ভোটকক্ষের ছবি তোলা যাবে, লাইভ নয় : সিইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:০৬
শনিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি। ছবি: ফোকাস বাংলা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকক্ষের ভেতরে ছবি তোলা যাবে, কিন্তু সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। শনিবার বিকালে কমিশন বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আচরণবিধি, কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, পর্যবেক্ষক সাংবাদিকরা কী কার্যক্রম চালাবেন বা সুযোগ-সুবিধা পাবেন তা নিয়ে শনিবার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, আচরণবিধি প্রতিপালন নিয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচার হবে।
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন আনুষ্ঠিত হবে।
সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, পর্যবেক্ষক সাংবাদিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি-ভোটকক্ষের ভেতরে কোনো লাইভ প্রচার করা যাবে না। কেন্দ্রে সীমিত আকারে সাংবাদিকদের যেতে হবে, যাতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অসুবিধা নয় হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য নীমতিমালা আছে, বিদেশীদের জন্যও আলাদা নীতিমালা আছে। সেগুলো মানতে হবে। কেন্দ্রের ভেতর বেশিক্ষণ থাকতে পারবেন না। ভোট কক্ষের ভেতর লাইভ সংবাদ প্রচার করতে পারবে না সাংবাদিকরা তবে কক্ষের বাইরে করতে পারবেন।
সিইসি জানান, যেখানে ভোট পরিচালনা করা হয়, যেখানে প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট বসেন, সেখানে লাইভ করা যাবে না। বারান্দায় এসে লাইভ করা যাবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কাজে যেন ব্যাঘাত না করে, এজন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটকক্ষে যদি ৩০-৪০ জন একসঙ্গে গেলে তো তারা কাজ করতে পারবেন না। প্রিজাইডিং অফিসার বলবেন কতজন যেতে পারবেন। প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ব্যবস্থাপনার ওপর রেসপ্যাক্ট থাকতে হবে। তার কথা মানতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের মোবাইল ব্যবহারে বাধা নেই । ভোটকক্ষের ভেতরে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না।
আচরণবিধি ভঙ্গের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করেছি ১২২টি। তাদের কাছে অভিযোগ করলে ভালো হয়। নির্বাচনের দায়-দায়িত্ব বেশিরভাগ রিটার্নিং কর্মকর্তারা হাতে। এছাড়া নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আছে, তাদের কাছেও অভিযোগ দেওয়া যাবে।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে বলেও মনে করার কথা জানান সিইসি। তিনি বলেন, প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারছে। আমি মনে করি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে।
সশস্ত্রবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে কেএম নূরুল হুদা বলেন, সেনাবাহিনী পরিস্থিতি বিবেচনায় আটক করতে পারবে। তবে তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়নি।
ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
ড. কামালের ওপর আক্রমন ফৌজদারি অপরাধ
ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামালের হোসেনের ওপর হামলা দু:খজনক উল্লেখ করে কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, এটি ফৌজদারি অপরাধ। বিষয়টি তদন্তে ইলেকটরাল ইনকোয়ারি কমিটির কাছে প্রতিবেদন চাইবে ইসি।
সিইসি বলেন, “এটা দুঃখজনক। তিনি একজন সিনিয়র সিটিজেন, প্রখ্যাত ব্যক্তি। তার ওপর হামলা কখনও প্রত্যাশিত নয়। এটা ফৌজদারী অপরাধ হয়েছে। তারা আমাদের কাছে এ নিয়ে আবেদন করেছে। বিষয়টি তদন্তে নির্বাচনী তদন্ত কমিটির কাছে তা পাঠানো হবে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের অহেতুক হয়রানি, গ্রেফতার বন্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও আইজিপিকে ফের চিঠি দেবে ইসি। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানান সিইসি।
তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা নেই তাদেরকে যেনো অহেতুক হয়রানি না করা হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে । আমরা আগামীকাল-পরশুর মধ্যেই আইজিপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেব। আগেও বলেছি নিষ্প্রয়োজনে কাউকে গ্রেফতার না করে। যারা নেতা রয়েছেন, তাদের যদি কোনো ফৌজদারী অপরাধ না থাকে যেন অহেতুক হয়রানি না করে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:০৬

