোখ-মুখে হাসি থাকলেও ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন দেলোয়ারের মা-বাবা। ভিটেবাড়ি, জমিজমাও নেই যে বিক্রি করে ছেলেকে ভর্তি করাবেন। একটি কম্পিউটারের দোকানে অস্থায়ীভাবে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে দেলোয়ার। নিজের সামান্য আয় আর বাবার রিকশা চালানোর অর্থ দিয়ে প্রতিবন্ধী মা আর ছোট বোনকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোনোভাবে চলছে তাদের সংসার। ছোট বোন ফারজানা আক্তারও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
দেলোয়ার জানায়, ‘ছোটবেলা থেকেই পুলিশ অফিসার হব, এ স্বপ্ন লালন করেই নানা বাধাবিপত্তি পেরিয়ে এসেছি। এক পর্যায়ে লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে শ্রীমঙ্গল শহরে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে একটি কম্পিউটারের দোকানে পার্টটাইম কাজ করে কোনো রকমে কলেজের বেতন জোগাড় করেছি। এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই দুইবার পুলিশ কনস্টেবল পদে পরীক্ষা দিই। তবে চাকরির সুযোগ হয়নি।’
দেলোয়ারের মা দিলারা বেগম বলেন, ‘ছেলেটা ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। কেউ সহযোগিতায় এগিয়ে এলে ছেলেটার স্বপ্ন পূরণ হতো।’ কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি যতটুকু সম্ভব তার পড়ালেখার জন্য সহযোগিতা করব।’
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে একশ্রেণির দর্শক টানতে সার্কাসের নামে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি বসানো হচ্ছে জুয়ার আসর। যেখানে প্রতিরাতে প্রায় অর্ধকোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে।
১৭ শর্তে পৌষমেলার নামে পাওয়া অনুমতির অধিকাংশ শর্তই ভঙ্গ করেছে মেলাটির আয়োজক কমিটি। অতিরিক্ত সাউন্ড, জুয়া ও অশ্লীলতাসহ অসামাজিক নানা কর্মকা-ে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও আয়োজক কমিটির ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মেলার নামে মূলত অশ্লীল নৃত্য, মদ ও জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। এই জুয়ায় প্রতিরাতে লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। আর এসব করা হচ্ছে টাকার বিনিময়ে অনেকের মুখ বন্ধ করে।
জানা গেছে, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের তালুক বাণীনগরে দলগ্রাম-শান্তিগঞ্জ সড়কের পাশে চলছে এ মেলা। তালুক বাণীনগর ইজিবাইক সমবায় সমিতি নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী পৌষমেলা আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এই মেলায় ছোটখাটো কয়েকটি খাবার ও দুটি কসমেটিক্সের দোকান ছাড়া তেমন কিছু নেই মেলায়। তবে চলছে ‘দি নিউ লাকি সেভেন সার্কাস’।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত মাসব্যাপী পৌষমেলায় সার্কাস, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাগরদোলা, জাদুখেলা, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল খেলা প্রদর্শনীর জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। অনুমতির শর্তে বলা হয়েছে, সার্কাসে সুস্থ বিনোদনসহ প্রতিদিনের কার্যক্রম রাত ৯টার মধ্যে শেষ করতে হবে। অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আয়োজন করা যাবে না। উচ্চ আওয়াজে মাইক বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাদক কেনাবেচা বা ব্যবহার নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে অনুমতির শর্তগুলোতে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তালুক বাণীনগরে ধান চাষ হয় এমন জমিতে এবার চারা রোপণ বন্ধ রেখে এর মালিকদের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে দোকান রয়েছে মাত্র ১০টি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘দি নিউ লাকি সেভেন সার্কাস’ পেশাদার কোনো সার্কাস দল নয়। কথিত এই সার্কাসের প্রতিটি শোতে এক ঘণ্টারও কম সময় দেখানো হয় খেলাধুলা। বাকি সময় চলে নাচ-গান। অনুমতির শর্তানুযায়ী রাত ৯টার মধ্যে কার্যক্রম শেষ করার কথা বলা হলেও রাতের শো শুরু হয় ১০টার দিকে। রাতে কুরুচিপূর্ণ নাচ দেখতে দর্শকে ভরে যায় পুরো প্যান্ডেল। প্যান্ডেলের পেছনে দুই পাশে বসানো হয় দুটো ‘ডাবুর বোর্ড’। রাত প্রায় দেড়টা পর্যন্ত এই জুয়া ও নৃত্য চলে।
