ফ্রান্সে ইয়েলো ভেস্টের দ্রোহ
অ্যালেক্সি স্পিয়ার | ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
গোটা বিংশ শতাব্দীজুড়ে কর বিষয়ে শ্রমিকশ্রেণির সংশ্লিষ্টতা সামান্য পরিমাণ ছিল। যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর প্রগতিশীল আয়কর প্রথা চালু হলো, তখন স্বাধীন পেশাজীবী এবং কৃষকদের কাছ থেকে প্রধান বাধা এসেছিল। তারা করদাতাদের সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে। তার পর থেকে শুধু পপুলার ফ্রন্টের (১৯৩৬-৩৮) সময় ছাড়া শ্রমিক আন্দোলনে অন্যায্য করের বিষয়টি মজুরি এবং কর্মসংস্থান রক্ষার আন্দোলনের তুলনায় অনেক প্রান্তিক ছিল। এমনকি নি¤œ আয়ের লোকদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা এবং ভ্যাটের মতো খরচের ওপর অপ্রত্যক্ষ কর বামপন্থীদের ইউনিয়ন এবং দলগুলোকে খুব কম সময়েই আন্দোলনে নামাতে পেরেছে।
কিন্তু বিগত কয়েক বছরে কর কৃচ্ছ্রসাধনবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১০ সালের মে মাসে পর্তুগালে হাজার হাজার জনগণ কর বৃদ্ধি এবং ভর্তুকি বাতিলের বিরুদ্ধে সমবেত হয়। দুই বছর বাদে স্পেনে কৃচ্ছ্রসাধনের বিরুদ্ধে বড় সমাবেশ হয়। এটি ছিল বেসরকারীকরণ এবং উচুমাত্রার ভ্যাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। বিশেষ করে স্কুলসামগ্রীর ওপর ভ্যাট হু হু করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়, এটি ৪% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২১% হয়। গ্রিসে সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীরা কম বেতন এবং অন্যায্য করের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে। ২০১৩ সালে ফরাসি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের শ্রমিকরা কৃষক এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভারী পণ্যবাহী যানবাহনের ওপর ইকো কর আরোপের প্রতিবাদে ‘লাল টুপি’ আন্দোলনে নামে।
সরকারি নীতির জন্যই কর বিতর্ক কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে উঠছে। গণবেকারত্ব এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়ে রাজনীতিবিদরা সাধারণত মজুরি এবং মুনাফার মধ্যে রাজস্বের যে প্রাথমিক খাত রয়েছে তার ওপর হস্তক্ষেপকে বর্জন করেছেন। শ্রমজীবীদের সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুনাফা ভাগাভাগির যে সামাজিক প্রশ্ন ছিল তার জায়গায় করসংক্রান্ত বিষয় স্থান পেয়েছে।
২০০৭ সালে নিকোলাস সারকোজির যে স্লোগান ছিল ‘বেশি আয়ের জন্য বেশি কাজ’ এবং ওভারটাইমের কর অব্যাহতির পরিকল্পনা অনেক শ্রমজীবী ভোটারের মধ্যে সাড়া ফেলেছিল। ২০১২ সালে ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ তার ইশতেহারে যাদের বার্ষিক আয় ১০ লাখের বেশি তাদের ওপর ৭৫% নতুন করের হার আরোপের আহ্বান জানান। যদিও এটি সাংবিধানিক পরিষদ দ্বারা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। ২০১৭ সালে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গৃহকর লোপের একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যাতে তার ধনীদের প্রার্থী হিসেবে যে ভাবমূর্তি ছিল তা ঘোচে। কিন্তু তিন বছরের বেশি সময় ধরেও তিনি এটি বাস্তবায়ন করেননি।
