এই দিনে
২৭ মে
| ২৭ মে, ২০২২ ০০:০০
১৯৬৪ সালের ২৭ মে মৃত্যুবরণ করেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওয়াহেরলাল নেহরু। তার জন্ম ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর ভারতের উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে। তাদের পরিবার মূলত কাশ্মীরি প-িত বংশের উত্তরসূরি। তার বাবা ভারতের বিখ্যাত আইনজ্ঞ ও কংগ্রেসের একসময়কার সভাপতি মতিলাল নেহরু ও মা স্বরূপ রানী। আনন্দ ভবন নামক বিশাল বাড়িতে পাশ্চাত্য সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে তিনি বেড়ে ওঠেন। ১৫ বছর বয়সে তিনি ইংল্যান্ডের হ্যারোতে চলে যান। প্রকৃতিবিজ্ঞানের ওপর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে তিনি লেখাপড়া করেন। পরে কেমব্রিজেই ব্যারিস্টারি পড়া শুরু করেন। ইংল্যান্ডে পড়ার সময় তিনি ভারতীয় ছাত্র সংসদের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। এ সময়েই তিনি সমাজতন্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হন। ভারতে ফিরে আসার পর ১৯১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি কমলা কাউলকে বিয়ে করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় একজন আইনজ্ঞ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভারতীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। মহাত্মা গান্ধীর দর্শন ও নেতৃত্ব তাকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করে। চাম্পারান আন্দোলনের সময় তিনি গান্ধীর সঙ্গে পরিচিত হন এবং তাকে সাহায্য করেন। গান্ধীর প্রভাবে তিনি পরিবার ও ভোগ-বিলাসের জীবন ত্যাগ করেন। তখন থেকে তিনি খাদির তৈরি কাপড় পরতেন। গান্ধীর প্রভাবে তিনি ভগবত গীতাপাঠ ও যোগ ব্যায়াম শুরু করেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনেও গান্ধীর কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন এবং তার সঙ্গেই বেশির ভাগ সময় কাটাতেন। একজন বিশিষ্ট সংগঠক হিসেবে তিনি উত্তর ভারতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন, বিশেষ করে যুক্ত প্রদেশ, বিহার ও কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে। ১৯৪৭ সালে তিনি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার শাসনামলে ভারতে ব্যাপক শিল্পায়ন হয়।
শেয়ার করুন
২৭ মে
| ২৭ মে, ২০২২ ০০:০০

১৯৬৪ সালের ২৭ মে মৃত্যুবরণ করেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওয়াহেরলাল নেহরু। তার জন্ম ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর ভারতের উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে। তাদের পরিবার মূলত কাশ্মীরি প-িত বংশের উত্তরসূরি। তার বাবা ভারতের বিখ্যাত আইনজ্ঞ ও কংগ্রেসের একসময়কার সভাপতি মতিলাল নেহরু ও মা স্বরূপ রানী। আনন্দ ভবন নামক বিশাল বাড়িতে পাশ্চাত্য সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে তিনি বেড়ে ওঠেন। ১৫ বছর বয়সে তিনি ইংল্যান্ডের হ্যারোতে চলে যান। প্রকৃতিবিজ্ঞানের ওপর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে তিনি লেখাপড়া করেন। পরে কেমব্রিজেই ব্যারিস্টারি পড়া শুরু করেন। ইংল্যান্ডে পড়ার সময় তিনি ভারতীয় ছাত্র সংসদের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। এ সময়েই তিনি সমাজতন্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হন। ভারতে ফিরে আসার পর ১৯১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি কমলা কাউলকে বিয়ে করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় একজন আইনজ্ঞ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভারতীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। মহাত্মা গান্ধীর দর্শন ও নেতৃত্ব তাকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করে। চাম্পারান আন্দোলনের সময় তিনি গান্ধীর সঙ্গে পরিচিত হন এবং তাকে সাহায্য করেন। গান্ধীর প্রভাবে তিনি পরিবার ও ভোগ-বিলাসের জীবন ত্যাগ করেন। তখন থেকে তিনি খাদির তৈরি কাপড় পরতেন। গান্ধীর প্রভাবে তিনি ভগবত গীতাপাঠ ও যোগ ব্যায়াম শুরু করেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনেও গান্ধীর কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন এবং তার সঙ্গেই বেশির ভাগ সময় কাটাতেন। একজন বিশিষ্ট সংগঠক হিসেবে তিনি উত্তর ভারতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন, বিশেষ করে যুক্ত প্রদেশ, বিহার ও কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে। ১৯৪৭ সালে তিনি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার শাসনামলে ভারতে ব্যাপক শিল্পায়ন হয়।