টাঙ্গাইলের নির্বাচনে সিদ্দিকী পরিবার
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:১৭
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের সিদ্দিকী পরিবারের তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল সদর আসন থেকে মুরাদ সিদ্দিকী ও কালিহাতী আসন থেকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এবং অপরজন (বাসাইল- সখীপুর) আসন থেকে ঐক্যফ্রন্টের হয়ে কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে ব্যারিস্টার কুঁড়ি সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার রাতে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও কাদের সিদ্দিকী আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। তাদের নিয়ে ভোটাররা অঙ্ক মিলাতে শুরু করেছেন। নির্বাচনী এলাকায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী মঙ্গলবার নাগরিক কমিটির ব্যানারে আয়োজিত কর্মীসভায় বলেন, আপনাদের কি বিশ্বাস হয় আমি হজ্ব নিয়ে কোন বিরূপ মন্তব্য করতে পারি?- এটা ছিল একটা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার। আপনারা কালিহাতীর মানুষ আমাকে নির্বাচিত করলে জনসেবা ও আবার আ’লীগে আশ্রয় পেতে পারি। আমি আবারও আপনাদের সেবা করার সুযোগ চাই, ট্রাক মার্কায় আপনাদের ভোট চাই। কালিহাতী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য লয়লা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ওই কর্মীসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কালিহাতী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ তোতা প্রমুখ।
অপরদিকে একই দিন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকীর নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে বলেন- বাংলাদেশের মুক্তির মার্কা ছিল নৌকা কিন্তু এখন সেই নৌকা তলিয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশের মুক্তির মার্কা হচ্ছে ধানের শীষ।
বাসাইল উপজেলার কাউলজানী বোর্ড বাজারে আয়োজিত পথসভায় তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, খালেদা জিয়াকে জেল খানায় রাখছো আবার পরিত্যক্ত জেলে। জানুয়ারির ১ তারিখ অথবা ২ তারিখ আমি গিয়ে তালা খুলে খালেদা জিয়াকে বের করে আনবো।
তিনি আরও বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধের জন্য দেশ স্বাধীন করতে পারি, বঙ্গবন্ধুর জন্য আমি যৌবন ঝরাতে পারি কিন্তু তার কন্যা আমাকে ভোটে দাঁড়াতে দেবে না। সে জন্যই আমরা ধানের শীষকে জাতীয় মার্কা বানিয়েছি।
তিনি বলেন, ৩০ তারিখের ভোট খুবই গুরুত্বপুর্ণ দেশের জন্য, দেশ বিনির্মাণের জন্য। অবৈধ সরকারকে আজকে সরানোর জন্য সব চেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে ধানেরশীষ।
টাঙ্গাইল জেলা রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতীক বরাদ্দ শেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের আটটি আসনে মোট ৫২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই সকল প্রার্থীই নেমে পড়েছেন প্রচার-প্রচারণায়।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:১৭

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের সিদ্দিকী পরিবারের তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল সদর আসন থেকে মুরাদ সিদ্দিকী ও কালিহাতী আসন থেকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এবং অপরজন (বাসাইল- সখীপুর) আসন থেকে ঐক্যফ্রন্টের হয়ে কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে ব্যারিস্টার কুঁড়ি সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার রাতে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও কাদের সিদ্দিকী আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। তাদের নিয়ে ভোটাররা অঙ্ক মিলাতে শুরু করেছেন। নির্বাচনী এলাকায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী মঙ্গলবার নাগরিক কমিটির ব্যানারে আয়োজিত কর্মীসভায় বলেন, আপনাদের কি বিশ্বাস হয় আমি হজ্ব নিয়ে কোন বিরূপ মন্তব্য করতে পারি?- এটা ছিল একটা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার। আপনারা কালিহাতীর মানুষ আমাকে নির্বাচিত করলে জনসেবা ও আবার আ’লীগে আশ্রয় পেতে পারি। আমি আবারও আপনাদের সেবা করার সুযোগ চাই, ট্রাক মার্কায় আপনাদের ভোট চাই। কালিহাতী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য লয়লা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ওই কর্মীসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কালিহাতী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ তোতা প্রমুখ।
অপরদিকে একই দিন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকীর নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে বলেন- বাংলাদেশের মুক্তির মার্কা ছিল নৌকা কিন্তু এখন সেই নৌকা তলিয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশের মুক্তির মার্কা হচ্ছে ধানের শীষ।
বাসাইল উপজেলার কাউলজানী বোর্ড বাজারে আয়োজিত পথসভায় তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, খালেদা জিয়াকে জেল খানায় রাখছো আবার পরিত্যক্ত জেলে। জানুয়ারির ১ তারিখ অথবা ২ তারিখ আমি গিয়ে তালা খুলে খালেদা জিয়াকে বের করে আনবো।
তিনি আরও বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধের জন্য দেশ স্বাধীন করতে পারি, বঙ্গবন্ধুর জন্য আমি যৌবন ঝরাতে পারি কিন্তু তার কন্যা আমাকে ভোটে দাঁড়াতে দেবে না। সে জন্যই আমরা ধানের শীষকে জাতীয় মার্কা বানিয়েছি।
তিনি বলেন, ৩০ তারিখের ভোট খুবই গুরুত্বপুর্ণ দেশের জন্য, দেশ বিনির্মাণের জন্য। অবৈধ সরকারকে আজকে সরানোর জন্য সব চেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে ধানেরশীষ।
টাঙ্গাইল জেলা রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতীক বরাদ্দ শেষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের আটটি আসনে মোট ৫২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই সকল প্রার্থীই নেমে পড়েছেন প্রচার-প্রচারণায়।