এই দিনে
২০ জানুয়ারি
| ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
চলচ্চিত্র নির্মাতা আলমগীর কবিরের জন্ম রাঙ্গামাটি শহরে ১৯৩৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর। তার বাবার নাম আবু সাইয়েদ আহমেদ ও মা আমিরুন্নেসা বেগম। তার পৈতৃক নিবাস বরিশাল জেলার বানারীপাড়া। ১৯৫২ সালে তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে বিএসসি অনার্স পাস করে তিনি লন্ডনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন। ইঙ্গমার বার্গম্যান নির্মিত ‘সেভেন্থ সিল’ দেখে চলচ্চিত্রশিল্পের প্রতি তার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। ১৯৬৬ সালে দেশে ফিরে বাংলাদেশে বামপন্থি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৬৯ সালে ঢাকা সিনেক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন এবং ‘আহমেদ চৌধুরী’ ছদ্মনামে ইংরেজি খবর ও কথিকা পাঠ করেন; পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি লিবারেশন ফাইটার্স নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন। তার নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ধীরে বহে মেঘনা’ (১৯৭৩), ‘সূর্যকন্যা’ (১৯৭৬), ‘সীমানা পেরিয়ে’ (১৯৭৭), ‘রূপালী সৈকতে’ (১৯৭৯), ‘মোহনা’ (১৯৮২), ‘পরিণীতা’ (১৯৮৪) ও ‘মহানায়ক’ (১৯৮৫)। তিনি চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কারসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৮৯ সালের ২০ জানুয়ারি তিনি মারা যান।
শেয়ার করুন
২০ জানুয়ারি
| ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

চলচ্চিত্র নির্মাতা আলমগীর কবিরের জন্ম রাঙ্গামাটি শহরে ১৯৩৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর। তার বাবার নাম আবু সাইয়েদ আহমেদ ও মা আমিরুন্নেসা বেগম। তার পৈতৃক নিবাস বরিশাল জেলার বানারীপাড়া। ১৯৫২ সালে তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে বিএসসি অনার্স পাস করে তিনি লন্ডনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন। ইঙ্গমার বার্গম্যান নির্মিত ‘সেভেন্থ সিল’ দেখে চলচ্চিত্রশিল্পের প্রতি তার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। ১৯৬৬ সালে দেশে ফিরে বাংলাদেশে বামপন্থি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৬৯ সালে ঢাকা সিনেক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন এবং ‘আহমেদ চৌধুরী’ ছদ্মনামে ইংরেজি খবর ও কথিকা পাঠ করেন; পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি লিবারেশন ফাইটার্স নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন। তার নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ধীরে বহে মেঘনা’ (১৯৭৩), ‘সূর্যকন্যা’ (১৯৭৬), ‘সীমানা পেরিয়ে’ (১৯৭৭), ‘রূপালী সৈকতে’ (১৯৭৯), ‘মোহনা’ (১৯৮২), ‘পরিণীতা’ (১৯৮৪) ও ‘মহানায়ক’ (১৯৮৫)। তিনি চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কারসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৮৯ সালের ২০ জানুয়ারি তিনি মারা যান।