করের এই রাজনীতিকরণের উৎসের মধ্যে একটি বড় ধরনের বৈপরীত্য আছে: শ্রমজীবী জনতা এখন সেই ধরনের গোষ্ঠী যারা কর ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সমালোচক, যদিও তারা করভিত্তিক পুনর্বণ্টন ব্যবস্থা থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান। এই অসন্তোষের আবার ভৌগোলিক মাত্রা রয়েছে। বড় শহরের নাগরিকরা যতটা অন্যায্য করের বিরোধিতা করে তার চেয়ে বেশি বড় বিরোধিতাকারী হলো গ্রামাঞ্চল এবং শহরতলির বাসিন্দারা। বেশ কয়েক বছরের নীতিমালা সম্পত্তি মালিকানাকে উৎসাহিত করেছিল। কিন্তু যেসব নি¤œ আয়ের মানুষ ঋণ করে বাড়ি কিনেছিল তারা এখন সম্পত্তি-কর বৃদ্ধির ফলে বিপদে পড়েছে। কিছু এলাকায় জনসেবামূলক কর্মকা- এবং গণপরিহনের ব্যবস্থার অধঃগমন ঘটেছে, বিশেষ করে রেললাইন বন্ধ হয়েছে। এই অবস্থায় যারা প্রধানত গাড়িতে যাতায়াত করে, তারা পেট্রলের মূল্যবৃদ্ধিতে খুবই সমস্যায় পড়েছে।
কর কেলেঙ্কারির জন্য কর কর্তৃপক্ষের ওপর জনগণের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। ২০১১ সালে ফ্রান্সের অন্যতম ধনী নারী লিলান বেটেনকোর্ট কর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অন্তত ১০ কোটি ইউরো আড়াল করেন এবং সেই অর্থ সারকোজির নির্বাচনী তহবিলে প্রদান করেন। ২০১৩ সালে ওলাঁদের কনিষ্ঠ বাজেটমন্ত্রী জেরোমে চাহুজাক তার সুইস ব্যাংকে রাখা ছয় কোটি ইউরোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কর কর্তৃপক্ষের কাছে গোপন রাখেন।
এরপর একটার পর একটা ফাঁসের ঘটনা ঘটে। লাক্সলিকস, সুইসলিকস, অফশোর লিকস, পানামা পেপারস এবং প্যারাডাইস পেপারসের মতো ঘটনায় বহুজাতিকের মালিক, রাজনীতিবিদ এবং ক্রীড়া ও বিনোদনজগতের তারকাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। যে সমতাভিত্তিক কর ব্যবস্থার মিথ চালু ছিল, তা একেবারে ভেঙে পড়েছে। বাস্তবে আসলে দুটি ব্যবস্থা চালু আছে : সাধারণ করদাতারা গণ-অর্থব্যবস্থাকে পুনরুদ্ধার করছে এবং অন্যদিকে ক্ষমতাশালীরা আইন ভাঙছে এবং এর ফলে কোনো ফল ভোগ করছে না।
ফ্রান্সে বর্তমানে যারা কর্তৃত্বে রয়েছে তারা শুধু ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করছে। ২০০৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সরকারগুলো গণ-অর্থব্যবস্থা থেকে ৩৫,০০০ কর্মসংস্থান হ্রাস করেছে। বেকারত্ব এবং কর্ম নিরাপত্তার ঘাটতি ২০০৩-এ ছিল ৬,৯৫, ০০০ এবং ২০১৫ সালে হয়েছে তা ১৪ লাখ। আমাদের একটি জরিপে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে ধনীদের মধ্যে ৬৯% কর বিতর্কে জড়িয়েছিল যেখানে শ্রমজীবীদের মধ্যে এই অনুপাত ৫১%।
এদিকে অর্থনৈতিক সংকট জনগণকে আক্রান্ত করছে। বেতনভোগী কর্মচারীরা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্রয়ক্ষমতা হয় নিশ্চল হয়ে গিয়েছে, না হলে হ্রাস পেয়েছে। কর তাই তাদের কাছে বাড়তি বোঝা। তাদের ধারণা, তাদের অর্থ ধনীদের স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০০৮ সাল থেকে রাজনীতিবিদদের অফশোরকে চ্যালেঞ্জ জানানোর অক্ষমতা কর্মচ্যুতিকে বাড়িয়ে দিয়েছে।
সরকার বরাবরই ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করে যাচ্ছে। তারা ধনীদের কর ফাঁকিকে সব সময় প্রশ্রয় দিয়ে তাদের অনুকূলে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে। তাই এই অসাম্যর বিরুদ্ধেই ইয়েলো ভেস্ট। এই আন্দোলন শেষ হয়ে গেলেও তার রেশ থাকবে বহুদিন।
