
ময়মনসিংহের ভালুকায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বন বিভাগের প্রায় ৫ একর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের পাড়াগাঁও গ্রামে পাকা সড়কের পাশের ওই জমির মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। বন বিভাগের স্থানীয় রেঞ্জ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই ওই প্রতিষ্ঠান বনের জমি দখল করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শাখা সড়ক সিসটুর-সখিপুর সড়ক লাগোয়া পাড়াগাঁও মৌজার ৪৮৩ নম্বর দাগে বন বিভাগের ওই জমির অবস্থান। ডিবিএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ‘তফুরি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেড’ এর সাইনবোর্ড টাঙিয়ে প্রায় ৫ একর জমি জবরদখল করা হয়েছে।
কাদিগড় বিটের বিট কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পাড়াগাঁও মৌজায় ৪৮৩ দাগে মোট ১২ একর ৯০ শতাংশ জমির মধ্যে বন বিভাগের ৬ একর ৯০ শতাংশ। এরমধ্যে প্রায় ৫ একর জমি ডিবিএল গ্রুপ দখলের চেষ্টা করছে। ইতিপূর্বে বনের জমিতে কাজ করার সময় ওই গ্রুপের একজনকে আটক করে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের পাশজুড়ে পিলার পুঁতে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভেতরে নির্মাণ কাজ করার জন্য লোহার অ্যাংগেল ঢালাই করে বসানো হয়েছে আরও উঁচু করে আবদ্ধ বেড়া দেওয়ার জন্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবিএল গ্রুপের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘হবিরবাড়ী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা রইছ উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেই আমরা বনের জমিতে নির্মাণ কাজ করছি।’
স্থানীয় শাহাব উদ্দিন, জাফর ও নয়ন ছামাদসহ আরও কয়েকজন অভিযোগ করেন, তাদের এলাকায় জমির কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও বন বিভাগকে টাকা না দিয়ে একটি বাড়িঘর করতে পারেন না। অথচ বনের কোটি কোটি টাকার জমি দখল হয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, স্থানীয়রা নিজেদের জমিতে বাড়িঘর তুলতে গেলে সেই জমি বনের দাবি করে মারপিট ও ভাঙচুরের অভিযোগে হবিরবাড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা রইছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে জমির মালিকরা। এরমধ্যে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ সিনিয়র আদালতে একটি ও ভালুকা মডেল থানায় একটি। একটি মামলা শিল্প পুলিশ জোন-৫ এর ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান তদন্ত করছেন, অপরটি তদন্ত করছে থানা-পুলিশ।
জানতে চাইলে হবিরবাড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা রইছ উদ্দিন মামলার কথা স্বীকার করলেও বনের জমি দখলে যোগসাজশের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘বনের জমিতে নির্মাণ কাজ শুরু করলে লোক পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ডিবিএল গ্রুপের ম্যানেজার (অ্যাডমিন) জামান বলেন, ‘বনের সঙ্গে ঝামেলা রয়েছে। তবে আমি জমির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না’ বলেই ফোন কেটে দেন। পরে আর তিনি ফোন ধরেননি।
ময়মনসিংহের সহকারী বনসংরক্ষক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ডিবিএল গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান তফুরি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেড যে বেড়া দিয়েছে তা সরিয়ে নিতে বলেছি। পাশাপাশি দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে রাতের আঁধারে বাড়িঘর ও ফসলি জমি থেকে সেচের টিউবওয়েল (নলকূপ) ও শ্যালো পাম্প মেশিন চুরির হিড়িক পড়েছে। জেলার সিরাজদীখান উপজেলার বয়রাগাদি ইউনিয়নের বাহেরঘাটা ও উত্তর গোবরদী গ্রামে অহরহ এ চুরি হচ্ছে। গেল একমাসে গ্রাম দুটিতে অন্তত ৫০টি টিউবওয়েল ও শ্যালো পাম্প মেশিন চুরির খবর পাওয়া গেছে। দিনের পর দিন চোরের এমন উপদ্রবে আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসী।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাহেরঘাটা কবরস্থান ও মন্দিরের টিউবওয়েল চুরি হয় সম্প্রতি। রাতের আঁধারে চোর চক্র বাহেরঘাটা গ্রামের মজিদ বেপারী, রুবেল হাওলাদার, মোতালেব তালুকদার, ইউপি সদস্য ইয়াসিন শেখের বাড়ির টিউবওয়েল খুলে নিয়ে গেছে।
