এই দিনে
২১ জানুয়ারি
| ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
নাট্যকার, চিত্রসমালোচক ও শিক্ষাবিদ সাঈদ আহমদের জন্ম ঢাকায়, ১৯৩১ সালের ১ জানুয়ারি। তার বাবার নাম মির্জা এফ মোহাম্মদ ও মা জামিলা খাতুন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে ১৯৫৪ সালে স্নাতকোত্তর এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে ১৯৫৬ সালে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নানা বিভাগে কাজ করেছেন। আধুনিক সংগীতের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ‘সাঈদ আহমদ ও সম্প্রদায়’ নামে একটি দল গঠন করেন, যে দলটি রেডিও স্টেশন থেকে অর্কেস্ট্রা পরিবেশন করত। লন্ডনে পড়ার সময় তিনি প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওয়েস্টার্ন মিউজিক শেখেন। বিবিসিতে খণ্ডকালীন সেতার ও অর্কেস্ট্রা বাজাতেন উর্দু সার্ভিস, বাংলা সার্ভিস ও শ্রীলঙ্কা সার্ভিসে। তাকে বাংলা ‘থিয়েটার অব দি অ্যাবসার্ড’ নাট্যধারার পুরোধা বলা হয়। ১৯৮২ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘বিশ্বনাটক’ নামে একটি অনুষ্ঠান প্রযোজনা ও উপস্থাপনা করতেন। ‘দ্য থিং’, ‘কালবেলা’, ‘তৃষ্ণায়’, ‘মাইলপোস্ট’, ‘প্রতিদিন একদিন’ তার উল্লেখযোগ্য নাটক। তিনি জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ও ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটির অতিথি অধ্যাপক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে ‘বাংলাদেশের সুর স্রষ্টারা’, ‘জীবনের সাতরং’ ও ‘ঢাকা আমার ঢাকা’ উল্লেখযোগ্য। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদকসহ নানা পুরস্কারে তিনি ভূষিত হয়েছেন। ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শেয়ার করুন
২১ জানুয়ারি
| ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

নাট্যকার, চিত্রসমালোচক ও শিক্ষাবিদ সাঈদ আহমদের জন্ম ঢাকায়, ১৯৩১ সালের ১ জানুয়ারি। তার বাবার নাম মির্জা এফ মোহাম্মদ ও মা জামিলা খাতুন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে ১৯৫৪ সালে স্নাতকোত্তর এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে ১৯৫৬ সালে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করেন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নানা বিভাগে কাজ করেছেন। আধুনিক সংগীতের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ‘সাঈদ আহমদ ও সম্প্রদায়’ নামে একটি দল গঠন করেন, যে দলটি রেডিও স্টেশন থেকে অর্কেস্ট্রা পরিবেশন করত। লন্ডনে পড়ার সময় তিনি প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওয়েস্টার্ন মিউজিক শেখেন। বিবিসিতে খণ্ডকালীন সেতার ও অর্কেস্ট্রা বাজাতেন উর্দু সার্ভিস, বাংলা সার্ভিস ও শ্রীলঙ্কা সার্ভিসে। তাকে বাংলা ‘থিয়েটার অব দি অ্যাবসার্ড’ নাট্যধারার পুরোধা বলা হয়। ১৯৮২ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘বিশ্বনাটক’ নামে একটি অনুষ্ঠান প্রযোজনা ও উপস্থাপনা করতেন। ‘দ্য থিং’, ‘কালবেলা’, ‘তৃষ্ণায়’, ‘মাইলপোস্ট’, ‘প্রতিদিন একদিন’ তার উল্লেখযোগ্য নাটক। তিনি জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ও ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটির অতিথি অধ্যাপক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে ‘বাংলাদেশের সুর স্রষ্টারা’, ‘জীবনের সাতরং’ ও ‘ঢাকা আমার ঢাকা’ উল্লেখযোগ্য। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদকসহ নানা পুরস্কারে তিনি ভূষিত হয়েছেন। ২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।