দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্য অপসারণ করুন
| ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০
কিছুদিন আগেই রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য মো. আবদুল হামিদ আক্ষেপ করে বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী হয়ে উপাচার্যরা নিজেরাই যদি অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন বা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা কী হবে তা ভেবে দেখবেন। বলা বাহুল্য যে, বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে একের পর এক সংবাদ শিরোনাম আর দেশজুড়ে তুমুল সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতি ও আচার্য এ কথা বলেছিলেন। তবে এখন আর বিষয়গুলো কেবল অভিযোগের পর্যায়ে নেই। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্ট্রারের দুর্নীতি প্রমাণ হয়েছে। ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করেছেন। শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালা শিথিল করে নিজের মেয়ে এবং জামাতাকে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতিকে (আচার্য) অসত্য তথ্য দেওয়ার প্রমাণও পেয়েছে তদন্ত কমিটি। সংগত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, এমন সব অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা একটি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য বা রেজিস্ট্রার পদে বহাল থাকেন কোন যুক্তিতে?
বৃহস্পতিবার দেশ রূপান্তরে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-প্রোভিসি রেজিস্ট্রারের দুর্নীতি প্রমাণিত’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনের নানা দিক তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারীর বিরুদ্ধে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, স্বজনপ্রীতি, টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ইউজিসি গঠিত তদন্ত কমিটি ৩৬ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন এবং আরও প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার সংযোজনী প্রতিবেদন গত মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দিয়েছে। ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, উপাচার্যসহ অন্যদের বিরুদ্ধে পঁচিশটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত কমিটি ৩৪ জন অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রমাণও পেয়েছে। আর অভিযুক্তরা তাদের থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তদন্তে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ছাড়াও অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, সহযোগী অধ্যাপক গাজী তৌহিদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক শিবলী ইসলাম ও সাখাওয়াত হোসেন টুটুলের সম্পদ অনুসন্ধানের জন্যও সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্তে অসহযোগিতা করায় অবিলম্বে পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়গুলোর বিদ্যমান পরিস্থিতি নিরসনে ইউজিসির এই তদন্ত পথ দেখাতে পারে। উল্লেখ করা যেতে পাওে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬২ শিক্ষক ও দুজন চাকরিপ্রার্থীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইউজিসির এই তদন্ত শুরু হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী রাবি সিন্ডিকেট সদস্য ড. দিল আফরোজ বেগমকে প্রধান করে ওই তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। দেশের অন্যান্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থী বা নিয়োগ প্রার্থীরাও এ ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানাতে পারেন। তবে সবার আগে প্রয়োজন ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নে ত্বরিৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এমন ব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট পদগুলো থেকে দ্রুত অপসারণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। লক্ষ্য করা জরুরি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি-অনিয়ম এবং ঘুষ লেনদেন কেবল নৈতিক দিক থেকেই অপরাধ নয়, এগুলো অবশ্যই ফৌজদারি অপরাধও বটে। তাই সংশ্লিষ্টদের নিজ নিজ পদ থেকে অপসারণের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দৃষ্টান্তও স্থাপন করা প্রয়োজন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগের সঙ্গে মেয়ে ও জামাতাকে নিজ বিশ^বিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলো। এর কদিন আগেই খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে দেশ রূপান্তরে শিরোনাম হয়েছিল ‘স্ত্রী-ছেলে-মেয়েকে নিয়োগ দিতে মরিয়া ভিসি শহীদুর’। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এই হালই বলে দিচ্ছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কেমন নৈরাজ্য চলছে। প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ করা জরুরি যে, সংবাদ মাধ্যমের তথ্যানুযায়ী চলতি বছরের শুরুতেই অন্তত আটজন উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা শুরু করেছিল ইউজিসি। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের দাবি রয়েছে। উপাচার্যদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইউজিসির বাকি তদন্ত প্রতিবেদনগুলোও সামনে আসা জরুরি। আর সর্বাগ্রে অবশ্যই দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্য অপসারণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।
শেয়ার করুন
| ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০

কিছুদিন আগেই রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য মো. আবদুল হামিদ আক্ষেপ করে বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী হয়ে উপাচার্যরা নিজেরাই যদি অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন বা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা কী হবে তা ভেবে দেখবেন। বলা বাহুল্য যে, বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে একের পর এক সংবাদ শিরোনাম আর দেশজুড়ে তুমুল সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতি ও আচার্য এ কথা বলেছিলেন। তবে এখন আর বিষয়গুলো কেবল অভিযোগের পর্যায়ে নেই। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্ট্রারের দুর্নীতি প্রমাণ হয়েছে। ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করেছেন। শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালা শিথিল করে নিজের মেয়ে এবং জামাতাকে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতিকে (আচার্য) অসত্য তথ্য দেওয়ার প্রমাণও পেয়েছে তদন্ত কমিটি। সংগত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, এমন সব অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা একটি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য বা রেজিস্ট্রার পদে বহাল থাকেন কোন যুক্তিতে?