তাছাড়া ওই ইউপি সদস্যের জমিতে সেচ কাজে ব্যবহৃত শ্যালো পাম্পের মেশিন, জয়নাল দেওয়ান, কাদির শেখের জমির সেচের পাম্প মেশিন চুরি হয়েছে। আবার গোবরদী গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনসহ বেশ কয়েকজনের বাড়ির টিউবওয়েল খোয়া গেছে।
বয়রাগাদি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তন্ময় ইসলাম স্বপন বলেন, একটি টিউবওয়েল ও শ্যালো পাম্প মেশিনের মাধ্যমে উত্তর বাহেরঘাটা গ্রামের বিস্তীর্ণ জমিতে সেচ দেওয়া হতো। রাতের আঁধারে চোরের দল ওই টিউবওয়েল ও পাম্প মেশিন চুরি করে নিয়ে যায়। এতে সেচ কাজ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। আতঙ্কে রয়েছেন কৃষকরা।
একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইয়াসিন শেখ বলেন, আমার ও ছোট ভাইয়ের টিউবওয়েল ও পাম্প মেশিন চুরি হয়েছে।
বয়রাগাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, আমার ইউনিয়নে এক মাসে অসংখ্য বাড়ি ও জমি থেকে টিউবওয়েল ও শ্যালো মেশিন নিয়ে গেছে চোরের দল। এখনই চোর শনাক্ত করে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে জনগণের নিরাপত্তা ভেঙে পড়বে।
সিরাজদীখান থানার ওসি একেএম মিজানুল হক বলেন, ছিঁচকে চোরের উপদ্রব বেড়েছে। পুলিশ চোর ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চোর শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে রাতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চিকনদ-ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান জামান বাচ্চুর বিরুদ্ধে একটি বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে আদালতে মামলার আবেদন করেছে স্থানীয় খন্দকিয়া ছমদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কমিটির সভাপতি এসএম শওকত ওসমান এ মামলার আবেদন করলেও বিষয়টি এখন জানাজানি হয়। আদালত মামলার আবেদন আমলে নিয়ে অভিযোগের তদন্ত করে আগামী ২৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যালয়ের মাঠে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য গত ২৮ জানুয়ারি চেয়ারম্যান হাসান জামান বাচ্চুর কাছে একটি আবেদন করেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। কিন্তু সহযোগিতা না করে রহস্যজনক আচরণ করতে থাকেন চেয়ারম্যান বাচ্চু। ১৩ জানুয়ারি পুনরায় তার দপ্তরে গেলে বাদীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন চেয়ারম্যান বাচ্চু।
অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান হাসান জামান বাচ্চু বলেন, স্কুল পরিচালনা পর্ষদ যে জায়গায় শহীদ মিনার করতে চাচ্ছে সেটি চিকনদ-ী ইউনিয়ন পরিষদের নামে খতিয়ান সৃজিত। তবে স্থানীয় কিছু লোক জায়গাটির মালিকানা দাবি করছেন। তারা ‘ভুল জরিপ’ সংশোধনের জন্য আদালতে মামলাও করেছেন। আমি স্কুল পরিচালনা পর্ষদকে বলেছি মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এখানে শহীদ মিনার করা যাবে না। এ কথা বলায় পর্ষদের সভাপতি আমার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মিথ্যা অভিযোগে মামলার আবেদন করেছেন।
বগুড়ায় পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে হত্যা ও লাশ গুমের দায়ে দুজনকে মৃত্যুদন্ড ও একজনের যাবজ্জীবন, রাজবাড়ীতে কলেজছাত্রীকে হত্যায় দ্বিতীয় পক্ষের মা ও তার প্রেমিককে যাবজ্জীবন এবং খুলনায় চিকিৎসককে খুনের অভিযোগে রোগীর দুই স্বজনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার এসব রায় দেওয়া হয়। ঢাকার বাইরের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
