
জামালপুরে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের তিন উপজেলার ছয়টি কমিটি বিলুপ্ত করেছে জেলা মৎস্যজীবী দল।
গত মঙ্গলবার রাতে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে মৎস্যজীবী দলের জরুরি সভায় মেলান্দহ উপজেলা ও পৌর শাখা, ইসলামপুর উপজেলা ও পৌর শাখা এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ও পৌর শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়।
জামালপুর জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র সহসভাপতি সাইদুর রহমান, সহসভাপতি হাবিবুল ইসলাম বুলু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহেব আলী প্রমুখ।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে গলা কেটে হত্যা করেছে তার বন্ধুরা। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের বাসাইল ও জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দুই চালককে হত্যা করে তাদের বাহনগুলো নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর
দিনাজপুর : মাত্র তিন হাজার পাওনা টাকার জের ধরে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মিরাজ (১৩) নামে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে গলা কেটে হত্যা করেছে তারই কিশোর বন্ধুরা। এ ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্ত দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা নিজেদের দোষ স্বীকারও করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার রাত ১২টায় চিরিরবন্দরের আলোকদীঘি ইউনিয়নের গোশাহার এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মিরাজ একই উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের সরদারপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে। সে নশরতপুর আদর্শ পল্লী উন্নয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করত।
পুলিশ জানিয়েছে, পাওনা টাকার জের ধরে তারই বন্ধুদের দ্বারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে মিরাজ। এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু, হত্যাকারীদের রক্তমাখা কাপড় ও ভিকটিমের মোবাইল ফোন হত্যাকারীদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আসামিদের বরাত দিয়ে চিরিরবন্দর থানার ওসি বজলুর রশিদ জানান, মিরাজ এবং ওই দুই কিশোর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। প্রায় এক বছর আগে মিরাজ তার এক বন্ধুর কাছ থেকে তিন হাজার টাকা ধার নেয়। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও সেই টাকা ফেরত দেয়নি মিরাজ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধু যোগসাজশ করে মিরাজকে হত্যা করে তার এনড্রোয়েড মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বাইসাইকেলে করে তিন বন্ধু রানীরবন্দর থেকে রওনা দেয়। বিলের পাশ দিয়ে একটি নির্জন রাস্তা ধরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পেছন থেকে চাকু দিয়ে জবাই করে মিরাজকে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার দুজনই।
টাঙ্গাইল : বাসাইলে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে পৌরসভার কুমারজানী এলাকা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত চালকের নাম জুলহাস মিয়া (৫০)। তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বোয়ালী এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জুলহাস মিয়া আগে ট্রাকচালক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনে তা চালাতে শুরু করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরদিন গতকাল বুধবার সকালে বাসাইল পৌরসভার কুমারজানী এলাকায় তার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
