মেহেরপুরে পুলিশের ওপর হামলা, ছাত্রলীগ সভাপতি আটক
মেহেরপুর প্রতিনিধি | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:৫৭
মেহেরপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় দিবসের কুজকাওয়াজ অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশের ওপর হামলায় ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৪ জন আটক।
মেহেরপুর স্টেডিয়ামে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। হামলায় পুলিশ কর্মকর্তা ও স্কুলছাত্রসহ মোট ৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার বেলা এগারোটার দিকে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান চলাকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল সামাদ বাঁধন সহ ছাত্রলীগের ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক অন্যরা হলো ছাত্রলীগ কর্মী ইব্রাহীম (১৭), শিশির (১৮) ও আশিক (১৬)।
হামলায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, পুলিশ সদস্য মো. রনি (২৬) ও মেহেরপুর শহরের ভূমি অফিস পাড়ার স্কুলছাত্র সুরুজ আলী (১৫)। ওসিসহ তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রনি ও সুরুজকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও মেহেরপুর সহকারী পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান চলাকালে ইব্রাহিম হোসেন নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী ভূমি অফিসপাড়ার সুরুজ আলীকে মারধর করছিল। পুলিশ সদস্যরা মারধর ও উত্তেজনা থামাতে ছাত্রলীগ কর্মী ইব্রাহিম হোসেনকে আটক করে। তখন স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের কাছ থেকে আটক ইব্রাহিমকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা ওসিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে হেনস্তা করে এবং পুলিশের ওপর চড়াও হয়। ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে থাকা রড ও লাঠির আঘাতে পুলিশ সদস্য রনির ডান হাত ও পা ভেঙে যায়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগ সভাপতি বাঁধন সহ ৪ জনকে আটক করে।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে সরকারিকাজে বাধা, হামলাসহ বিভিন্ন ধারায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের পুলিশ খুঁজছে। তিনি জানান ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের বক্তব্য নিতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল সহ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিজন, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা সহ একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউ-ই বক্তব্য দিতে চাননি।
মেহেরপুর সহকারী পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আটককৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
মেহেরপুর প্রতিনিধি | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২০:৫৭

মেহেরপুর স্টেডিয়ামে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। হামলায় পুলিশ কর্মকর্তা ও স্কুলছাত্রসহ মোট ৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার বেলা এগারোটার দিকে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান চলাকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল সামাদ বাঁধন সহ ছাত্রলীগের ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক অন্যরা হলো ছাত্রলীগ কর্মী ইব্রাহীম (১৭), শিশির (১৮) ও আশিক (১৬)।
হামলায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, পুলিশ সদস্য মো. রনি (২৬) ও মেহেরপুর শহরের ভূমি অফিস পাড়ার স্কুলছাত্র সুরুজ আলী (১৫)। ওসিসহ তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রনি ও সুরুজকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও মেহেরপুর সহকারী পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান চলাকালে ইব্রাহিম হোসেন নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী ভূমি অফিসপাড়ার সুরুজ আলীকে মারধর করছিল। পুলিশ সদস্যরা মারধর ও উত্তেজনা থামাতে ছাত্রলীগ কর্মী ইব্রাহিম হোসেনকে আটক করে। তখন স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের কাছ থেকে আটক ইব্রাহিমকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা ওসিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে হেনস্তা করে এবং পুলিশের ওপর চড়াও হয়। ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে থাকা রড ও লাঠির আঘাতে পুলিশ সদস্য রনির ডান হাত ও পা ভেঙে যায়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগ সভাপতি বাঁধন সহ ৪ জনকে আটক করে।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে সরকারিকাজে বাধা, হামলাসহ বিভিন্ন ধারায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের পুলিশ খুঁজছে। তিনি জানান ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের বক্তব্য নিতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল সহ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিজন, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা সহ একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউ-ই বক্তব্য দিতে চাননি।
মেহেরপুর সহকারী পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আটককৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।