এইচএসসির ফল চলতি মাসেই
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০১:০২
করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়া ২০২০-এর এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করতে আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। সংসদে পাস হওয়া তিনটি বিলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্বাক্ষর করার পর তা গেজেট আকারে জারি করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গেজেট প্রকাশের পর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ কবে হবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশেষ সময়ে ফল প্রকাশে গেজেট জারি করা হয়েছে। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগ এসে গেছে। মন্ত্রণালয় থেকে খুব তাড়াতাড়ি হয়তো আমরা একটা নির্দেশনা পাব। আমরা সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারছি না। আমরা যেকোন মুহূর্তে ফল প্রকাশ করার জন্য তৈরি আছি। আর এটা খুব তাড়াতাড়ি হবে।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে জানান, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় চায় এ মাসেই ফল প্রকাশ করতে। হাতে এখনো তিনদিন সময় রয়েছে। এ মাসের ৩০ অথবা ৩১ তারিখে ফল প্রকাশের সম্ভবনাই বেশি।‘
এর আগে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০২১’ ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’, ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’ সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর গেজেট জারি করে মন্ত্রণালয়। গত রোববার সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিল তিনটি উত্থাপন করেন। পরে সেগুলো সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরপরই সেগুলো আইনে পরিণত করতে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছিল।
আইনগুলো সংশোধন হওয়ায় এখন বিশেষ পরিস্থিতে অতিমারী, মহামারি, দৈব দুর্বিপাকের কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোনো পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ করা সম্ভব না হলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোনো বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ দেওয়ার জন্য নির্দেশাবলি জারি করতে পারবে।
গত বছরে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল সে বছরের ১ এপ্রিল। কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানান। জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০১:০২

করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়া ২০২০-এর এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করতে আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। সংসদে পাস হওয়া তিনটি বিলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্বাক্ষর করার পর তা গেজেট আকারে জারি করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গেজেট প্রকাশের পর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ কবে হবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশেষ সময়ে ফল প্রকাশে গেজেট জারি করা হয়েছে। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগ এসে গেছে। মন্ত্রণালয় থেকে খুব তাড়াতাড়ি হয়তো আমরা একটা নির্দেশনা পাব। আমরা সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারছি না। আমরা যেকোন মুহূর্তে ফল প্রকাশ করার জন্য তৈরি আছি। আর এটা খুব তাড়াতাড়ি হবে।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে জানান, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় চায় এ মাসেই ফল প্রকাশ করতে। হাতে এখনো তিনদিন সময় রয়েছে। এ মাসের ৩০ অথবা ৩১ তারিখে ফল প্রকাশের সম্ভবনাই বেশি।‘
এর আগে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০২১’ ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’, ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’ সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর গেজেট জারি করে মন্ত্রণালয়। গত রোববার সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিল তিনটি উত্থাপন করেন। পরে সেগুলো সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরপরই সেগুলো আইনে পরিণত করতে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছিল।
আইনগুলো সংশোধন হওয়ায় এখন বিশেষ পরিস্থিতে অতিমারী, মহামারি, দৈব দুর্বিপাকের কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোনো পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ করা সম্ভব না হলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোনো বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ দেওয়ার জন্য নির্দেশাবলি জারি করতে পারবে।
গত বছরে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল সে বছরের ১ এপ্রিল। কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানান। জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে।