এই দিনে
৪ ডিসেম্বর
| ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ রমেশচন্দ্র মজুমদার। তিনি আর সি মজুমদার নামেই সমধিক পরিচিত। ১৮৮৮ সালের ৪ ডিসেম্বর ফরিদপুরের খন্দরপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা হলধর মজুমদার, মা বিন্দুমুখী। রমেশচন্দ্র ১৯০৯ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক এবং ১৯১১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯১৩ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯১৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের প্রভাষক পদে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ১৯২৪ সালে তার Early History of Bengal ’ নামক গ্রন্থ প্রকাশিত হয় এবং ১৯২৭ সালে ‘Ancient India’ নামক গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। ঢাকায় অবস্থানকালে তিনি তিন খণ্ডে বাংলার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনার পরিকল্পনা করেন। প্রথম খণ্ড নিজে সম্পাদনা করেন এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড সম্পাদনার দায়িত্ব স্যার যদুনাথ সরকারের ওপর দেন। ১৯৪৩ সালে প্রকাশিত প্রাচীন বাংলার ওপর প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস গ্রন্থ এটি। ১৯৩৬ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ১৯৫০ সালে তিনি ইন্ডোলজি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডোলজি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষও ছিলেন। শিকাগো ও পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় ইতিহাস পড়িয়েছেন। তিনি ডি.লিট (কলকাতা, যাদবপুর ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়), দেশিকোত্তম, ভারতরতœ উপাধি ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৮০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শেয়ার করুন
৪ ডিসেম্বর
| ৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ রমেশচন্দ্র মজুমদার। তিনি আর সি মজুমদার নামেই সমধিক পরিচিত। ১৮৮৮ সালের ৪ ডিসেম্বর ফরিদপুরের খন্দরপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা হলধর মজুমদার, মা বিন্দুমুখী। রমেশচন্দ্র ১৯০৯ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক এবং ১৯১১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯১৩ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯১৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের প্রভাষক পদে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ১৯২৪ সালে তার Early History of Bengal ’ নামক গ্রন্থ প্রকাশিত হয় এবং ১৯২৭ সালে ‘Ancient India’ নামক গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। ঢাকায় অবস্থানকালে তিনি তিন খণ্ডে বাংলার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনার পরিকল্পনা করেন। প্রথম খণ্ড নিজে সম্পাদনা করেন এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড সম্পাদনার দায়িত্ব স্যার যদুনাথ সরকারের ওপর দেন। ১৯৪৩ সালে প্রকাশিত প্রাচীন বাংলার ওপর প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস গ্রন্থ এটি। ১৯৩৬ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ১৯৫০ সালে তিনি ইন্ডোলজি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডোলজি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষও ছিলেন। শিকাগো ও পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় ইতিহাস পড়িয়েছেন। তিনি ডি.লিট (কলকাতা, যাদবপুর ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়), দেশিকোত্তম, ভারতরতœ উপাধি ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৮০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।