ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় রচিত পাঠ্যপুস্তক পায়নি বান্দরবানের শিশুরা
বান্দরবান প্রতিনিধি | ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৪:০৯
বান্দরবানের শিশুরা সাধারণ বই পেলেও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ভাষায় রচিত বই পায়নি। ছবি: দেশ রূপান্তর
বান্দরবানে বছরের প্রথম দিনে নিজস্ব ভাষায় রচিত পাঠ্যপুস্তক পায়নি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুরা। জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মারমা ভাষায় ৭ হাজার ৩৫০ সেট, ত্রিপুরা ভাষায় ১ হাজার ৬৭৮ সেট এবং চাকমা ভাষায় ৬৯২ সেট বইয়ের চাহিদা রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল আলম জানান, বাংলা ভাষায় রচিত সব পাঠ্যপুস্তক হাতে চলে এসেছে। সেগুলো বিতরণও হচ্ছে। তবে পরিবহন সমস্যার কারণে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় রচিত বইগুলো এখনো চট্টগ্রাম থেকে আনা যায়নি।
দুয়েক দিনের মধ্যে বই হাতে চলে আসবে বলে তিনি জানান।
রোববার সারা দেশে একযোগে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস’ উদযাপন করছে সরকার। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে নতুন বই।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করেন।
এর আগে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিয়ে বিনামূল্যের বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এনসিটিবি জানিয়েছে, ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের ৬৮ লাখ ৫৬ হাজার ২০ কপি, প্রাথমিক স্তরের ৯ কোটি ৮৮ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৯ কপি, বাঙালি ছাড়া অন্য নৃ-গোষ্ঠীর ভাষার দুই লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৪ কপি, ইবতেদায়ির দুই কোটি ২৫ লাখ ৩১ হাজার ২৮৩ কপি এবং দাখিলের তিন কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩৪ কপি বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এ জন্য খরচ পড়ছে প্রায় ১ হাজার ৮২ কোটি টাকা। গত ১০ বছরে ২৯৬ কোটি কপি বই দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
বান্দরবান প্রতিনিধি | ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৪:০৯

বান্দরবানে বছরের প্রথম দিনে নিজস্ব ভাষায় রচিত পাঠ্যপুস্তক পায়নি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুরা। জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মারমা ভাষায় ৭ হাজার ৩৫০ সেট, ত্রিপুরা ভাষায় ১ হাজার ৬৭৮ সেট এবং চাকমা ভাষায় ৬৯২ সেট বইয়ের চাহিদা রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল আলম জানান, বাংলা ভাষায় রচিত সব পাঠ্যপুস্তক হাতে চলে এসেছে। সেগুলো বিতরণও হচ্ছে। তবে পরিবহন সমস্যার কারণে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় রচিত বইগুলো এখনো চট্টগ্রাম থেকে আনা যায়নি।
দুয়েক দিনের মধ্যে বই হাতে চলে আসবে বলে তিনি জানান।
রোববার সারা দেশে একযোগে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস’ উদযাপন করছে সরকার। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে নতুন বই।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করেন।
এর আগে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিয়ে বিনামূল্যের বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এনসিটিবি জানিয়েছে, ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের ৬৮ লাখ ৫৬ হাজার ২০ কপি, প্রাথমিক স্তরের ৯ কোটি ৮৮ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৯ কপি, বাঙালি ছাড়া অন্য নৃ-গোষ্ঠীর ভাষার দুই লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৪ কপি, ইবতেদায়ির দুই কোটি ২৫ লাখ ৩১ হাজার ২৮৩ কপি এবং দাখিলের তিন কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩৪ কপি বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এ জন্য খরচ পড়ছে প্রায় ১ হাজার ৮২ কোটি টাকা। গত ১০ বছরে ২৯৬ কোটি কপি বই দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের।