নোয়াখালীতে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিতে যুবলীগ নেতা হত্যা
নোয়াখালি প্রতিবেদক | ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:৩১
নোয়াখালী সদরে এক যুবলীগ নেতাকে মাথা থেঁতলে ও গুলিতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে । মঙ্গলবার সদরের এওজবালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচার শুরু হয় মঙ্গলবার। এদিন গুলিতে একজন নিহতের খবর পাওয়া গেল। নিহত মো. হানিফ (২৪) এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নুরু পাটোয়ারী হাটে বিএনপি একটি বৈঠক করে। বৈঠক শেষে তারা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন হানিফ ও আরেক জন। সে সময় বিএনপির মিছিলকারীরা প্রথমে হানিফের ওপর মরিচের গুঁড়া ছিটায়। পরে ইট দিয়ে তার মাথা থেঁতলে শটগান দিয়ে গুলি করে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিজ জানান, হানিফকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার মাথা থেঁতলানো ও শরীরের বিভিন্ন স্থালে ছররা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিহাব উদ্দিন শাহীনের ভাষ্য, বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা এওজবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে হত্যার চেষ্টা করেছে। এতে ব্যর্থ হয়ে হানিফকে হত্যা করেছে।
তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। আওয়ামী লীগ নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির ওপর দোষ চাপাতে চাচ্ছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নোয়াখালি প্রতিবেদক | ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:৩১

নোয়াখালী সদরে এক যুবলীগ নেতাকে মাথা থেঁতলে ও গুলিতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে । মঙ্গলবার সদরের এওজবালিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচার শুরু হয় মঙ্গলবার। এদিন গুলিতে একজন নিহতের খবর পাওয়া গেল। নিহত মো. হানিফ (২৪) এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নুরু পাটোয়ারী হাটে বিএনপি একটি বৈঠক করে। বৈঠক শেষে তারা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন হানিফ ও আরেক জন। সে সময় বিএনপির মিছিলকারীরা প্রথমে হানিফের ওপর মরিচের গুঁড়া ছিটায়। পরে ইট দিয়ে তার মাথা থেঁতলে শটগান দিয়ে গুলি করে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিজ জানান, হানিফকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার মাথা থেঁতলানো ও শরীরের বিভিন্ন স্থালে ছররা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিহাব উদ্দিন শাহীনের ভাষ্য, বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা এওজবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে হত্যার চেষ্টা করেছে। এতে ব্যর্থ হয়ে হানিফকে হত্যা করেছে। তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। আওয়ামী লীগ নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির ওপর দোষ চাপাতে চাচ্ছে।