এই দিনে ১৭ জুন
| ১৭ জুন, ২০১৯ ০০:০০
২০০৯ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন ভাষাসৈনিক গাজীউল হক। তার জন্ম ১৯২৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর ছাগলনাইয়া উপজেলার নিচিন্তা গ্রামে। বাবা মওলানা সিরাজুল হক ছিলেন কংগ্রেস ও খিলাফত আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। মা নূরজাহান বেগম গৃহিণী হলেও ছেলেকে শোনাতেন স্বদেশি আন্দোলনের গল্প। দুরন্ত, চঞ্চল গাজীউল হকের শিক্ষাজীবন শুরু স্থানীয় মক্তবে। ১৯৪১ সালে তিনি বগুড়া জিলা স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেখানে শিক্ষক সুরেন্দ্রনাথের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। ১৯৪৬ সালে ম্যাট্রিক পাস করে আযিযুল হক কলেজে ভর্তি হন এবং বহু ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সান্নিধ্যে আসেন। আইএ পাস করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হন। ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কেড়ে নেয়, পরে আবার ফেরত দেয়। ১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে পাস করে বগুড়া বারে যোগ দেন। পরে ১৯৭২ সালে তিনি ঢাকা সুপ্রিম কোর্টে যোগ দিয়ে আইনজীবী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অন্যতম ছিলেন গাজীউল হক। পরে ১৯৬২ সালের শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ-আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক, সাংস্কৃতিক ও জাতীয় সংগ্রামে তিনি ছিলেন নেতৃস্থানীয়। নানা অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একুশে পদক, রাষ্ট্রভাষা পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
শেয়ার করুন
| ১৭ জুন, ২০১৯ ০০:০০

২০০৯ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন ভাষাসৈনিক গাজীউল হক। তার জন্ম ১৯২৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর ছাগলনাইয়া উপজেলার নিচিন্তা গ্রামে। বাবা মওলানা সিরাজুল হক ছিলেন কংগ্রেস ও খিলাফত আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। মা নূরজাহান বেগম গৃহিণী হলেও ছেলেকে শোনাতেন স্বদেশি আন্দোলনের গল্প। দুরন্ত, চঞ্চল গাজীউল হকের শিক্ষাজীবন শুরু স্থানীয় মক্তবে। ১৯৪১ সালে তিনি বগুড়া জিলা স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেখানে শিক্ষক সুরেন্দ্রনাথের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। ১৯৪৬ সালে ম্যাট্রিক পাস করে আযিযুল হক কলেজে ভর্তি হন এবং বহু ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সান্নিধ্যে আসেন। আইএ পাস করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হন। ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষ তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কেড়ে নেয়, পরে আবার ফেরত দেয়। ১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে পাস করে বগুড়া বারে যোগ দেন। পরে ১৯৭২ সালে তিনি ঢাকা সুপ্রিম কোর্টে যোগ দিয়ে আইনজীবী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অন্যতম ছিলেন গাজীউল হক। পরে ১৯৬২ সালের শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ-আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক, সাংস্কৃতিক ও জাতীয় সংগ্রামে তিনি ছিলেন নেতৃস্থানীয়। নানা অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একুশে পদক, রাষ্ট্রভাষা পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।