খালেদা জিয়া বাঁশি বাজালে উড়ে যাবে শাসকগোষ্ঠী : ফখরুল
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:৫৩
বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে শুক্রবার নির্বাচনী কর্মিসভায় বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল। ছবি: দেশ রূপান্তর
খালেদা জিয়া বাঁশি বাজালে শাসকগোষ্ঠী উড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নিজের গাড়িবহরে হামলা বিষয়ে তিনি বলেন, আমার গাড়িবহরে যারা হামলা করলো উল্টো তারাই আমাদের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করলো বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
দেশ রূপান্তর জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর থেকে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও ও বগুড়ায় নির্বাচনী সভায় মির্জা ফখরুল এসব বলেন। ঠাকুরগাঁওয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দিনের নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করে শুক্রবার মির্জা ফখরুল বগুড়া যান।
বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ে তিনদিনের নির্বাচনীয় প্রচারণা শেষে প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ক্ষমতায় থাকার জন্য ডিজিটাল ফর্মুলা বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগুনবাড়ি দানারহাট এলাকায় আমার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। কিন্তু যারাই হামলা করলো, আবার তারাই মামলা করলো।
এ সময় দলীয় কর্মীদের উসকানিতে পা না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে হামলার ঘটনায় জেলা রিটার্নিং অফিসারকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিবের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ৫৭ বিএনপি’র নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় আইন শৃঙ্খলবাহিনী একজনকে আটকও করেছে। মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা সাজানো ও নির্বাচনী কৌশল বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্বাচন বানচালের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। নির্বাচন কমিশন কথা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ইসি ভোটের আগে নতুন মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার কথা দিয়েছিলেন। সংলাপে প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছিলেন আর কোনো মামলা, গ্রেপ্তার করা হবে না। কিন্তু পত্রিকা ও টিভিতে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, তা বাস্তবায়ন হয়নি।
বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে শুক্রবার নির্বাচনী কর্মিসভায় মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট থেকে তার জামিন হওয়ার পরও এই সরকার সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে আটকে রেখেছে। কারণ তারা জানে তিনি যদি বের হন, আর যদি তার সেই বাঁশি বাজান তাহলে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ তার পেছনে ছুটে গিয়ে এই নমরুদ-ফেরাউনদের মসনদকে উড়িয়ে দেবে।
দলের মহাসচিব ও বগুড়া-৬ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৩০ তারিখে যে নির্বাচন আসছে সেই নির্বাচনে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। ৩০ তারিখের পরে নির্ধারিত হবে আমরা কি স্বাধীন থাকব, না পরাধীন হয়ে যাবো; আমরা কি গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পারবো না স্বৈরতন্ত্রান্ত্রিক একদলীয় শাসনের অধীনে চলে যাবে; আমার অধিকার আমি ফিরে পাবে না পাব না।
দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার বুঝে গেছে নির্বাচনে তারা জয়লাভ করতে পারবে না। সেই জন্য তারা নির্বাচন বানচাল করতে হুমকি-ধমকি ও হামলা করছে।
কর্মীসভা শেষে বিকেল থেকে মির্জা নজরুল তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বগুড়া শহর ও শহরতলির বিভিন্ন পয়েন্টে পথসভা করেন মির্জা ফখরুল।
শেয়ার করুন
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:৫৩

খালেদা জিয়া বাঁশি বাজালে শাসকগোষ্ঠী উড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নিজের গাড়িবহরে হামলা বিষয়ে তিনি বলেন, আমার গাড়িবহরে যারা হামলা করলো উল্টো তারাই আমাদের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করলো বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
দেশ রূপান্তর জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর থেকে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও ও বগুড়ায় নির্বাচনী সভায় মির্জা ফখরুল এসব বলেন। ঠাকুরগাঁওয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দিনের নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করে শুক্রবার মির্জা ফখরুল বগুড়া যান।
বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ে তিনদিনের নির্বাচনীয় প্রচারণা শেষে প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ক্ষমতায় থাকার জন্য ডিজিটাল ফর্মুলা বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগুনবাড়ি দানারহাট এলাকায় আমার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। কিন্তু যারাই হামলা করলো, আবার তারাই মামলা করলো।
এ সময় দলীয় কর্মীদের উসকানিতে পা না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে হামলার ঘটনায় জেলা রিটার্নিং অফিসারকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিবের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ৫৭ বিএনপি’র নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় আইন শৃঙ্খলবাহিনী একজনকে আটকও করেছে। মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা সাজানো ও নির্বাচনী কৌশল বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্বাচন বানচালের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। নির্বাচন কমিশন কথা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ইসি ভোটের আগে নতুন মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার কথা দিয়েছিলেন। সংলাপে প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছিলেন আর কোনো মামলা, গ্রেপ্তার করা হবে না। কিন্তু পত্রিকা ও টিভিতে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, তা বাস্তবায়ন হয়নি।
বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে শুক্রবার নির্বাচনী কর্মিসভায় মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট থেকে তার জামিন হওয়ার পরও এই সরকার সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে আটকে রেখেছে। কারণ তারা জানে তিনি যদি বের হন, আর যদি তার সেই বাঁশি বাজান তাহলে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ তার পেছনে ছুটে গিয়ে এই নমরুদ-ফেরাউনদের মসনদকে উড়িয়ে দেবে।
দলের মহাসচিব ও বগুড়া-৬ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৩০ তারিখে যে নির্বাচন আসছে সেই নির্বাচনে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। ৩০ তারিখের পরে নির্ধারিত হবে আমরা কি স্বাধীন থাকব, না পরাধীন হয়ে যাবো; আমরা কি গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পারবো না স্বৈরতন্ত্রান্ত্রিক একদলীয় শাসনের অধীনে চলে যাবে; আমার অধিকার আমি ফিরে পাবে না পাব না।
দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার বুঝে গেছে নির্বাচনে তারা জয়লাভ করতে পারবে না। সেই জন্য তারা নির্বাচন বানচাল করতে হুমকি-ধমকি ও হামলা করছে।
কর্মীসভা শেষে বিকেল থেকে মির্জা নজরুল তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বগুড়া শহর ও শহরতলির বিভিন্ন পয়েন্টে পথসভা করেন মির্জা ফখরুল।