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকক্ষের ভেতরে ছবি তোলা যাবে, কিন্তু সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। শনিবার বিকালে কমিশন বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আচরণবিধি, কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, পর্যবেক্ষক সাংবাদিকরা কী কার্যক্রম চালাবেন বা সুযোগ-সুবিধা পাবেন তা নিয়ে শনিবার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, আচরণবিধি প্রতিপালন নিয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচার হবে।
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন আনুষ্ঠিত হবে।
সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, পর্যবেক্ষক সাংবাদিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি-ভোটকক্ষের ভেতরে কোনো লাইভ প্রচার করা যাবে না। কেন্দ্রে সীমিত আকারে সাংবাদিকদের যেতে হবে, যাতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অসুবিধা নয় হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য নীমতিমালা আছে, বিদেশীদের জন্যও আলাদা নীতিমালা আছে। সেগুলো মানতে হবে। কেন্দ্রের ভেতর বেশিক্ষণ থাকতে পারবেন না। ভোট কক্ষের ভেতর লাইভ সংবাদ প্রচার করতে পারবে না সাংবাদিকরা তবে কক্ষের বাইরে করতে পারবেন।
সিইসি জানান, যেখানে ভোট পরিচালনা করা হয়, যেখানে প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট বসেন, সেখানে লাইভ করা যাবে না। বারান্দায় এসে লাইভ করা যাবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কাজে যেন ব্যাঘাত না করে, এজন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটকক্ষে যদি ৩০-৪০ জন একসঙ্গে গেলে তো তারা কাজ করতে পারবেন না। প্রিজাইডিং অফিসার বলবেন কতজন যেতে পারবেন। প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ব্যবস্থাপনার ওপর রেসপ্যাক্ট থাকতে হবে। তার কথা মানতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের মোবাইল ব্যবহারে বাধা নেই । ভোটকক্ষের ভেতরে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না।
আচরণবিধি ভঙ্গের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করেছি ১২২টি। তাদের কাছে অভিযোগ করলে ভালো হয়। নির্বাচনের দায়-দায়িত্ব বেশিরভাগ রিটার্নিং কর্মকর্তারা হাতে। এছাড়া নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আছে, তাদের কাছেও অভিযোগ দেওয়া যাবে।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে বলেও মনে করার কথা জানান সিইসি। তিনি বলেন, প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারছে। আমি মনে করি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে।
সশস্ত্রবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে কেএম নূরুল হুদা বলেন, সেনাবাহিনী পরিস্থিতি বিবেচনায় আটক করতে পারবে। তবে তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়নি।
ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
ড. কামালের ওপর আক্রমন ফৌজদারি অপরাধ
ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামালের হোসেনের ওপর হামলা দু:খজনক উল্লেখ করে কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, এটি ফৌজদারি অপরাধ। বিষয়টি তদন্তে ইলেকটরাল ইনকোয়ারি কমিটির কাছে প্রতিবেদন চাইবে ইসি।
সিইসি বলেন, “এটা দুঃখজনক। তিনি একজন সিনিয়র সিটিজেন, প্রখ্যাত ব্যক্তি। তার ওপর হামলা কখনও প্রত্যাশিত নয়। এটা ফৌজদারী অপরাধ হয়েছে। তারা আমাদের কাছে এ নিয়ে আবেদন করেছে। বিষয়টি তদন্তে নির্বাচনী তদন্ত কমিটির কাছে তা পাঠানো হবে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের অহেতুক হয়রানি, গ্রেফতার বন্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও আইজিপিকে ফের চিঠি দেবে ইসি। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানান সিইসি।
তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা নেই তাদেরকে যেনো অহেতুক হয়রানি না করা হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে । আমরা আগামীকাল-পরশুর মধ্যেই আইজিপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেব। আগেও বলেছি নিষ্প্রয়োজনে কাউকে গ্রেফতার না করে। যারা নেতা রয়েছেন, তাদের যদি কোনো ফৌজদারী অপরাধ না থাকে যেন অহেতুক হয়রানি না করে।