মেলা কমিটির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, প্রতি রাতে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে জুয়াড়িদের একটি দলকে স্থানীয়ভাবে পরিচিত ডাবু নামের জুয়া পরিচালনার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। আর নির্বিঘ্নে জুয়া পরিচালনার জন্য আয়োজক কমিটি পুলিশ, প্রশাসন, কতিপয় সাংবাদিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতকর্মীকে ‘মাসোহারা’ দিয়ে থাকে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কালীগঞ্জ থানার ওসি এটিএম গোলাম রসুল পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বিদ্যুতের তার দিয়ে ফাঁদ তৈরি করে ইঁদুর মারতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা গ্রামের কৃষক আবদুল গণি শেখ (৭০)। গত শুক্রবার রাতে শোভনা ইউনিয়নের গোপালনগর বিলে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আবদুল গণি শেখ শুক্রবার সন্ধ্যায় ইঁদুর মারতে ধানখেতে বিদ্যুতের তার দিয়ে ফাঁদ পাতেন। রাত ৯টার দিকে ফাঁদে ইঁদুর মরেছে কিনা দেখতে গিয়ে নিজেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।
জামালপুরের মাদারগঞ্জে প্রায় ৭৫০ একর তিন ফসলি আবাদি জমিতে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগের প্রতিবাদে এবং স্থান পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ওই চরাঞ্চলের মানুষ। গতকাল শনিবার দুপুরে জমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে উপজেলার জোড়খালী ইউনিয়নের কাইজ্জার চরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নদী ভাঙলে জমি খাস আইন বাতিল বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক কবি আলতাফ হোসেন, চরাঞ্চল ভূমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, নাট্যকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাস, জেলা যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, গোলাম ফারুক মাস্টার, কাইজ্জার চর এলাকার সাখাওয়াত ম-ল, কৃষক আশরাফ হোসেন, হাজি রসুল মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নদী সিকস্তি অঞ্চলের ডিএস, সিএস, এসএ রেকর্ড ও জমিদারি আমলের পয়স্তি মালিকানা হরণ করে কাইজ্জার চর এলাকায় প্রায় ৭৫০ একর জমি ভুল ব্যাখ্যা করে বিআরএস রেকর্ড অন্তর্ভুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়। বাপ-দাদার আমলের সে সমস্ত মালিকানা জমি খাস খতিয়ানভুক্ত করে সেখানে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এতে জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার পথে চরাঞ্চলের ১০ সহস্রাধিক মানুষ।
বক্তারা আরও বলেন, এ এলাকার এক শতাংশ জমিও অনাবাদি নয়। অথচ প্রতিটি তিন ফসলি জমি অনাবাদি দেখিয়ে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ওই জমিগুলো খাস বলে জানি। তবে তিন ফসলি কি-না, তা তদন্ত করে দেখতে হবে।
নিজের বিদায়ী ম্যাচ বলেই কিনা জ্বলে উঠলেন সার্জিও রামোস। শুরুতেই পেয়ে যান গোলের দেখা। কিলিয়ান এমবাপ্পে আছেন তার আগের মতোই। তিনিও ডাবল লিড এনে দেন। তবে বিদায়ী ম্যাচে নিষ্প্রভ রইলেন লিওনেল মেসি। তাতেই কিনা শুরুতেই এগিয়ে যাওয়া ম্যাচটি হার দিয়ে শেষ করেছে পিএসজি।
লিগ ওয়ানের শেষ ম্যাচে ক্লেরমো ফুতের সঙ্গে ৩-২ গোলে হেরে গেছে প্যারিসিয়ানরা। তাতে রাঙানোর বদলে বিষাদভরা বিদায় হলো মেসি-রামোসদের।
আগেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করা পিএসজি মৌসুমে নিজেদের এই শেষ ম্যাচে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল। হুগো একিতেকে ও আশরাফ হাকিমিকে ফেরান কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের।
