সংস্কারপন্থীদের প্রস্তাব ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে
রেজাউল করিম লাবলু | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:১৫
জরুরি অবস্থার (ওয়ান-ইলেভেন) সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র কয়েকজন শীর্ষ নেতার করা সংস্কার প্রস্তাবের আলোকে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
এ বিষয়ে ফ্রন্টের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও গণফোরামের যুগ্ম সম্পাদক শফিক উল্লাহ দেশ রূপান্তরকে বলেন, "রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনার জন্য তখন সংস্কার প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তার কিছু বিষয় ফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে।"
তবে এখনো ইশতেহার চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার খসড়া তৈরি করে ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির কাছে পাঠানো হবে। তারা কাটছাঁট করে যা চূড়ান্ত করবেন তা বই আকারে প্রস্তুত করা হবে।
ইশতেহার বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসলে বেকারদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা করবে। চাকরি না দেওয়া পর্যন্ত বেকারদের বেকারভাতা দেওয়া হবে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় আসতে পারলে দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে। দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, দলের মধ্যে প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চা করাসহ রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনার জন্য যা যা দরকার তার সবকিছুই থাকবে ইশতেহারে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আমূল পরিবর্তন আনা হবে। ওষুধের দাম শতকরা ৩০ ভাগ কমানো হবে। বিভিন্ন মেডিকেল টেস্টের খরচ কমানো হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হবে। বেকার ভাতা দেওয়া হবে।
ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে বিএনপির মহাসচিব ছিলেন আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া। তিনি গুলশানে তার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন। এতে বলা হয়েছিল, দলে কেউ দুইবারের বেশি চেয়ারম্যান হতে পারবেন না। দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। দলের মধ্যে প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে।
ইতিমধ্যেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ১১টি লক্ষ্যের কথা প্রকাশ করেছে। এর শুরুতেই আছে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক নির্বাহী ক্ষমতার অবসান কল্পে সংসদ ও সরকার গঠনে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনয়নসহ প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ করা। এছাড়া সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের যুগোপযোগী সংশোধন করা। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা নিশ্চিত করা এবং স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা প্রণয়ন ও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
রেজাউল করিম লাবলু | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২২:১৫
জরুরি অবস্থার (ওয়ান-ইলেভেন) সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র কয়েকজন শীর্ষ নেতার করা সংস্কার প্রস্তাবের আলোকে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
এ বিষয়ে ফ্রন্টের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও গণফোরামের যুগ্ম সম্পাদক শফিক উল্লাহ দেশ রূপান্তরকে বলেন, "রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনার জন্য তখন সংস্কার প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তার কিছু বিষয় ফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে।"
তবে এখনো ইশতেহার চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার খসড়া তৈরি করে ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির কাছে পাঠানো হবে। তারা কাটছাঁট করে যা চূড়ান্ত করবেন তা বই আকারে প্রস্তুত করা হবে।
ইশতেহার বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসলে বেকারদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা করবে। চাকরি না দেওয়া পর্যন্ত বেকারদের বেকারভাতা দেওয়া হবে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় আসতে পারলে দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে। দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, দলের মধ্যে প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চা করাসহ রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনার জন্য যা যা দরকার তার সবকিছুই থাকবে ইশতেহারে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আমূল পরিবর্তন আনা হবে। ওষুধের দাম শতকরা ৩০ ভাগ কমানো হবে। বিভিন্ন মেডিকেল টেস্টের খরচ কমানো হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হবে। বেকার ভাতা দেওয়া হবে।
ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে বিএনপির মহাসচিব ছিলেন আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া। তিনি গুলশানে তার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন। এতে বলা হয়েছিল, দলে কেউ দুইবারের বেশি চেয়ারম্যান হতে পারবেন না। দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। দলের মধ্যে প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে।
ইতিমধ্যেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ১১টি লক্ষ্যের কথা প্রকাশ করেছে। এর শুরুতেই আছে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক নির্বাহী ক্ষমতার অবসান কল্পে সংসদ ও সরকার গঠনে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনয়নসহ প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ করা। এছাড়া সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের যুগোপযোগী সংশোধন করা। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা নিশ্চিত করা এবং স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা প্রণয়ন ও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা।