নোয়াখালীতে বিএনপি প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
নোয়াখালী প্রতিবেদক | ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:৫৯
নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন হাসপাতালে চিকিৱসা নেন। ছবি: দেশ রূপান্তর
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি বাজারে বিএনপির গণসংযোগে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালি-১ আসন থেকে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী।
এ ঘটনায় আরো সাতজন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন ২০ জন। ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিনসহ গুলিবিদ্ধ চারজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, গুলিবিদ্ধ মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ইকবাল হোসেন রুবেল (৩৫), মো. সোহেল (৩০), আলাউদ্দিনকে (২৭) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ ইকবাল হোসেন জানান, বিকেল ৪.৩০টা থেকে মাহবুব উদ্দিন খোকনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সোনাইমুড়ি, ঢাকা সড়কের (বাইপাস) পাশে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বাধা দিলে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়।
তিনি বলেন, এ সময় সোনাইমুড়ি থানার ওসি নিজে শর্টগান দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে এবং পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা লাঠিপেটা করে। এতে প্রায় ৩০/৩৫ জন আহত হয়।
সোনাইমুড়ি থানার ওসি বলেন, সোনাইমুড়িতে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা কর্মীরা দোকানপাটসহ ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান, বরকত উল্যাহ বুলু ও জয়নুল আবদীন ফারুক তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রতি আহবান জানান।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নোয়াখালী প্রতিবেদক | ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:৫৯

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি বাজারে বিএনপির গণসংযোগে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালি-১ আসন থেকে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী।
এ ঘটনায় আরো সাতজন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন ২০ জন। ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিনসহ গুলিবিদ্ধ চারজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, গুলিবিদ্ধ মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ইকবাল হোসেন রুবেল (৩৫), মো. সোহেল (৩০), আলাউদ্দিনকে (২৭) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ ইকবাল হোসেন জানান, বিকেল ৪.৩০টা থেকে মাহবুব উদ্দিন খোকনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সোনাইমুড়ি, ঢাকা সড়কের (বাইপাস) পাশে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বাধা দিলে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়।
তিনি বলেন, এ সময় সোনাইমুড়ি থানার ওসি নিজে শর্টগান দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে এবং পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা লাঠিপেটা করে। এতে প্রায় ৩০/৩৫ জন আহত হয়।
সোনাইমুড়ি থানার ওসি বলেন, সোনাইমুড়িতে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা কর্মীরা দোকানপাটসহ ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান, বরকত উল্যাহ বুলু ও জয়নুল আবদীন ফারুক তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রতি আহবান জানান।