খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা প্রশ্নে সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:৫৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রার্থিতা ফিরে পাবেন কি না, সেই প্রশ্নে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত জানা যাবে মঙ্গলবার। তিনটি আসনে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদনের শুনানি সোমবার শেষ হয়েছে।
শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহম্মেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নওশাদ জমির ও কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্র্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসির ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রোববার হাইকোর্টে আইনজীবীদের মাধ্যমে রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া যা গতকাল শুনানির জন্য ওঠে।
শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসি বেআইনিভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল। আশা করি তিনি ন্যায়বিচার পাবেন এবং নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।’ অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী খালেদার প্রার্থীতা ফেরতের কোন সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া- ৬ ও ৭ এবং ফেনী- ১ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোননপত্র জমা দেওয়া হয়। যাচাই বাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করা হয়। শনিবার নির্বাচন কমিশন ভবনে শুনানি শেষে সংখ্যাগরিষ্ট মতামতের ভিত্তিকে তার আপিল খারিজ করে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ৪ জন কমিশনার। তবে, অপর নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার তার প্রার্থীতা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:৫৪

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রার্থিতা ফিরে পাবেন কি না, সেই প্রশ্নে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত জানা যাবে মঙ্গলবার। তিনটি আসনে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদনের শুনানি সোমবার শেষ হয়েছে।
শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহম্মেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নওশাদ জমির ও কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্র্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসির ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রোববার হাইকোর্টে আইনজীবীদের মাধ্যমে রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া যা গতকাল শুনানির জন্য ওঠে।
শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসি বেআইনিভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল। আশা করি তিনি ন্যায়বিচার পাবেন এবং নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।’ অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী খালেদার প্রার্থীতা ফেরতের কোন সুযোগ নেই। প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া- ৬ ও ৭ এবং ফেনী- ১ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোননপত্র জমা দেওয়া হয়। যাচাই বাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করা হয়। শনিবার নির্বাচন কমিশন ভবনে শুনানি শেষে সংখ্যাগরিষ্ট মতামতের ভিত্তিকে তার আপিল খারিজ করে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ৪ জন কমিশনার। তবে, অপর নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার তার প্রার্থীতা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।