সংসদে আসন সংরক্ষণ দাবি মাইনরিটি ফোরামের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ নভেম্বর, ২০১৮ ১৮:৪২
জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংখ্যালঘুর অধিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে পাঁচ দফা দাবি জানায় সংগঠনটি। ছবি: মহুবার রহমান
সংখ্যালঘু ও অনগ্রসর শ্রেণির জন্য জাতীয় সংসদে আসন সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে মাইনরিটি রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ। শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংখ্যালঘুর অধিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে পাঁচ দফা দাবি জানায় সংগঠনটি।
এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদ বলেন, “এখনো দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন, জমি দখল, পূজার মূর্তি-মণ্ডপ ভাঙচুরের খবর পাচ্ছি। ধর্মকে রাজনীতির বিশেষ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার কারণে এটা বন্ধ হচ্ছে না।”
প্রায় ৬ লাখ দলিত জনগোষ্ঠী যেন এবার নিরাপদে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
বিচার বিভাগীয় ক্ষমতাসম্পন্ন মাইনরিটি কমিশন এবং সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন, জাতীয় সংসদসহ সব নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য ১৫ শতাংশ ও অনগ্রসর শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য ৮ শতাংশ আসন সংরক্ষণ, আদিবাসীদের জন্য ভূমি কমিশন গঠন এবং চা-শ্রমিকদের মজুরি দৈনিক ৫০০ টাকা করার দাবি পাঁচ দফায় উল্লেখ করা হয়।
আলোচনা সভায় ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য বলেন, “যতগুলো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে, হত্যা হয়েছে, এসব কোনো ঘটনার ন্যায়বিচার হয়নি। পার্বত্য চুক্তির পক্ষে সরকারের দৃঢ় অবস্থান না থাকায় এমনটি হয়েছে।”
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মানস কুমার মিত্রের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাবির জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. অসীম কুমার, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ, সংগঠনের ফরিদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দাস, আদিবাসী যুব পরিষদের সভাপতি হরেন্দ্র নাথ সিং।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ নভেম্বর, ২০১৮ ১৮:৪২

সংখ্যালঘু ও অনগ্রসর শ্রেণির জন্য জাতীয় সংসদে আসন সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে মাইনরিটি রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ। শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংখ্যালঘুর অধিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে পাঁচ দফা দাবি জানায় সংগঠনটি।
এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদ বলেন, “এখনো দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন, জমি দখল, পূজার মূর্তি-মণ্ডপ ভাঙচুরের খবর পাচ্ছি। ধর্মকে রাজনীতির বিশেষ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার কারণে এটা বন্ধ হচ্ছে না।”
প্রায় ৬ লাখ দলিত জনগোষ্ঠী যেন এবার নিরাপদে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
বিচার বিভাগীয় ক্ষমতাসম্পন্ন মাইনরিটি কমিশন এবং সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন, জাতীয় সংসদসহ সব নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য ১৫ শতাংশ ও অনগ্রসর শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য ৮ শতাংশ আসন সংরক্ষণ, আদিবাসীদের জন্য ভূমি কমিশন গঠন এবং চা-শ্রমিকদের মজুরি দৈনিক ৫০০ টাকা করার দাবি পাঁচ দফায় উল্লেখ করা হয়।
আলোচনা সভায় ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য বলেন, “যতগুলো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে, হত্যা হয়েছে, এসব কোনো ঘটনার ন্যায়বিচার হয়নি। পার্বত্য চুক্তির পক্ষে সরকারের দৃঢ় অবস্থান না থাকায় এমনটি হয়েছে।”
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মানস কুমার মিত্রের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাবির জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. অসীম কুমার, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ, সংগঠনের ফরিদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দাস, আদিবাসী যুব পরিষদের সভাপতি হরেন্দ্র নাথ সিং।