জামালপুর : সরিষাবাড়ীতে সুবর্ণখালী নদী থেকে স্বাধীন মিয়া (২৮) নামে এক অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কোনো একসময় অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের পর তাকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলা হয় বলে পুলিশের ধারণা। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া সেতুর নিচে নদীর কচুরিপানায় লাশটি পাওয়া যায়। স্বাধীন উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া (খানবাড়ি) এলাকার মৃত আবদুল জলিল খানের ছেলে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে স্বাধীন মিয়া অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, হত্যার কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়াতে দেশের সব আবাদযোগ্য জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে ফেনীর সোনাগাজীতে বোরো ধান চাষ হয়েছে এক হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু বর্তমানে বোরো চাষ করে পানির সংকটে হাজার হাজার কৃষকের স্বপ্ন ভেঙে যেন চৌচির হয়ে গেছে। মৌসুমের শুরুতে খালে পানি পেয়ে কৃষকরা ধান লাগালেও এখন পানির অভাবে ক্ষেতগুলো ফেটে চৌচির হয়ে আছে।
কৃষকরা জানান, দু-একদিনের মধ্যে ক্ষেতে পানি দিতে না পারলে জমিতে আবাদ করা ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার অবহিত করেও কোনো তৎপরতা দেখছেন না ফেনীর কৃষকরা। শুধু তাই নয়, চলতি মৌসুমে নানা কারণে এসব এলাকায় সেচ প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত পানির লাইনগুলোও চালু করা যায়নি।
জানা গেছে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুহুরী সেচ প্রকল্পও কৃষকদের কোনো কাজে আসছে না। উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাজুড়ে ৫০টিরও বেশি খাল রয়েছে। মুহুরী নদীতে মিঠা পানি, বড় ও ছোট ফেনী নদীতে লোনা পানি থাকলেও রহস্যজনক কারণে খালগুলোতে পানি যাচ্ছে না। নদীগুলোর মোহনায় খালে পানি ধরে রাখার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি রেগুলেটর (গতি নিয়ন্ত্রক)। গত কয়েক বছর যাবৎ শত কোটি টাকার সরকারি খরচে খালগুলো সংস্কারও করা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও খালগুলো পানি থাকছে না। ইতিমধ্যে কৃষকদের পক্ষ থেকে পানি পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিত আবেদন করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না।
কৃষকরা আরও জানান, অধিকাংশ এলাকায় গ্রামের পুকুরগুলো থেকে পানি কিনে জমিতে সেচ দিয়েছেন। অনেক পুকুরের পানি ফুরিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের স্বপ্নের ধান নিয়ে উদ্বিগ্নতা আরও বেড়ে গেছে। কেউ কেউ গয়নাগাটি বন্ধক রেখে, ব্যাংক, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এক বুক আশা নিয়ে বোরো আবাদ করেছেন। এ ক্ষেত্রে বর্গা চাষিরা সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
চরগণেশ গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমের আগেই এসব খাল সংস্কার করা হয়েছে। সংস্কারের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে দায়সারা কাজ করেছে। ওই সময় কৃষক খালের গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও কেউ কর্ণপাত করেননি। বর্তমানে খালের তলদেশে সমতা না থাকায় বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের দিকে পানি যাচ্ছে না।
সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহদ লিপটন বলেন, নিয়মিত পাউবো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা পানি সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, পাউবোর দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষকদের পানির সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান ভূঞা বলেন, বেশ কয়েকটি খাল মাটিতে ভরাট হয়ে গেছে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, অতি শিগগিরই ডাবল লিট্টিং করে খালে বাঁধ দিয়ে মোটরের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হবে।
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় পানি সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন কমলাচাষিরা। বর্তমানে কমলাগাছে ফুল আসার মৌসুম। কিন্তু পানির অভাবে কমলার ফুল এবং খুদে ফল ঝরে পড়ে যাচ্ছে। কমলা ছাড়াও আদা (জামির) লেবু, বাতাবি লেবু, জাড়া লেবু, সাতকড়া, করুন, কাঁটা, মাল্টাসহ বিভিন্ন জাতের লেবুজাতীয় ফসলের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় কৃষি অফিসও সেচ দেওয়ার বিষয়ে নিজেদের অক্ষমতার কথা জানিয়েছেন। তারা কৃষকদের কৃত্রিম উপায়ে পানির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
