নির্বাচন নিয়ে কথা কাটাকাটি তারপর পিটিয়ে খুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:৩১
ফরিদপুরে কথা কাটাকাটির জেরে বিএনপি সমর্থকদের হামলায় আহত আওয়ামী লীগ কর্মী লালন ফকির। ছবি: দেশ রূপান্তর
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের প্রচারের দ্বিতীয় দিনে প্রাণ ঝরল ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে। নির্বাচন নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে বিএনপি সমর্থকরা পিটিয়ে হত্যা করল আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে। নিহত ইউসুফ আল মামুন (৪০) আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও এলজিআরডিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশররাফ হোসেনের কর্মী বলে জানা গেছে।
তিনি সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার সময় ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গি এলাকায় একটি চায়ের দোকানে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আফসার উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে আটটার সময় নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গা এলাকার একটি চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির সমর্থক মজিদ ও আজিজের নির্বাচন প্রসঙ্গে কথাকটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইউসুফকে উপর্যপুরি কিলঘুষি মারতে থাকে তারা। পরে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকলে তিনি মাটিতে পড়ে যান।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৱসকরা ইউসুফ আল মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লালন ফকির আহত হলে তাকে সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা অভিযোগ করেছে, হামলাকারীরা বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সমর্থক। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে অশান্ত করার জন্যই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি জমিরউদ্দিন হাজি এ বিষয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ থেকে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এটি কোনো পরিকল্পিত ঘটনা নয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সমর্থকদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এলজিআরডিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানাও ওসি এএফএম নাছিম বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পরে বলা যাবে কি ঘটেছে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:৩১

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের প্রচারের দ্বিতীয় দিনে প্রাণ ঝরল ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে। নির্বাচন নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে বিএনপি সমর্থকরা পিটিয়ে হত্যা করল আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে। নিহত ইউসুফ আল মামুন (৪০) আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও এলজিআরডিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশররাফ হোসেনের কর্মী বলে জানা গেছে।
তিনি সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার সময় ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গি এলাকায় একটি চায়ের দোকানে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আফসার উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে আটটার সময় নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গা এলাকার একটি চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির সমর্থক মজিদ ও আজিজের নির্বাচন প্রসঙ্গে কথাকটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইউসুফকে উপর্যপুরি কিলঘুষি মারতে থাকে তারা। পরে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকলে তিনি মাটিতে পড়ে যান।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৱসকরা ইউসুফ আল মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লালন ফকির আহত হলে তাকে সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা অভিযোগ করেছে, হামলাকারীরা বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সমর্থক। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে অশান্ত করার জন্যই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি জমিরউদ্দিন হাজি এ বিষয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ থেকে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এটি কোনো পরিকল্পিত ঘটনা নয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সমর্থকদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এলজিআরডিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানাও ওসি এএফএম নাছিম বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পরে বলা যাবে কি ঘটেছে।