শেয়ার করুন
অ্যালেক্সি স্পিয়ার | ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

গোটা বিংশ শতাব্দীজুড়ে কর বিষয়ে শ্রমিকশ্রেণির সংশ্লিষ্টতা সামান্য পরিমাণ ছিল। যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর প্রগতিশীল আয়কর প্রথা চালু হলো, তখন স্বাধীন পেশাজীবী এবং কৃষকদের কাছ থেকে প্রধান বাধা এসেছিল। তারা করদাতাদের সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে। তার পর থেকে শুধু পপুলার ফ্রন্টের (১৯৩৬-৩৮) সময় ছাড়া শ্রমিক আন্দোলনে অন্যায্য করের বিষয়টি মজুরি এবং কর্মসংস্থান রক্ষার আন্দোলনের তুলনায় অনেক প্রান্তিক ছিল। এমনকি নি¤œ আয়ের লোকদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা এবং ভ্যাটের মতো খরচের ওপর অপ্রত্যক্ষ কর বামপন্থীদের ইউনিয়ন এবং দলগুলোকে খুব কম সময়েই আন্দোলনে নামাতে পেরেছে।
কিন্তু বিগত কয়েক বছরে কর কৃচ্ছ্রসাধনবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১০ সালের মে মাসে পর্তুগালে হাজার হাজার জনগণ কর বৃদ্ধি এবং ভর্তুকি বাতিলের বিরুদ্ধে সমবেত হয়। দুই বছর বাদে স্পেনে কৃচ্ছ্রসাধনের বিরুদ্ধে বড় সমাবেশ হয়। এটি ছিল বেসরকারীকরণ এবং উচুমাত্রার ভ্যাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। বিশেষ করে স্কুলসামগ্রীর ওপর ভ্যাট হু হু করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়, এটি ৪% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২১% হয়। গ্রিসে সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারীরা কম বেতন এবং অন্যায্য করের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে। ২০১৩ সালে ফরাসি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের শ্রমিকরা কৃষক এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভারী পণ্যবাহী যানবাহনের ওপর ইকো কর আরোপের প্রতিবাদে ‘লাল টুপি’ আন্দোলনে নামে।
সরকারি নীতির জন্যই কর বিতর্ক কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে উঠছে। গণবেকারত্ব এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়ে রাজনীতিবিদরা সাধারণত মজুরি এবং মুনাফার মধ্যে রাজস্বের যে প্রাথমিক খাত রয়েছে তার ওপর হস্তক্ষেপকে বর্জন করেছেন। শ্রমজীবীদের সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুনাফা ভাগাভাগির যে সামাজিক প্রশ্ন ছিল তার জায়গায় করসংক্রান্ত বিষয় স্থান পেয়েছে।
২০০৭ সালে নিকোলাস সারকোজির যে স্লোগান ছিল ‘বেশি আয়ের জন্য বেশি কাজ’ এবং ওভারটাইমের কর অব্যাহতির পরিকল্পনা অনেক শ্রমজীবী ভোটারের মধ্যে সাড়া ফেলেছিল। ২০১২ সালে ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ তার ইশতেহারে যাদের বার্ষিক আয় ১০ লাখের বেশি তাদের ওপর ৭৫% নতুন করের হার আরোপের আহ্বান জানান। যদিও এটি সাংবিধানিক পরিষদ দ্বারা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। ২০১৭ সালে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গৃহকর লোপের একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যাতে তার ধনীদের প্রার্থী হিসেবে যে ভাবমূর্তি ছিল তা ঘোচে। কিন্তু তিন বছরের বেশি সময় ধরেও তিনি এটি বাস্তবায়ন করেননি। করের এই রাজনীতিকরণের উৎসের মধ্যে একটি বড় ধরনের বৈপরীত্য আছে: শ্রমজীবী জনতা