এই দিনে
২৬ জানুয়ারি
| ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০
সাধক, চিকিৎসক ও সৎসঙ্গ আশ্রমের প্রবর্তক অনুকূলচন্দ্র ঠাকুর। তিনি ১৮৮৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পাবনা জেলার হেমায়েতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শিবচন্দ্র চক্রবর্তী, মা মোহিনী দেবী। অনুকূলচন্দ্র ছোটবেলা থেকেই ভক্তিপ্রবণ ও সেবাধর্মপরায়ণ ছিলেন। তিনি পাবনা ইনস্টিটিউশনে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে নৈহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল স্কুল থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের ডিগ্রি নেন। নিজ গ্রামে ফিরে চিকিৎসাসেবা শুরু করেন। তার বিশ্বাস ছিল, মানুষ শারীরিক, মানসিক ও আত্মিকএই তিন ধরনের ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। তাই তিনি মানসিক ব্যাধির চিকিৎসার প্রতিই বেশি জোর দিতেন। তার বাণী পরে ‘পুণ্যপুঁথি’ গ্রন্থে প্রকাশিত হয় এবং মানুষ তাকে ‘ঠাকুর’ বলে সম্বোধন করতে শুরু করে। মানুষের আত্মিক উন্নতির লক্ষ্যে তিনি পাবনায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘সৎসঙ্গ আশ্রম’। শিক্ষা, কৃষি, শিল্প ও সুবিবাহএ চারটি বিষয় ছিল সৎসঙ্গের আদর্শ। অনুকূলচন্দ্র জনকল্যাণে তপোবন বিদ্যালয়, দাতব্য চিকিৎসালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ, পাবলিশিং হাউজ, ছাপাখানা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি বিহারের দেওঘরে যান এবং সৎসঙ্গের আদর্শে নতুন আশ্রম গড়ে তোলেন। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর তিনি আর ফিরে আসেননি। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় তিনি ৪৬টি বই লিখেছেন। এর মধ্যে ‘পুণ্যপুঁথি’, ‘অনুশ্রুতি’(ছয় খণ্ড), ‘চলার সাথী’, ‘শাশ্বতী’(তিন খণ্ড), ‘প্রীতিবিনায়ক’(দুই খণ্ড) উল্লেখযোগ্য। ১৯৬৯ সালের ২৬ জানুয়ারি বিহারে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশেই তার ভক্তকুল ছড়িয়ে আছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আছে আশ্রম।
শেয়ার করুন
২৬ জানুয়ারি
| ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০

সাধক, চিকিৎসক ও সৎসঙ্গ আশ্রমের প্রবর্তক অনুকূলচন্দ্র ঠাকুর। তিনি ১৮৮৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পাবনা জেলার হেমায়েতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শিবচন্দ্র চক্রবর্তী, মা মোহিনী দেবী। অনুকূলচন্দ্র ছোটবেলা থেকেই ভক্তিপ্রবণ ও সেবাধর্মপরায়ণ ছিলেন। তিনি পাবনা ইনস্টিটিউশনে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে নৈহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল স্কুল থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের ডিগ্রি নেন। নিজ গ্রামে ফিরে চিকিৎসাসেবা শুরু করেন। তার বিশ্বাস ছিল, মানুষ শারীরিক, মানসিক ও আত্মিকএই তিন ধরনের ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। তাই তিনি মানসিক ব্যাধির চিকিৎসার প্রতিই বেশি জোর দিতেন। তার বাণী পরে ‘পুণ্যপুঁথি’ গ্রন্থে প্রকাশিত হয় এবং মানুষ তাকে ‘ঠাকুর’ বলে সম্বোধন করতে শুরু করে। মানুষের আত্মিক উন্নতির লক্ষ্যে তিনি পাবনায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘সৎসঙ্গ আশ্রম’। শিক্ষা, কৃষি, শিল্প ও সুবিবাহএ চারটি বিষয় ছিল সৎসঙ্গের আদর্শ। অনুকূলচন্দ্র জনকল্যাণে তপোবন বিদ্যালয়, দাতব্য চিকিৎসালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ, পাবলিশিং হাউজ, ছাপাখানা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি বিহারের দেওঘরে যান এবং সৎসঙ্গের আদর্শে নতুন আশ্রম গড়ে তোলেন। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর তিনি আর ফিরে আসেননি। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় তিনি ৪৬টি বই লিখেছেন। এর মধ্যে ‘পুণ্যপুঁথি’, ‘অনুশ্রুতি’(ছয় খণ্ড), ‘চলার সাথী’, ‘শাশ্বতী’(তিন খণ্ড), ‘প্রীতিবিনায়ক’(দুই খণ্ড) উল্লেখযোগ্য। ১৯৬৯ সালের ২৬ জানুয়ারি বিহারে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশেই তার ভক্তকুল ছড়িয়ে আছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আছে আশ্রম।