বগুড়া : ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট বগুড়ায় পারিবারিক শত্রুতার জেরে শিশু রোমানকে (৫) হত্যার পর লাশ গুম করা হয়। এ ঘটনায় আদালত দুজনের মৃত্যুদন্ডও একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডদিয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন শাজাহানপুরের ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের আব্দুল খালেক ও চোপিনগর দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল মাজেদ। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আব্দুর রাজ্জাক একই গ্রামের বাসিন্দা। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দুজনই পলাতক। রোমান চোপিনগর এলাকার মাহবুব রহমানের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রোমানের দাদার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসামি খালেক ও মাজেদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ ছাড়া নিহতের পরিবারের সঙ্গে তাদের জমি-সংক্রান্ত বিরোধও ছিল। এসব বিরোধের জেরে প্রতিশোধ নিতে খালেক ও মাজেদ রোমানকে রাজ্জাকের মাধ্যমে চকলেটের লোভ দেখিয়ে এনে হত্যা করে লাশ গুম করেন।
রাজবাড়ী : কলেজছাত্রীকে হত্যার দায়ে দ্বিতীয় পক্ষের মা এবং তার প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বিকেলে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাফশিয়া বেগম (৪০) ও তার প্রেমিক খোরশেদ মোল্লা (৫০)। মামলা সূত্রে জানা যায়, মাটিপাড়ার আজগর আলী সরদারের প্রথম স্ত্রী মারা গেলে হাফশিয়া বেগমকে বিয়ে করেন। আজগরের আগের স্ত্রীর এক মেয়ে ছিল। বিয়ের পর হাফশিয়া বেগম প্রতিবেশী খোরশেদের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি আজগরের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মর্জিনা দেখতে পেয়ে বাবাকে বলে দেওয়ার কথা বলে। এতে ২০১৩ সালের ২২ অক্টোবর হাফশিয়া ও তার প্রেমিক খোরশেদ বালিশচাপা দিয়ে মর্জিনাকে হত্যা করেন।
খুলনা : ডা. আব্দুর রকিব খান হত্যা মামলায় আদালত দুজনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। গতকাল খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন জমির আলী শেখ ও আব্দুল কুদ্দুস।
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ১৪ জুন খুলনা মহানগরীর গল্লামারী এলাকায় অবস্থিত রাইসা ক্লিনিকে এক নারীর সিজার অপারেশনের পর মারা গেলে দ-প্রাপ্তরা ওই হাসপাতালে হামলা চালান। এর দুদিন পর শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডা. রকিব খান।
রাজবাড়ীর পাংশায় নিখোঁজের দুই দিন পর আকাশ মোল্লা (১০) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার সকালে উপজলার হাবাসপুর ইউনিয়নের পদ্মার চরের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আকাশ মোল্লা একই উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের নাসির মোল্লার ছেলে। সে সেনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্বজন ও পাংশা থানা সূত্র জানায়, আকাশ মোল্লা তার বাবা-মাসহ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সেনগ্রামে নানাবাড়িতে থাকত। গত শনিবার বিকেলে বাবার ভ্যান নিয়ে সে বাইরে বের হয়। রাতে বাসায় না ফেরায় অনেক খোঁজ করেও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় রবিবার আকাশের বাবা থানায় অভিযোগ করেন। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে চার কিলোমিটার দূরে পদ্মার চরের একটি ভুট্টাক্ষেতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
পাংশা থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভ্যানটি ছিনতাই করার জন্য আকাশকে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে একই দিনে একই স্থানে একাধিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন বসন্তবরণের একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদুর রহমান গফরগাঁও সরকারি কলেজ মাঠ ও এর চারপাশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। গতকাল বিকেল ৫টা থেকে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ ধারা জারি থাকবে।