এখন সেই ধরনের গোষ্ঠী যারা কর ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সমালোচক, যদিও তারা করভিত্তিক পুনর্বণ্টন ব্যবস্থা থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান। এই অসন্তোষের আবার ভৌগোলিক মাত্রা রয়েছে। বড় শহরের নাগরিকরা যতটা অন্যায্য করের বিরোধিতা করে তার চেয়ে বেশি বড় বিরোধিতাকারী হলো গ্রামাঞ্চল এবং শহরতলির বাসিন্দারা। বেশ কয়েক বছরের নীতিমালা সম্পত্তি মালিকানাকে উৎসাহিত করেছিল। কিন্তু যেসব নি¤œ আয়ের মানুষ ঋণ করে বাড়ি কিনেছিল তারা এখন সম্পত্তি-কর বৃদ্ধির ফলে বিপদে পড়েছে। কিছু এলাকায় জনসেবামূলক কর্মকা- এবং গণপরিহনের ব্যবস্থার অধঃগমন ঘটেছে, বিশেষ করে রেললাইন বন্ধ হয়েছে। এই অবস্থায় যারা প্রধানত গাড়িতে যাতায়াত করে, তারা পেট্রলের মূল্যবৃদ্ধিতে খুবই সমস্যায় পড়েছে।
কর কেলেঙ্কারির জন্য কর কর্তৃপক্ষের ওপর জনগণের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। ২০১১ সালে ফ্রান্সের অন্যতম ধনী নারী লিলান বেটেনকোর্ট কর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অন্তত ১০ কোটি ইউরো আড়াল করেন এবং সেই অর্থ সারকোজির নির্বাচনী তহবিলে প্রদান করেন। ২০১৩ সালে ওলাঁদের কনিষ্ঠ বাজেটমন্ত্রী জেরোমে চাহুজাক তার সুইস ব্যাংকে রাখা ছয় কোটি ইউরোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কর কর্তৃপক্ষের কাছে গোপন রাখেন।
এরপর একটার পর একটা ফাঁসের ঘটনা ঘটে। লাক্সলিকস, সুইসলিকস, অফশোর লিকস, পানামা পেপারস এবং প্যারাডাইস পেপারসের মতো ঘটনায় বহুজাতিকের মালিক, রাজনীতিবিদ এবং ক্রীড়া ও বিনোদনজগতের তারকাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। যে সমতাভিত্তিক কর ব্যবস্থার মিথ চালু ছিল, তা একেবারে ভেঙে পড়েছে। বাস্তবে আসলে দুটি ব্যবস্থা চালু আছে : সাধারণ করদাতারা গণ-অর্থব্যবস্থাকে পুনরুদ্ধার করছে এবং অন্যদিকে ক্ষমতাশালীরা আইন ভাঙছে এবং এর ফলে কোনো ফল ভোগ করছে না।
ফ্রান্সে বর্তমানে যারা কর্তৃত্বে রয়েছে তারা শুধু ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করছে। ২০০৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সরকারগুলো গণ-অর্থব্যবস্থা থেকে ৩৫,০০০ কর্মসংস্থান হ্রাস করেছে। বেকারত্ব এবং কর্ম নিরাপত্তার ঘাটতি ২০০৩-এ ছিল ৬,৯৫, ০০০ এবং ২০১৫ সালে হয়েছে তা ১৪ লাখ। আমাদের একটি জরিপে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে ধনীদের মধ্যে ৬৯% কর বিতর্কে জড়িয়েছিল যেখানে শ্রমজীবীদের মধ্যে এই অনুপাত ৫১%।
এদিকে অর্থনৈতিক সংকট জনগণকে আক্রান্ত করছে। বেতনভোগী কর্মচারীরা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্রয়ক্ষমতা হয় নিশ্চল হয়ে গিয়েছে, না হলে হ্রাস পেয়েছে। কর তাই তাদের কাছে বাড়তি বোঝা। তাদের ধারণা, তাদের অর্থ ধনীদের স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০০৮ সাল থেকে রাজনীতিবিদদের অফশোরকে চ্যালেঞ্জ জানানোর অক্ষমতা কর্মচ্যুতিকে বাড়িয়ে দিয়েছে।
সরকার বরাবরই ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করে যাচ্ছে। তারা ধনীদের কর ফাঁকিকে সব সময় প্রশ্রয় দিয়ে তাদের অনুকূলে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে। তাই এই অসাম্যর বিরুদ্ধেই ইয়েলো ভেস্ট। এই আন্দোলন শেষ হয়ে গেলেও তার রেশ থাকবে বহুদিন।