প্রথমবারের মতো ভোটে গ্রাম পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ নভেম্বর, ২০১৮ ২০:১২
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ফাইল ছবি
প্রথমবারের মতো ভোটের কাজে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে গ্রাম পুলিশের সদস্যদেরও কাজে লাগাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন রেখে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাজেট বরাদ্দ নিয়ে এক সভা শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।
তিনি বলেন, “এ বছর আমরা নতুন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছি। সেটি হলো- এবছর থেকে গ্রাম পুলিশকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করব।”
হেলালুদ্দীন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এক সপ্তাহের মধ্যে বাজেট দাখিল করতে বলা হয়েছে। আনসার বাহিনীর সদস্যদের অগ্রিম শতভাগ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে। অন্য বাহিনীগুলোকে অগ্রিম ৫০ ভাগ বরাদ্দ দেওয়া হবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য বাজেট রয়েছে ৬৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনার চেয়ে আড়াই-তিনগুণ ব্যয় হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়।
দেশের ৩০০ আসনের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর পাঁচ লাখেরও বেশি সদস্য প্রয়োজন হয়। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিশেষ বাহিনী র্যাব, পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার সদস্যরা এই দায়িত্ব পালন করেন। এবার তাদের সঙ্গে দায়িত্বে থাকবে গ্রাম পুলিশের সদস্যরাও। দফাদার ও মহলদার মিলে দেশে গ্রাম পুলিশের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪৩ লাখেরও বেশি ভোটার থাকবে। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ৪০ হাজারের বেশি।
প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, প্রতি ভোটকক্ষে একজন করে সহকারী প্রিজাইডিং এবং প্রতিটি ভোটকক্ষে দুইজন করে পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। এক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ৬ লাখের বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন।
প্রতিটি কেন্দ্রে ১৫-১৮ জন ধরে নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমের নেতৃত্বে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য ভোটের সময় দায়িত্ব পালন করবেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ নভেম্বর, ২০১৮ ২০:১২

প্রথমবারের মতো ভোটের কাজে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে গ্রাম পুলিশের সদস্যদেরও কাজে লাগাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন রেখে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাজেট বরাদ্দ নিয়ে এক সভা শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এতথ্য জানান।
তিনি বলেন, “এ বছর আমরা নতুন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছি। সেটি হলো- এবছর থেকে গ্রাম পুলিশকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করব।”
হেলালুদ্দীন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এক সপ্তাহের মধ্যে বাজেট দাখিল করতে বলা হয়েছে। আনসার বাহিনীর সদস্যদের অগ্রিম শতভাগ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে। অন্য বাহিনীগুলোকে অগ্রিম ৫০ ভাগ বরাদ্দ দেওয়া হবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য বাজেট রয়েছে ৬৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে নির্বাচন পরিচালনার চেয়ে আড়াই-তিনগুণ ব্যয় হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়।
দেশের ৩০০ আসনের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর পাঁচ লাখেরও বেশি সদস্য প্রয়োজন হয়। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিশেষ বাহিনী র্যাব, পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার সদস্যরা এই দায়িত্ব পালন করেন। এবার তাদের সঙ্গে দায়িত্বে থাকবে গ্রাম পুলিশের সদস্যরাও। দফাদার ও মহলদার মিলে দেশে গ্রাম পুলিশের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪৩ লাখেরও বেশি ভোটার থাকবে। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ৪০ হাজারের বেশি।
প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, প্রতি ভোটকক্ষে একজন করে সহকারী প্রিজাইডিং এবং প্রতিটি ভোটকক্ষে দুইজন করে পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। এক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ৬ লাখের বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন।
প্রতিটি কেন্দ্রে ১৫-১৮ জন ধরে নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমের নেতৃত্বে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য ভোটের সময় দায়িত্ব পালন করবেন।