জানা যায়, আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি পয়লা ফাল্গুন উদযাপন উপলক্ষে গফরগাঁও সরকারি কলেজ মাঠে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলোর পথে’ ও ‘স্বপ্নচর সমাজকল্যাণ সংস্থা’র পাশাপাশি গফরগাঁও সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করে।
গফরগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কাজী ফারুক আহাম্মদ বলেন, পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে দিনব্যাপী বর্ষবরণ ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। কিন্তু আমাদের না জানিয়ে আরও দুটি সংগঠন কলেজ মাঠে অনুষ্ঠানের প্রচারণা চালায়। পরে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির চিঠি পেয়ে আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদুর রহমান বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একই সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আমাকে চিঠি দেয়। এতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
রিয়াল মাদ্রিদের সংগে ১৪ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলছেন। ৪০ কোটি ইউরো চুক্তিতে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আলো ইত্তিহাদে যোগ দিচ্ছেন।
ক'দিন ধরে এমন কথা শোনা যাচ্ছিল করিম বেনজেমাকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন -এমন কথাও চাউর হয় স্পেনের সংবাদ মাধ্যমে।
কিন্তু সব কিছুতে জল ঢাললেন ব্যালন ডি অর জয়ী। স্পেনের গণমাধ্যম মার্কার দেয়া মার্কা লিজেন্ড এওয়ার্ড নিতে গিয়ে বললেন, 'আমি যখন রিয়ালেই আছি তখন ভবিষ্যৎ নিয়ে কেনো বলবো। ইন্টারনেটে যা প্রচার হচ্ছে তা ঠিক না। আমি এখানে ভালো আছি। শনিবার রিয়ালের ম্যাচ আছে, সব ফোকাস আমার সেই ম্যাচকে নিয়ে।'
ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে তাকে রিয়ালে আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বেনজেমা বলেন, '২১ বছরের আমি এই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম। এই ক্লাবে খেলার মতো আর কিছু হয় না, সান্তিয়াগো বার্নাবু দারুন এক জায়গা।'
রিয়ালের সংগে চুক্তির মেয়াদ এ মাসেই শেষ হচ্ছে বেনজেমার।
পাকিস্তানের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলে নয়, এশিয়া কাপ হবে একটি দেশে। আর সেটা শ্রীলংকা। পাকিস্তান তাতে অংশ না নিতে চাইলে তাদেরকে ছাড়াই হবে এশিয়া কাপ।
ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে কলকাতাভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দা টেলিগ্রাফ।
বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ যিনি এসিসিরও প্রেসিডেন্ট পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে বলেছেন, শ্রীলংকায় এশিয়া কাপ খেলতে রাজি আছে ভারতসহ চার পূর্ণ সদস্য। বিষয়টি নিয়ে এসিসির নির্বাহী সভায় আলোচনা করা হবে। পাকিস্তান রাজি না হলে ৫ দল নিয়েই হবে এশিয়া কাপ।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ম্যাচ অন্য কোনো দেশে আয়োজনে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজমা শেঠির দাবিও নাকচ করে দিয়েছেন জয় শাহ। টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, পাকিস্তানকে ভারতেই খেলতে হবে, না হলে না খেলবে। এ বার্তা পিসিবি এবং আইসিসির দুই কর্মকর্তা যারা সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করেন তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।
তিনি ঘড়ি প্রতীকে মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ৪৮০টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের অন্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মো. হারুন-অর-রশীদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট এবং হাতি প্রতীকের সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।