রায়ের কপি না পাওয়ায় ইসিতে বিক্ষোভ প্রার্থীদের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:২৪
শুক্রবার মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিল শুনানির এক ফাঁকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। ছবি: দেশ রূপান্তর
নির্বাচনে অংশ নিতে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পরও রায়ের সার্টিফায়েড কপি না পাওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন প্রার্থীরা।
শুক্রবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে বৈধ প্রার্থীরা বিক্ষোভ-হট্টগোল করেন। তারা ইসির আইন শাখায় যোগাযোগ করে রায়ের সার্টিফায়েড কপি সংগ্রহের চেষ্টা করলেও সেগুলো কবে দেওয়া হবে, তা জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন।
প্রার্থীদের দাবি, তাদের আপিলের পর শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সার্টিফায়েড কপি না দেওয়ায় দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন না পাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শুনানি শুরুর আগের দিন মঙ্গলবার রাতে ইসির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, ‘শুনানির পরপরই আমরা রায়ে সার্টিফায়েড কপি দিয়ে দেব।’ কিন্তু ভুক্তভোগীরা বলছেন, সচিবের বক্তব্যের পরও তাদের ভোগান্তিতে ফেলা হয়েছে।
তফসিলের আগেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলাকে কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। কিন্তু সেই অ্যাকাউন্টে অন্য কোনো লেনদেন না করায় আপিলে তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয় ইসি। তবে সার্টিফায়েড কপি পাননি তিনি।
ইসিতে প্রার্থীর ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি এম হামেশ রাজু দুদিন ধরে ঘোরাঘুরি করছেন। এরপরও রায়ের সার্টিফায়েড কপি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আপিলে বৈধতা পেয়েছি। কিন্তু রায়ের সার্টিফায়েড কপি না দেওয়ার কারণে আমরা শঙ্কায় আছি। কেননা এটা পার্টি অফিসে না দিতে পারলে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাব না।’
জাতীয় পার্টির মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম মিন্টু। তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছিল হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায়। তিনি বলেন, ‘ইসি শুনানি করে মনোনয়নপত্র ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সকালে বলল সার্টিফায়েড কপি নামাজের পর দেবে; নামাজের পর বলল বিকেলে দেবে। এখন বলছে যার যার জেলা-উপজেলা থেকে সংগ্রহ করতে। সময় আছে মাত্র দুদিন। এ সময়ের মধ্যে এলাকায় গিয়ে সংগ্রহ করে আবার ঢাকায় পার্টি অফিসে জমা দিতে হবে।’
নড়াইল-২ আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) প্রার্থী ফকির শওকত আলী বলেন, ‘যদি কোনো কারণে স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে দেরি হয়, তাহলে তো জমাই দেওয়া যাবে না। এ গড়িমসির কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি।’
শুক্রবার বিকেলে নির্বাচন ভবনের অস্থায়ী এজলাসে সিইসি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে শুনানি হয়। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
দ্বিতীয় দিনে ৭৮ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন, ৬৫টি আপিল খারিজ হয়ে যায়; ঝুলে আছে ৭টি।
৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ শেষে ৩০ ডিসেম্বর হবে ভোট গ্রহণ।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:২৪

নির্বাচনে অংশ নিতে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পরও রায়ের সার্টিফায়েড কপি না পাওয়ায় বিক্ষোভ করেছেন প্রার্থীরা।
শুক্রবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে বৈধ প্রার্থীরা বিক্ষোভ-হট্টগোল করেন। তারা ইসির আইন শাখায় যোগাযোগ করে রায়ের সার্টিফায়েড কপি সংগ্রহের চেষ্টা করলেও সেগুলো কবে দেওয়া হবে, তা জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন।
প্রার্থীদের দাবি, তাদের আপিলের পর শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সার্টিফায়েড কপি না দেওয়ায় দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন না পাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শুনানি শুরুর আগের দিন মঙ্গলবার রাতে ইসির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, ‘শুনানির পরপরই আমরা রায়ে সার্টিফায়েড কপি দিয়ে দেব।’ কিন্তু ভুক্তভোগীরা বলছেন, সচিবের বক্তব্যের পরও তাদের ভোগান্তিতে ফেলা হয়েছে।
তফসিলের আগেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলাকে কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। কিন্তু সেই অ্যাকাউন্টে অন্য কোনো লেনদেন না করায় আপিলে তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয় ইসি। তবে সার্টিফায়েড কপি পাননি তিনি।
ইসিতে প্রার্থীর ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি এম হামেশ রাজু দুদিন ধরে ঘোরাঘুরি করছেন। এরপরও রায়ের সার্টিফায়েড কপি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আপিলে বৈধতা পেয়েছি। কিন্তু রায়ের সার্টিফায়েড কপি না দেওয়ার কারণে আমরা শঙ্কায় আছি। কেননা এটা পার্টি অফিসে না দিতে পারলে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাব না।’
জাতীয় পার্টির মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম মিন্টু। তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছিল হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায়। তিনি বলেন, ‘ইসি শুনানি করে মনোনয়নপত্র ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সকালে বলল সার্টিফায়েড কপি নামাজের পর দেবে; নামাজের পর বলল বিকেলে দেবে। এখন বলছে যার যার জেলা-উপজেলা থেকে সংগ্রহ করতে। সময় আছে মাত্র দুদিন। এ সময়ের মধ্যে এলাকায় গিয়ে সংগ্রহ করে আবার ঢাকায় পার্টি অফিসে জমা দিতে হবে।’
নড়াইল-২ আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) প্রার্থী ফকির শওকত আলী বলেন, ‘যদি কোনো কারণে স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে দেরি হয়, তাহলে তো জমাই দেওয়া যাবে না। এ গড়িমসির কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি।’
শুক্রবার বিকেলে নির্বাচন ভবনের অস্থায়ী এজলাসে সিইসি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে শুনানি হয়। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
দ্বিতীয় দিনে ৭৮ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন, ৬৫টি আপিল খারিজ হয়ে যায়; ঝুলে আছে ৭টি।
৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ শেষে ৩০ ডিসেম্বর হবে ভোট গ্রহণ।