রাজধানীর রামপুরায় বাস চাপায় নিহত মাইনউদ্দিন জিপিএ ৪ দশমিক ১৭ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

একরামুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান হাওলাদার বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

অনটনের সংসারে দুই ভাই আর এক বাক প্রতিবন্ধী বোনের মধ্যে মাঈনউদ্দিন ছিল সবার ছোট। বাবা আব্দুর রহমান ভাণ্ডারী রাস্তার পাশে টং দোকানে চা-পান বিক্রি করেন। স্কুল থেকে ফিরে বাবার কাজে সহায্য করত সে।

পরিবারের একমাত্র সেই পড়ালেখা করতো। স্বপ্ন ছিল শিক্ষাজীবন শেষ করে সংসারে স্বচ্ছলতা আনার।

মাঈনউদ্দিনের এসএসসির ফল শুনে মা রাশেদা বেগম ও বাবা আব্দুর রহমান ভাণ্ডারী শুনে কেঁদে ফেলেন বলে জানান তার ভগ্নিপতির ভাই বাদশা মিয়া।

একরামুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞানের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, এবার তাদের বিদ্যালয়ের ১৫৯ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৫৪ জন পাস করেছে। এদের মধ্যে মাঈনউদ্দিনও আছেন।

তিনি বলেন, মাঈনউদ্দিন একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম চাকরি করতো। অনটনের সংসারে থেকে কিছু আয় করে পড়াশোনা করতো। পড়াশোনায় আরও বেশি সময় দিতে পারলে হয়তো ওর ফলাফল আরও ভাল হতে পারতো। এখন তো সে দুনিয়াতেই নেই।

গত ২৯ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দুটি বাসের প্রতিযোগিতায় চাপা পড়ে নিহত হন মাইনুদ্দিন ইসলাম।

এর জের ধরে বিক্ষুব্ধ জনতা অনাবিল পরিবহনের ওই বাসটিসহ বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দেয়।