শুরুতে গুছিয়ে উঠতে সময় লেগেছে পিএসজির। প্রথম ১০ মিনিটের পর ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২১ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে গিয়েছিল ২-০ গোলে। রামোস ১৬ মিনিটে হেড থেকে এবং তার ৫ মিনিট পর কিলিয়ান এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে গোল করেন।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ক্লেরম ফুতের পাল্টা লড়াই শুরু করতে সময় নিয়েছে মাত্র ৩ মিনিট। ২৪ মিনিটে গোল করেন ক্লেরমঁর গাস্তিয়েন। এর প্রায় ১২ মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন ক্লেরমঁ স্ট্রাইকার কেয়ি। পরে অবশ্য ৬৩ মিনিটে তাঁর গোলেই জিতেছে ক্লেরমঁ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ক্লেরমঁর হয়ে সমতাসূচক গোলটি জেফানের।
বিরতির পর গোলের দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। ৫৪ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে এমবাপ্পে ঢুকে পড়েন ক্লেরমঁর বিপদসীমায়। তাঁর ক্রস পেয়ে যান ডান প্রান্ত দিয়ে দৌড় বক্সে ঢোকা মেসি। সামনে গোলকিপার একা, কিন্তু মেসি অবিশ্বাস্যভাবে বলটা পোস্টের ওপর দিয়ে মারেন।
সতীর্থ গোলকিপার সের্হিও রিকোর সুস্থতা কামনা করে বিশেষ জার্সি পরে মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন মেসি-এমবাপ্পেরা। ঘোড়ায় চড়তে গিয়ে দূর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন রিকো। ম্যাচে বিশেষ জার্সি পরে খেলেছে পিএসজি। মেসি-রামোসদের জার্সির পেছনে রিকোর নাম লেখা ছিল।
৩৮ ম্যাচে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে মৌসুম শেষ করল পিএসজি। ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লেঁস। তৃতীয় মার্শেইয়ের সংগ্রহ ৭৩ পয়েন্ট। ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে ইউরোপা লিগ নিশ্চিত করা রেঁনে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৩ ধরনের জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর থেকে বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছে সরকার। অন্যদিকে উৎপাদন পর্যায়ে তরল করা পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল আমদানিতে প্রতি লিটারে ১৩ দশমিক ৭৫ টাকা করে শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ছাড়া অন্যান্য জ্বালানি জেট ফুয়েল, ফার্নেস অয়েল, লুব বেইজ অয়েল, কেরোসিনের ক্ষেত্রে প্রতি টনে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এত দিন এসব জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল।
আমদানি করা পণ্যের যথাযথ মূল্য নির্ধারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্যের ট্যারিফ মূল্য ও ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাত দুটি হেডিংয়ের আওতায় ১২টি এইচএস কোডের বিপরীতে ট্যারিফ মূল্য এবং একটি হেডিংয়ের আওতায় একটি এইচএস কোডের বিপরীতে ন্যূনতম মূল্য বহাল আছে।
পেট্রোলিয়াম ও এর উপজাতগুলোর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিনিয়ত ওঠানামা করার কারণে অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
এলপিজি সিলিন্ডারের বিষয়ে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার তৈরির কাঁচামাল ইস্পাতের পাত (স্টিল শিট) ও ওয়েল্ডিংয়ের তার আমদানির করছাড় সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে। এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনকারীরা কাঁচামালে শুল্ককর ছাড় ১২ বছর ধরে ভোগ করে আসছে। তাই রাজস্ব আহরণের স্বার্থে শুধু দুটি উপকরণে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য করছাড়ের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে।
পেট্রোলিয়াম তেল এবং বিটুমিনাস খনিজ থেকে প্রাপ্ত তেলের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ৫ শতাংশ। নতুন বাজেট অনুযায়ী এসবের প্রতি ব্যারেলের দাম ১ হাজার ১১৭ টাকা (লিটার প্রতি ৭.০২ টাকা) হতে পারে। প্রতি টন ফার্নেস অয়েলের সুনির্দিষ্ট শুল্ক ৯ হাজার ১০৮ টাকা (লিটার প্রতি ৯.১০ টাকা) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।