জানা যায়, মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী জুড়ী উপজেলায় সমতল ও উঁচুনিচু পাহাড়ে চাষ হয় সিলেটের বিখ্যাত সবুজ কমলা। নাগপুরি ও খাশি দুই জাতের সবুজ রসালো কমলার সুনাম রয়েছে দেশে-বিদেশে। কমলাসহ লেবুজাতীয় ফসলের আবাদ হয় উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের লাঠিটিলা, লালছড়া, রূপাছড়া, জড়িছড়া, হায়াছড়া, শুকনাছড়া, ডোমাবাড়ী ও কচুরগুল এলাকায়। রয়েছে ছোটবড় প্রায় ৮৫টি কমলা বাগান। কিন্তু পানি সংকট ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে একটি দুটি করে গাছ মরে গিয়ে এগুলো এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে।
স্থানীয় কমলা চাষীরা জানান, দিন দিন কমছে কমলার উৎপাদন! কমলা চাষের মতো পেশায় সময় দিয়ে এখন আগের মতো জীবিকা চলে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে আরেকটি সমস্যা তীব্র খরা। এ বছর সময় মতো বৃষ্টি হয়নি। তীব্র খরার কারণে কমলার ফুল ঝরে যাচ্ছে। এতে কমলার উৎপাদন অনেক কম হওয়ার শঙ্কায় চাষীরা।
ডোমাবাড়ী এলাকার প্রবীণ কমলা চাষী সফিক উদ্দিন বলেন, ‘এই মৌসুমে বৃষ্টি না হলে মানুষের খাওয়ার পানিরই সংকট দেখা দেয়। আর লেবুজাতীয় ফসল টেকানো তো কঠিন! গভীর নলকূপ হলে পাম্প দিয়ে যদি সেচের কোনো ব্যবস্থা করা হয় তাহলে এমন খরায় হয়তো কমলা ফল টিকবে। আর না হয় লেবুজাতীয় ফল দিনদিন যেভাবে কমছে এক সময় শেষ হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সরকারিভাবে কমলা বাগানে সেচের জন্য কৃষি অধিদপ্তর থেকে কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে পানির বোতল ছিদ্র করে গাছের গোড়ায় সন্ধ্যার সময় রাখলে কিছু পানির তৃপ্তি পূরণ হবে। কারণ কমলার ফুলের মৌসুমে এই এলাকায় পানির খুব সংকট হয়। এটি মোকাবিলা করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধি অবলম্বন করতে হবে। এতে একেবারে ফুল ঝরে যাওয়ার চেয়ে কিছুটা রক্ষা হবে।’
লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ উৎপাদন ও কৃষক উদ্বুদ্ধকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘দেশে ভিটামিন-সির চাহিদা পূরণের জন্য লেবুজাতীয় ফসলের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে জুড়ীর যে এলাকায় কমলার আবাদ হয় এই এলাকায় পানির তীব্র সংকট। আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে কৃষকদের সেচের ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়। সে বিষয়ে আমরা প্রদক্ষেপ নেব।’
খুলনার মহসেন, আফিল, সোনালী, জুট স্পিনার্স, অ্যাজাক্সসহ বন্ধ হওয়া সব বেসরকারি পাটকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের পিএফ, গ্র্যাচুইটিসহ চূড়ান্ত বকেয়া পাওনা এককালীন পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকরা।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অ্যাজাক্স জুট মিলের শ্রমিক কলোনির সামনে বেসরকারি পাট, সুতা, বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সভাপতি শেখ আমজাদ হোসেন।
শ্রমিক নেতা মো. বাবুল হোসেনের পরিচালনায় কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল খান, ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, অ্যাজাক্স জুট মিলের শ্রমিক নেতা ওয়াহিদ মুরাদ, মুক্তিযোদ্ধা আজহার মাতব্বর, সাইফুল্লাহ তারেক, ক্বারী আসহাব উদ্দীন প্রমুখ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বকেয়া পাওনা আদায়ে ১৮ মার্চ খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের কাছে স্মারকলিপি প্রদান, ২০ মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনশন এবং ২২ মার্চ সকাল ১০টা থেকে নগরীর ফুলবাড়ী গেটে খুলনা-যশোর মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, নীতিমালা উপেক্ষা করে প্রকল্প গ্রহণ এবং বর্ধিত সময়েও ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করতে না পারায় সুনামগঞ্জের শাল্লা ইউএনও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন কমিটি।
এদিকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক গতকাল বুধবার দুপুুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বরাম হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শনের সময় বলেছেন, ‘সুনামগঞ্জের হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধের ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। যে বাঁধে ঘাস লাগানো শেষ হয়েছে, সেই কাজকেই আমরা সম্পূর্ণরূপে হয়েছে মনে করি। আর যেটুক বাকি আছে, দ্রুতই তা শেষ করা হবে।’
