নির্বাচন নজরদারিতে ২ বিশেষজ্ঞ রাখছে ইইউ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ নভেম্বর, ২০১৮ ২০:১১
নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইইউ ডেলিগেশনের প্রধান রেনজি তেরিংক সাংবাদিকদের একথা জানান। ছবি: দেশ রূপান্তর
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ দল না পাঠালেও ভোটের সময় পরিস্থিতি নজরদারিতে দুজন বিশেষজ্ঞ রাখছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইইউ ডেলিগেশনের প্রধান রেনজি তেরিংক সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো বৈঠক হয়েছে। মূলত ইসির সঙ্গে আমাদের বিশেষজ্ঞদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। তারা পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াটা দেখবে।”
“ইসির সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে- বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের খুবই আগ্রহ রয়েছে। আমরা এই নির্বাচন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব। আমরা খুবই খুশি, আমাদের টিম কমিশনের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে এবং তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবে।”
ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড ও ইরিনি-মারিয়া গৌনারির সমন্বয়ে গঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষজ্ঞ দল মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছে। তারা ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন পরিস্থিতিতে নজর রাখবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছে। বৈঠকের সময় তারা উপস্থিত ছিলেন।
এবার নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর কারণ জানতে চাইলে তেরিংক বলেন, “পর্যবেক্ষক দল পাওয়ার জন্য ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অনেক চাহিদা রয়েছে। আমাদের ইইউ হেডকোয়ার্টারে এরকম অনেক আবেদন রয়েছে। আমাদের পক্ষের সব অনুরোধ রক্ষা করা সম্ভব নয়। এটা একটা সমস্যা।”
নির্বাচন কমিশনের প্রতি কোনো পরামর্শ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “১০ কোটি ভোটার ও ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্র নিয়ে এত বড় একটি নির্বাচন করা খুবই কঠিন। তবে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের শুভকামনা রয়েছে। আমরা আশা করব, এটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।”
বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের এবারের সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ প্রতিনিধিদল না পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। নির্বাচনী প্রক্রিয়া বা ফলাফল নিয়েও কোনো মন্তব্য করবে না ইউরোপের ২৮ সদস্য রাষ্ট্রের সংসদীয় জোট।
এর আগে দুবার বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ থেকে সরে যায় ইইউ। প্রথমবার ২০০৬ সালে, যখন নির্বাচন স্থগিত হয়েছিল। পরের বার ২০১৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়, যখন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বর্জনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পদ্ধতি অনুযায়ী, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সীমিত সংখ্যক পর্যবেক্ষক পাঠায়, যারা পরে ইইউ নির্বাচক পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়। এবার পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হবে না বলে অক্টোবরে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল ইইউ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৮ নভেম্বর, ২০১৮ ২০:১১

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ দল না পাঠালেও ভোটের সময় পরিস্থিতি নজরদারিতে দুজন বিশেষজ্ঞ রাখছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইইউ ডেলিগেশনের প্রধান রেনজি তেরিংক সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো বৈঠক হয়েছে। মূলত ইসির সঙ্গে আমাদের বিশেষজ্ঞদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। তারা পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াটা দেখবে।”
“ইসির সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে- বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের খুবই আগ্রহ রয়েছে। আমরা এই নির্বাচন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব। আমরা খুবই খুশি, আমাদের টিম কমিশনের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে এবং তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবে।”
ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড ও ইরিনি-মারিয়া গৌনারির সমন্বয়ে গঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষজ্ঞ দল মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছে। তারা ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন পরিস্থিতিতে নজর রাখবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছে। বৈঠকের সময় তারা উপস্থিত ছিলেন।
এবার নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর কারণ জানতে চাইলে তেরিংক বলেন, “পর্যবেক্ষক দল পাওয়ার জন্য ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অনেক চাহিদা রয়েছে। আমাদের ইইউ হেডকোয়ার্টারে এরকম অনেক আবেদন রয়েছে। আমাদের পক্ষের সব অনুরোধ রক্ষা করা সম্ভব নয়। এটা একটা সমস্যা।”
নির্বাচন কমিশনের প্রতি কোনো পরামর্শ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “১০ কোটি ভোটার ও ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্র নিয়ে এত বড় একটি নির্বাচন করা খুবই কঠিন। তবে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের শুভকামনা রয়েছে। আমরা আশা করব, এটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।”
বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের এবারের সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ প্রতিনিধিদল না পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। নির্বাচনী প্রক্রিয়া বা ফলাফল নিয়েও কোনো মন্তব্য করবে না ইউরোপের ২৮ সদস্য রাষ্ট্রের সংসদীয় জোট।
এর আগে দুবার বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ থেকে সরে যায় ইইউ। প্রথমবার ২০০৬ সালে, যখন নির্বাচন স্থগিত হয়েছিল। পরের বার ২০১৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়, যখন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বর্জনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পদ্ধতি অনুযায়ী, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সীমিত সংখ্যক পর্যবেক্ষক পাঠায়, যারা পরে ইইউ নির্বাচক পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে যুক্ত হয়। এবার পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হবে না বলে অক্টোবরে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল ইইউ।