ভোটের মাঠে চাচা-ভাতিজার লড়াই
রংপুর প্রতিনিধি | ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:৩৮
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে রংপুর-২ (বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক ও জাতীয় পাটির আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাবলু। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা। ভোটের মাঠে চাচা-ভাতিজার লড়াই এখানকার ভোটারদের মাঝে বাড়তি উত্তেজনার তৈরি করেছে।
প্রসঙ্গত, সাবলু চৌধুরীর চাচাতো ভাই প্রয়াত আব্দুল মমিন চৌধুরীর ছেলে হলেন ডিউক চৌধুরী। সাবলু ও ডিউকসহ একাদশ জাতীয় নির্বাচনে রংপুর-২ আসনে ১০ জন প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ।
২০১৪ সালের নির্বাচনে এরশাদের নির্দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাবলু। ফলে ওই আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তখন নির্বাচিত হন ডিউক চৌধুরী।
এবার মহাজোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে চলছিল টানটান উত্তেজনা। কে কাকে এ আসনটি ছাড় দিচ্ছে এ নিয়ে জল্পনার কমতি ছিল না। শেষ পর্যন্ত সমঝোতা না হওয়ায় উন্মুক্ত হয়ে যায় এ আসনটি। ফলে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে ডিউক ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়বেন সাবলু।
এই আসনে নির্বাচনে মাঠে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকার। সাবেক এমপি আনিছুর রহমান মন্ডল এবার সিংহ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকে আশরাফ আলী, মশাল প্রতীকে জাসদের কুমারেশ চন্দ্র রায়, কুলা প্রতীকে বিকল্পধারার হারুন অর রশিদ, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির আশরাফ-উজ-জামান, টেলিভিশন প্রতীকে বিএনএফের জিল্লুর রহমান এবং এনপিপির ওয়াসিম আহমেদ দলীয় প্রতীক আম নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এবারের নির্বাচনে রংপুর-২ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার ৭৬৬ জন।
নির্বাচনে চাচা-ভাতিজার লড়াইয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টুটুল চৌধুরী বলেন, "নির্বাচনী মাঠে পিতা-পুত্রের মধ্যে ভোটযুদ্ধ হচ্ছে। সেখানে চাচা-ভাতিজা কোনো বিষয় নয়। জয় নৌকারই হবে"।
অন্যদিকে বদরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক বলেন, বরাবরের মতো এবারও রংপুরের মানুষ জাতীয় পার্টিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
রংপুর প্রতিনিধি | ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:৩৮

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে রংপুর-২ (বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক ও জাতীয় পাটির আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাবলু। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা। ভোটের মাঠে চাচা-ভাতিজার লড়াই এখানকার ভোটারদের মাঝে বাড়তি উত্তেজনার তৈরি করেছে।
প্রসঙ্গত, সাবলু চৌধুরীর চাচাতো ভাই প্রয়াত আব্দুল মমিন চৌধুরীর ছেলে হলেন ডিউক চৌধুরী। সাবলু ও ডিউকসহ একাদশ জাতীয় নির্বাচনে রংপুর-২ আসনে ১০ জন প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ।
২০১৪ সালের নির্বাচনে এরশাদের নির্দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাবলু। ফলে ওই আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তখন নির্বাচিত হন ডিউক চৌধুরী।
এবার মহাজোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে চলছিল টানটান উত্তেজনা। কে কাকে এ আসনটি ছাড় দিচ্ছে এ নিয়ে জল্পনার কমতি ছিল না। শেষ পর্যন্ত সমঝোতা না হওয়ায় উন্মুক্ত হয়ে যায় এ আসনটি। ফলে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে ডিউক ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়বেন সাবলু।
এই আসনে নির্বাচনে মাঠে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকার। সাবেক এমপি আনিছুর রহমান মন্ডল এবার সিংহ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকে আশরাফ আলী, মশাল প্রতীকে জাসদের কুমারেশ চন্দ্র রায়, কুলা প্রতীকে বিকল্পধারার হারুন অর রশিদ, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির আশরাফ-উজ-জামান, টেলিভিশন প্রতীকে বিএনএফের জিল্লুর রহমান এবং এনপিপির ওয়াসিম আহমেদ দলীয় প্রতীক আম নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এবারের নির্বাচনে রংপুর-২ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার ৭৬৬ জন।
নির্বাচনে চাচা-ভাতিজার লড়াইয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টুটুল চৌধুরী বলেন, "নির্বাচনী মাঠে পিতা-পুত্রের মধ্যে ভোটযুদ্ধ হচ্ছে। সেখানে চাচা-ভাতিজা কোনো বিষয় নয়। জয় নৌকারই হবে"।
অন্যদিকে বদরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক বলেন, বরাবরের মতো এবারও রংপুরের মানুষ জাতীয় পার্টিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।