ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:১৮
গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা
দেশ সেবার সুযোগ এবং উন্নয়নের ধারবাহিকতা রক্ষায় বুধবার নির্বাচনী প্রচারের শুরুর দিনে নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বাসসের খবরে বলা হয়, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় শেখ হাসিনা আসন্ন নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধী, জাতির পিতার খুনী এবং অগ্নিসন্ত্রাসীদের নির্বাচনী জোটের বিরুদ্ধে নৌকাকে বিজয়ী করে তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।
তিনি দেশবাসীর সাহায্য ও দোয়া কামনা করে বলেন, ‘আমি নৌকা মার্কায় যাকেই, যেখানে প্রার্থী করেছি তাদের সবাইকে ভোট দেওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর কাছে আহবান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যারা ঐ মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, যাদের সাজা হয়েছে তাদের দোসরকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছে। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী- স্বাধীনতার শক্র, গণহত্যা পরিচালনাকারী, অগ্নি সন্ত্রাসকারী- তাদের নিয়ে আজকে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে তাদের উপযুক্ত জবাব আপনাদের দিতে হবে, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে।’
শেখ হাসিনা বলেন, তাই কোটালিপাড়াবাসীর মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসীকে আমি আহবান জানাব ‘আমরা যেখানে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব সেই সময় যেন ঐ যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী, খুনী, রাজাকার এবং যারা অগ্নিসন্ত্রাসকারী তারা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। তাহলে তারা দেশকে ধ্বংস করে দেবে। মুক্তযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দেবে।’
তিনি আশংকা ব্যক্ত করে বলেন, ‘বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এলে আবার এদেশ ক্ষুধার্ত হবে, অশিক্ষিত হবে, মানুষের ভাগ্য বিপর্যয় ঘটবে।’
কোটালীপাড়ায় অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার প্রথম নির্বাচনী বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাও তার সঙ্গে ছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ জয়ধরের সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বিএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, এসএম কামাল হোসেন অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।
এছাড়াও চলচ্চিত্রাভিনেতা রিয়াজ এবং ফেরদৌস এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রার্থী বক্তৃতা করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী দুপুরে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে তার এবং দলের নির্বাচনী প্রচারভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে আগামী নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যায়িত করে বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। জাতির পিতার খুনীদের বিচার করেছি। বাংলাদেশ আজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে, মুক্তযুদ্ধের সেই চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই যে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় তা আজকে আবার প্রমাণ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়ে আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন, বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছেন, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ আজকে বাস্তব, আজকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, আজ বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য চিত্র তুলে ধরে বলেন, তার সরকারের প্রতিটি কাজ জনকল্যাণের জন্য নিবেদিত। আর একটি শিক্ষিত জাতি পারে একটি দেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে, সেজন্য শিক্ষাকে তার সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। সেইসঙ্গে সরকার দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার নিমিত্তে কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে।
তিনি বলেন, তার সরকার চায় বাংলাদেশে আর কেউ গরিব থাকবে না, বাংলাদেশ আর কখনও হাত পেতে চলবে না, যে কারণে তার সরকার নিজস্ব অর্থায়নে প্রণীত বাজেট ৭ গুণ বৃদ্ধি করে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আজ ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারে। আজকে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। যে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছিলাম, খালেদা জিয়া সেটা বন্ধ করে দিয়েছিল। দেশকে আমি নিরক্ষরতামুক্ত করতে চেয়েছিলাম। সেই প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছিল বিএনপি।
বিদ্যুতের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে।
এ সময় বিএনপি-জামাতের নির্বাচন বানচালের জন্য ২০১৪ এবং ১৫ সালের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যের তীব্র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন এটা কি ধরনের রাজনীতি।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আমার মা-বাবাসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এমনকি তাদের বিচার যাতে না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশও জারি করা হয়। খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে থানায় গিয়ে মামলা পর্যন্ত করতে পারিনি। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, পরে ওই ইনডেমনিটি আদেশ বাতিল করে জাতির পিতার খুনিদের বিচার করা হয়। আমরা যুদ্ধাপরাধের বিচার করেছি এবং করছি। অনেকের বিচারের রায়ও কার্যকর হয়েছে।
দেশবাপী ৩শ’ আসনের প্রতিই তাঁর খেয়াল রাখতে হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হয় যে কারণে অন্য প্রার্থীদের মত নিজের নির্বাচনী এলাকায় তিনি সময় দিতে পারেন না। তাই টুঙ্গীপাড়া এবং কোটালীপাড়ার জনগণ তার এই নির্বাচনী এলাকার দায়িত্ব গ্রহণ করায় তিনি এ সময় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বিদায় বেলায় কবির ভাষায় উচ্চারণ করেন ‘নিঃস্ব আমি, রিক্ত আমি, দেবার কিছু নাই, আছে কেবল ভালবাসা দিয়ে গেলাম তাই।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২১:১৮