গতকাল বুধবার দুপুরে শাল্লা ইউএনওর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতাকর্মী ও কৃষকরা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন।
সময়মতো বাঁধের কাজ শেষ করতে না পারাসহ বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতির প্রতিবাদে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২ উপজেলায় ইউএনও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালনের অংশ হিসেবে গতকাল শাল্লা ইউএনও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন নেতাকর্মীরা।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন শাল্লা উপজেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাসের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সাংবাদিক শামস্ শামীম, ওবায়দুল হক মিলন, অবিনাশ চন্দ্র দাশ, রথীন্দ্র চন্দ্র সরকার প্রমুখ।
টেস্ট ক্রিকেটে সিলেটের পথচলা শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। অভিজাত সংস্করণে যা ছিল দেশের অষ্টম ভেন্যু। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে পা রাখে দেশের সবচেয়ে সুন্দর এই স্টেডিয়ামটি। তবে মাঠের অভিষেক ম্যাচেই হেরে যায় বাংলাদেশ। তারপর আর কোনো পাঁচ দিনের খেলা গড়ায়নি এই মাঠে। এ নিয়ে স্থানীয়দের আক্ষেপের শেষ নেই।
অবশেষে অপেক্ষার প্রহর ফুরাচ্ছে। পাঁচ বছর পর আবারও টেস্ট ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ‘আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে আমরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট আয়োজন করতে পারব বলে আশা করছি। এটি আমাদের জন্য খুব একটি উপলক্ষ হবে। কারণ পাঁচ বছর পর সিলেটের মাঠে টেস্ট ক্রিকেট ফিরবে।’
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতিনিধি দল সিলেট সফর করেছে। তারা সেখানকার মাঠসহ সব সুযোগ সুবিধা পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়ে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সবকিছু দেখে তারা এখানে আরও বেশি ম্যাচ আয়োজনের জন্য উন্মুখ বলে জানিয়েছেন বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান নাদেল।
তিনি যোগ করেছেন, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতিনিধি দল আমাদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেশ মুগ্ধ। তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে আমরা তাদের সব প্রত্যাশা ও প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারব।’
এফটিপি সূচি অনুযায়ী চলতি বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজে খেলার কথা নিউজিল্যান্ডের। তবে সিরিজটি হবে দুই ভাগে। প্রথম ভাগে সেপ্টেম্বরের শেষভাগে বাংলাদেশের সঙ্গে ওয়ানডে খেলবে কিউইরা। এই সিরিজ খেলেই বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে দুই দল।
বিশ্বকাপের পর হবে দুই দলের টেস্ট সিরিজ। নভেম্বরের শেষ দিকে আবারও বাংলাদেশে আসবে কিউইরা। বিসিবি প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী ২১ নভেম্বর ঢাকায় পা রাখার কথা সফরকারীদের। এরপর একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে দলটি। ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্ট।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল দেখতে কুমিল্লায় উড়ে গেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়েছে ম্যাচটি। সালাউদ্দিন ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা খানেক আগে কুমিল্লায় পৌঁছান।
ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুমিল্লায় পাড়ি দিতে মাত্র দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তবে সালাউদ্দিন দূরত্বটা পাড়ি দিয়েছেন হেলিকপ্টারে করে। যা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
টাকার অভাবে কদিন আগে নারী ফুটবলারদের অলিম্পিক বাছাইয়ে পাঠায়নি বাফুফে। অথচ ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যেতে বাফুফে সভাপতি বেছে নিলেন হেলিকপ্টার।
হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে কুমিল্লার এই যাত্রায় বাফুফে সভাপতির সঙ্গী হয়েছেন সংস্থার নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।