এই দিনে
২৩ জানুয়ারি
১৮৯৭ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করার পর আই.সি.এস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তিনি ১৯১৯ সালে ইংল্যান্ড যান এবং সাফল্যের সঙ্গে কাক্সিক্ষত ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। কিন্তু অনতিবিলম্বে তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তিনি সিভিল সার্ভিস থেকে ইস্তফা দিয়ে চিত্তরঞ্জন দাশের নেতৃত্বে ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯২৮ সালে কলকাতায় কংগ্রেস দলের ঐতিহাসিক সম্মেলনে সুভাষ কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৯-এ সুভাষ ছিলেন বাংলা প্রাদেশিক কংগ্রেস সম্মেলনের সভাপতি। ১৯৩৮ সালে সুভাষ সর্বসম্মতিক্রমে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন। দলীয় সিদ্ধান্ত প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় তার একরোখা অবস্থানের কারণে অচিরেই তাকে কংগ্রেসের মূল নেতৃত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী তার বিরুদ্ধে চলে যান। ১৯৩৯ সালে তিনি কংগ্রেসের অভ্যন্তরে ফরওয়ার্ড ব্লক নামে একটি ভিন্ন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম গঠন করেন এবং পরে এটি একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৪৩ সালের ২৫ আগস্ট সুভাষ আজাদ হিন্দ ফৌজ (আই.এন.এ)-এর সর্বাধিনায়ক হন। একই বছরের ২১ অক্টোবর অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ সময়ে সুভাষ জার্মানি-জাপান-ইতালি অক্ষশক্তির পক্ষালম্বন করে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা বেগবান করার লক্ষ্যে এগোতে থাকেন। বিশ্বযুদ্ধের শেষলগ্নে সুভাষের নিখোঁজ হওয়া বা মারা যাওয়ার ঘটনা রহস্যাবৃত। ধারণা করা হয় ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে ফরমোজা দ্বীপপুঞ্জের কাছে এক বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষ নিহত হন।
শেয়ার করুন
২৩ জানুয়ারি

১৮৯৭ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করার পর আই.সি.এস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তিনি ১৯১৯ সালে ইংল্যান্ড যান এবং সাফল্যের সঙ্গে কাক্সিক্ষত ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। কিন্তু অনতিবিলম্বে তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তিনি সিভিল সার্ভিস থেকে ইস্তফা দিয়ে চিত্তরঞ্জন দাশের নেতৃত্বে ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯২৮ সালে কলকাতায় কংগ্রেস দলের ঐতিহাসিক সম্মেলনে সুভাষ কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান হিসেবে কাজ করেন। ১৯২৯-এ সুভাষ ছিলেন বাংলা প্রাদেশিক কংগ্রেস সম্মেলনের সভাপতি। ১৯৩৮ সালে সুভাষ সর্বসম্মতিক্রমে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন। দলীয় সিদ্ধান্ত প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় তার একরোখা অবস্থানের কারণে অচিরেই তাকে কংগ্রেসের মূল নেতৃত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী তার বিরুদ্ধে চলে যান। ১৯৩৯ সালে তিনি কংগ্রেসের অভ্যন্তরে ফরওয়ার্ড ব্লক নামে একটি ভিন্ন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম গঠন করেন এবং পরে এটি একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৪৩ সালের ২৫ আগস্ট সুভাষ আজাদ হিন্দ ফৌজ (আই.এন.এ)-এর সর্বাধিনায়ক হন। একই বছরের ২১ অক্টোবর অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ সময়ে সুভাষ জার্মানি-জাপান-ইতালি অক্ষশক্তির পক্ষালম্বন করে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা বেগবান করার লক্ষ্যে এগোতে থাকেন। বিশ্বযুদ্ধের শেষলগ্নে সুভাষের নিখোঁজ হওয়া বা মারা যাওয়ার ঘটনা রহস্যাবৃত। ধারণা করা হয় ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে ফরমোজা দ্বীপপুঞ্জের কাছে এক বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষ নিহত হন।