দেশ সেবার সুযোগ এবং উন্নয়নের ধারবাহিকতা রক্ষায় বুধবার নির্বাচনী প্রচারের শুরুর দিনে নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বাসসের খবরে বলা হয়, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান ডিগ্রী কলেজ মাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় শেখ হাসিনা আসন্ন নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধী, জাতির পিতার খুনী এবং অগ্নিসন্ত্রাসীদের নির্বাচনী জোটের বিরুদ্ধে নৌকাকে বিজয়ী করে তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।
তিনি দেশবাসীর সাহায্য ও দোয়া কামনা করে বলেন, ‘আমি নৌকা মার্কায় যাকেই, যেখানে প্রার্থী করেছি তাদের সবাইকে ভোট দেওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর কাছে আহবান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যারা ঐ মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, যাদের সাজা হয়েছে তাদের দোসরকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছে। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী- স্বাধীনতার শক্র, গণহত্যা পরিচালনাকারী, অগ্নি সন্ত্রাসকারী- তাদের নিয়ে আজকে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে তাদের উপযুক্ত জবাব আপনাদের দিতে হবে, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে।’
শেখ হাসিনা বলেন, তাই কোটালিপাড়াবাসীর মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসীকে আমি আহবান জানাব ‘আমরা যেখানে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব সেই সময় যেন ঐ যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী, খুনী, রাজাকার এবং যারা অগ্নিসন্ত্রাসকারী তারা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। তাহলে তারা দেশকে ধ্বংস করে দেবে। মুক্তযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দেবে।’
তিনি আশংকা ব্যক্ত করে বলেন, ‘বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এলে আবার এদেশ ক্ষুধার্ত হবে, অশিক্ষিত হবে, মানুষের ভাগ্য বিপর্যয় ঘটবে।’
কোটালীপাড়ায় অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার প্রথম নির্বাচনী বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাও তার সঙ্গে ছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ জয়ধরের সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বিএম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, এসএম কামাল হোসেন অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।
এছাড়াও চলচ্চিত্রাভিনেতা রিয়াজ এবং ফেরদৌস এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রার্থী বক্তৃতা করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী দুপুরে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে তার এবং দলের নির্বাচনী প্রচারভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে আগামী নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যায়িত করে বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। জাতির পিতার খুনীদের বিচার করেছি। বাংলাদেশ আজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে, মুক্তযুদ্ধের সেই চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই যে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় তা আজকে আবার প্রমাণ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়ে আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন, বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছেন, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ আজকে বাস্তব, আজকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, আজ বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য চিত্র তুলে ধরে বলেন, তার সরকারের প্রতিটি কাজ জনকল্যাণের জন্য নিবেদিত। আর একটি শিক্ষিত জাতি পারে একটি দেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে, সেজন্য শিক্ষাকে তার সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। সেইসঙ্গে সরকার দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার নিমিত্তে কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে।
তিনি বলেন, তার সরকার চায় বাংলাদেশে আর কেউ গরিব থাকবে না, বাংলাদেশ আর কখনও হাত পেতে চলবে না, যে কারণে তার সরকার নিজস্ব অর্থায়নে প্রণীত বাজেট ৭ গুণ বৃদ্ধি করে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে আজ ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারে। আজকে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। যে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছিলাম, খালেদা জিয়া সেটা বন্ধ করে দিয়েছিল। দেশকে আমি নিরক্ষরতামুক্ত করতে চেয়েছিলাম। সেই প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছিল বিএনপি।
বিদ্যুতের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে।
এ সময় বিএনপি-জামাতের নির্বাচন বানচালের জন্য ২০১৪ এবং ১৫ সালের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যের তীব্র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন এটা কি ধরনের রাজনীতি।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আমার মা-বাবাসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এমনকি তাদের বিচার যাতে না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশও জারি করা হয়। খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে থানায় গিয়ে মামলা পর্যন্ত করতে পারিনি। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, পরে ওই ইনডেমনিটি আদেশ বাতিল করে জাতির পিতার খুনিদের বিচার করা হয়। আমরা যুদ্ধাপরাধের বিচার করেছি এবং করছি। অনেকের বিচারের রায়ও কার্যকর হয়েছে।
দেশবাপী ৩শ’ আসনের প্রতিই তাঁর খেয়াল রাখতে হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হয় যে কারণে অন্য প্রার্থীদের মত নিজের নির্বাচনী এলাকায় তিনি সময় দিতে পারেন না। তাই টুঙ্গীপাড়া এবং কোটালীপাড়ার জনগণ তার এই নির্বাচনী এলাকার দায়িত্ব গ্রহণ করায় তিনি এ সময় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বিদায় বেলায় কবির ভাষায় উচ্চারণ করেন ‘নিঃস্ব আমি, রিক্ত আমি, দেবার কিছু নাই, আছে কেবল ভালবাসা দিয়ে গেলাম তাই।’