বৃহস্পতিবার দেশ রূপান্তরে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-প্রোভিসি রেজিস্ট্রারের দুর্নীতি প্রমাণিত’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনের নানা দিক তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারীর বিরুদ্ধে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, স্বজনপ্রীতি, টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ইউজিসি গঠিত তদন্ত কমিটি ৩৬ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন এবং আরও প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার সংযোজনী প্রতিবেদন গত মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দিয়েছে। ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, উপাচার্যসহ অন্যদের বিরুদ্ধে পঁচিশটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত কমিটি ৩৪ জন অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রমাণও পেয়েছে। আর অভিযুক্তরা তাদের থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তদন্তে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ছাড়াও অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, সহযোগী অধ্যাপক গাজী তৌহিদুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক শিবলী ইসলাম ও সাখাওয়াত হোসেন টুটুলের সম্পদ অনুসন্ধানের জন্যও সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্তে অসহযোগিতা করায় অবিলম্বে পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়গুলোর বিদ্যমান পরিস্থিতি নিরসনে ইউজিসির এই তদন্ত পথ দেখাতে পারে। উল্লেখ করা যেতে পাওে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬২ শিক্ষক ও দুজন চাকরিপ্রার্থীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইউজিসির এই তদন্ত শুরু হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী রাবি সিন্ডিকেট সদস্য ড. দিল আফরোজ বেগমকে প্রধান করে ওই তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। দেশের অন্যান্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থী বা নিয়োগ প্রার্থীরাও এ ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানাতে পারেন। তবে সবার আগে প্রয়োজন ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নে ত্বরিৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এমন ব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট পদগুলো থেকে দ্রুত অপসারণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। লক্ষ্য করা জরুরি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি-অনিয়ম এবং ঘুষ লেনদেন কেবল নৈতিক দিক থেকেই অপরাধ নয়, এগুলো অবশ্যই ফৌজদারি অপরাধও বটে। তাই সংশ্লিষ্টদের নিজ নিজ পদ থেকে অপসারণের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দৃষ্টান্তও স্থাপন করা প্রয়োজন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগের সঙ্গে মেয়ে ও জামাতাকে নিজ বিশ^বিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলো। এর কদিন আগেই খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে দেশ রূপান্তরে শিরোনাম হয়েছিল ‘স্ত্রী-ছেলে-মেয়েকে নিয়োগ দিতে মরিয়া ভিসি শহীদুর’। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এই হালই বলে দিচ্ছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কেমন নৈরাজ্য চলছে। প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ করা জরুরি যে, সংবাদ মাধ্যমের তথ্যানুযায়ী চলতি বছরের শুরুতেই অন্তত আটজন উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা শুরু করেছিল ইউজিসি। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের দাবি রয়েছে। উপাচার্যদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইউজিসির বাকি তদন্ত প্রতিবেদনগুলোও সামনে আসা জরুরি। আর সর্বাগ্রে অবশ্যই দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্য অপসারণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।